1 এক দিন মুনাজাতের নির্দিষ্ট সময়ে, বিকেল তিন ঘটিকায়, পিতর ও ইউহোন্না বায়তুল-মোকাদ্দসে যাচ্ছিলেন।
2 লোকেরা প্রতিদিন এক ব্যক্তিকে বহন করে এনে বায়তুল-মোকাদ্দসের সুন্দর নামক দ্বারে রেখে দিত। সে জন্ম থেকেই খঞ্জ ছিল; যারা বায়তুল-মোকাদ্দসে প্রবেশ করে তাদের কাছে ভিক্ষা চাইবার জন্য তাকে সেখানে রাখা হত।
3 সে পিতরকে ও ইউহোন্নাকে বায়তুল-মোকাদ্দসে প্রবেশ করতে উদ্যত দেখে ভিক্ষা পাবার জন্য ফরিয়াদ করতে লাগল।
4 তাতে পিতর ও ইউহোন্না তার প্রতি এক দৃষ্টে চেয়ে বললেন, আমাদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর।
5 তাতে সে তাঁদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে রইলো, তাঁদের কাছ থেকে কিছু পাবার অপেক্ষা করছিল।
6 কিন্তু পিতর বললেন, রূপা কি সোনা আমার নেই, কিন্তু যা আছে, তা তোমাকে দান করি; নাসরতীয় ঈসা মসীহের নামে হেঁটে বেড়াও।
7 পরে তিনি তার ডান হাত ধরে তাকে তুললেন; তাতে তৎক্ষণাৎ তার পা ও গোড়ালি সবল হল।
8 সে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়াল ও হেঁটে বেড়াতে লাগল এবং বেড়াতে বেড়াতে, লাফ দিতে দিতে, আল্লাহ্র প্রশংসা করতে করতে তাঁদের সঙ্গে বায়তুল-মোকাদ্দসে প্রবেশ করলো।
9 সমস্ত লোক তাকে হাঁটতে ও আল্লাহ্র প্রশংসা করতে দেখল;
10 আর তারা তাকে চিনতে পারলো যে, এই সেই ব্যক্তি, যে বায়তুল-মোকাদ্দসের সুন্দর দ্বারে বসে ভিক্ষা করতো। তার প্রতি যা ঘটেছিল, তাতে লোকেরা অত্যন্ত চমৎকৃত ও বিস্মিত হল।
11 আর সে পিতরকে ও ইউহোন্নাকে ধরে থাকাতে লোকেরা অতিশয় চমৎকৃত হয়ে তাঁদের কাছে সোলায়মানের নামে যে বারান্দা ছিল, সেখানে দৌড়ে আসল।
12 তা দেখে পিতর লোকদেরকে বললেন, হে ইসরাইলের লোকেরা, এই ব্যক্তির বিষয়ে কেন আশ্চর্য জ্ঞান করছো? অথবা আমরাই যে নিজের শক্তি বা ভক্তিগুণে একে চলবার শক্তি দিয়েছি, এই কথা মনে করে কেনই বা আমাদের প্রতি একদৃষ্টে চেয়ে রয়েছ?
13 ইব্রাহিমের, ইস্হাকের ও ইয়াকুবের আল্লাহ্, আমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্, তাঁর গোলাম সেই ঈসাকে মহিমান্বিত করেছেন। তোমরা তাঁকে দুশমনদের হাতে তুলে দিয়েছিলে এবং পীলাত যখন তাঁকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন, তখন পিলাতের সাক্ষাতে তোমরা তাঁকে অস্বীকার করেছিলে।
14 তোমরা সেই পবিত্র ও ধর্মময় ব্যক্তিকে অস্বীকার করে তোমাদের জন্য এক জন নরঘাতককে ছেড়ে দিতে বলেছিলে,
15 কিন্তু তোমরা জীবনের আদিকর্তাকে হত্যা করেছিলে। আর আল্লাহ্ তাঁকে মৃতদের মধ্যে থেকে উঠিয়েছেন, আমরা এর সাক্ষী।
16 আর তাঁর নামে ঈমান আনার ফলে এই যে ব্যক্তিকে তোমরা দেখছো ও জানো, তাঁরই নাম একে বলবান করেছে; তাঁরই দেওয়া ঈমান তোমাদের সকলের সাক্ষাতে একে সমপূর্ণ সুস্থতা এনে দিয়েছে।
17 এখন হে ভাইয়েরা, আমি জানি, তোমাদের নেতাদের মত তোমরাও অজ্ঞানতা-বশত সেই কাজ করেছ;
18 কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর মসীহের দুঃখভোগের বিষয়ে যেসব কথা সমস্ত নবীর মুখ দ্বারা আগে জানিয়ে ছিলেন, সেসব এভাবে পূর্ণ করেছেন।
19 অতএব তোমরা মন ফিরাও ও ফির, যেন তোমাদের গুনাহ্ মুছে ফেলা হয়,
20 যেন এভাবে প্রভুর সম্মুখ থেকে সান্ত্বনার সময় উপস্থিত হয় এবং আল্লাহ্ তোমাদের জন্য আগেই যাঁকে নিরূপিত করে রেখেছেন সেই মসীহ্কে, ঈসাকে, প্রেরণ করেন।
21 আল্লাহ্ অনেক দিন আগে নিজের পবিত্র নবীদের মুখ দ্বারা যে কালের বিষয়ে বলেছেন, যে পর্যন্ত না সমস্ত বিষয়ের পুনঃস্থাপনের সেই কাল উপস্থিত হয়, তত দিন পর্যন্ত নিশ্চয়ই তাঁকে বেহেশতে থাকতে হবে।
22 মূসা তো বলেছিলেন, “প্রভু আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তোমাদের ভাইদের মধ্যে থেকে আমার মত এক জন নবীকে উৎপন্ন করবেন, তিনি তোমাদেরকে যা যা বলবেন, সেসব বিষয়ে তোমরা তাঁর কথা শুনবে;
23 আর এরকম হবে, যে কোন প্রাণী সেই নবীর কথা না শুনবে, সেই লোক লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন হবে।”
24 আর শামুয়েল ও তাঁর পরবর্তী যত নবী কথা বলেছেন, তাঁরাও সকলে এই কালের কথা বলেছেন।
25 তোমরা নবীদের সন্তান, আর সেই নিয়মেরও সন্তান, যা আল্লাহ্ তোমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে স্থাপন করেছিলেন, তিনি তো ইব্রাহিমকে বলেছিলেন, “আর তোমার বংশে দুনিয়ার সমস্ত পিতৃকুল দোয়া পাবে।”
26 আল্লাহ্ আপন গোলামকে উৎপন্ন করে প্রথমে তোমাদেরই কাছে তাঁকে প্রেরণ করলেন, যেন তিনি তোমাদের অধর্মগুলো থেকে তোমাদের প্রত্যেক জনকে ফিরিয়ে এনে তোমাদেরকে দোয়া করেন।