29 এই কথা শুনে মূসা পালিয়ে গেলেন, আর মাদিয়ান দেশে প্রবাসী হলেন; সেখানে তাঁর দুই পুত্রের জন্ম হয়।
30 পরে চল্লিশ বছর পূর্ণ হলে তুর পর্বতের মরুভূমিতে এক জন ফেরেশতা একটা ঝোপে আগুনের শিখায় তাঁকে দর্শন দিলেন।
31 মূসা সেই দৃশ্য দেখে আশ্চর্য জ্ঞান করলেন, আর ভাল করে দেখবার জন্য কাছে যাচ্ছেন, এমন সময়ে প্রভুর এই বাণী শোনা গেল,
32 “আমি তোমার পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্, ইব্রাহিমের, ইস্হাকের ও ইয়াকুবের আল্লাহ্।” তখন মূসা ভয়ে কাঁপতে লাগলেন এবং ভাল করে তাকিয়ে দেখবার সাহস করলেন না।
33 পরে প্রভু তাঁকে বললেন, “তোমার পা থেকে জুতা খুলে ফেল; কেননা যে স্থানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ, সেটি পবিত্র ভূমি।
34 আমি মিসরে অবস্থিত আমার লোকদের দুঃখ সত্যিই দেখেছি, তাদের আর্তস্বর শুনেছি, আর তাদেরকে উদ্ধার করতে নেমে এসেছি, এখন এসো, আমি তোমাকে মিসরে প্রেরণ করি।”
35 এই যে মূসাকে তারা অস্বীকার করেছিল, বলেছিল, ‘তোমাকে নেতা ও বিচারকর্তা করে কে নিযুক্ত করেছে?’ তাঁকেই আল্লাহ্, যে ফেরেশতা ঝোপে তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন, সেই ফেরেশতার মধ্য দিয়ে নেতা ও মুক্তিদাতা করে প্রেরণ করলেন।