18 কিন্তু এই একটা ব্যাপারে যেন মাবুদ তাঁর গোলাম আমাকে মাফ করেন। আমার মালিক যখন রিম্মোণ দেবতার মন্দিরে ঢুকে আমার সাহায্যে রিম্মোণের উদ্দেশে মাটিতে মাথা ঠেকান তখন আমাকেও সেখানে মাটিতে মাথা ঠেকাতে হয়। এই ব্যাপারে যেন মাবুদ আমাকে মাফ করেন।”
19-20 আল-ইয়াসা বললেন, “আপনি মনে শান্তি নিয়ে চলে যান।”নামান তাঁর কাছ থেকে কিছু দূরে যাবার পর আল্লাহ্র বান্দা আল-ইয়াসার চাকর গেহসি মনে মনে বলল, “ঐ সিরীয় নামান যা এনেছিলেন তা গ্রহণ না করে আমার মালিক এমনিই তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন। আল্লাহ্র কসম যে, আমি তাঁর পিছনে পিছনে দৌড়ে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে কিছু চেয়ে নেব।”
21 এই বলে গেহসি নামানের পিছনে পিছনে দৌড়ে গেল। তাকে তাঁর দিকে দৌড়ে আসতে দেখে নামান তাঁর সংগে দেখা করবার জন্য রথ থেকে নামলেন। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সব কিছু ঠিক আছে তো?”
22 জবাবে গেহসি বলল, “সবই ঠিক আছে। তবে আমার মালিক আপনাকে এই কথা বলবার জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন যে, আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকা থেকে শাগরেদ-নবীদের দু’জন যুবক এখনই তাঁর কাছে এসেছেন। তাই আপনি যেন দয়া করে তাদের জন্য ঊনচল্লিশ কেজি রূপা আর দুই সেট পোশাক দেন।”
23 নামান বললেন, “ঊনচল্লিশ কেজি কেন? তুমি আটাত্তর কেজি নাও।” তিনি সেগুলো নেবার জন্য গেহসিকে সাধাসাধি করতে লাগলেন এবং আটাত্তর কেজি রূপা দু’টা থলিতে বেঁধে দিলেন ও দুই সেট কাপড় দিলেন। সেগুলো তিনি তাঁর দুই গোলামের হাতে দিলেন আর তারা গেহসির আগে আগে সেগুলো বয়ে নিয়ে যেতে লাগল।
24 কেল্লার পাহাড়ের কাছে এসে গেহসি সেই গোলামদের কাছ থেকে সেগুলো নিয়ে ঘরের মধ্যে রাখল। তারপর সে তাদের বিদায় করে দিলে তারা চলে গেল।
25 এর পরে সে ভিতরে গিয়ে তার মালিক আল-ইয়াসার সামনে দাঁড়াল। আল-ইয়াসা জিজ্ঞাসা করলেন, “গেহসি, তুমি কোথায় গিয়েছিলে?”গেহসি বলল, “আপনার গোলাম কোথাও যায় নি।”