২ বাদশাহ্‌নামা 18:13-19 BACIB

13 পরে হিষ্কিয় বাদশাহ্‌র চতুর্দশ বছরে আসেরিয়ার বাদশাহ্‌ সনহেরীব এহুদার প্রাচীর-বেষ্টিত সমস্ত নগরের বিরুদ্ধে এসে সেই সকল অধিকার করতে লাগলেন।

14 তাতে এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় লাখীশে আসেরিয়ার বাদশাহ্‌র কাছে এই কথা বলে পাঠালেন, আমি অন্যায় করেছি, আমার কাছ থেকে ফিরে যান; আপনি আমাকে যে ভার দেবেন, তা আমি বহন করবো। তাতে আসেরিয়া দেশের বাদশাহ্‌ এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের তিন শত তালন্ত রূপা ও ত্রিশ তালন্ত সোনা দণ্ড নির্ধারণ করলেন।

15 তখন হিষ্কিয় মাবুদের গৃহে ও রাজপ্রাসাদের ভাণ্ডারগুলোতে পাওয়া সমস্ত রূপা তাকে দিলেন।

16 এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় মাবুদের বায়তুল-মোকাদ্দসের যে যে কবাট ও যে যে বাজু সোনা দিয়ে মুড়িয়েছিলেন, হিষ্কিয় সেই সময়ে তা থেকে সোনা কেটে আসেরিয়ার বাদশাহ্‌কে দিলেন।

17 পরে আসেরিয়ার বাদশাহ্‌ লাখীশ থেকে তর্তনকে, রব্‌সারীসকে ও রব্‌শাকিকে বড় সৈন্যদলের সঙ্গে জেরুশালেমে হিষ্কিয় বাদশাহ্‌র কাছে প্রেরণ করলেন এবং তাঁরা যাত্রা করে জেরুশালেমে উপস্থিত হলেন। তাঁরা এসে উচ্চতর পুষ্করিণীর প্রণালীর কাছে ধোপার-ভূমির রাজপথে অবস্থান গ্রহণ করলেন।

18 পরে তাঁরা বাদশাহ্‌কে আহ্বান করলে হিল্কিয়ের পুত্র ইলিয়াকীম নামে রাজপ্রাসাদের নেতা, শিব্‌ন লেখক ও আসফের পুত্র যোয়াহ নামক ইতিহাস-রচয়িতা বের হয়ে তাঁদের কাছে গেলেন।

19 রব্‌শাকি তাঁদেরকে বললেন, তোমরা হিষ্কিয়কে এই কথা বল, বাদশাহ্‌দের বাদশাহ্‌ আসেরিয়ার বাদশাহ্‌ এই কথা বলেন, তুমি যে সাহস করছো, সে কেমন সাহস?