1 মোশি একজন কূশীয় স্ত্রীলোককে বিয়ে করেছিলেন। এই কূশীয় স্ত্রীলোকটির দরুন মরিয়ম ও হারোণ মোশির বিরুদ্ধে বলতে লাগলেন,
2 “সদাপ্রভু কি শুধু মোশির মধ্য দিয়েই কথা বলেছেন? আমাদের মধ্য দিয়ে কি তিনি কথা বলেন নি?” সদাপ্রভু এই সব কথা শুনলেন।
3 আসলে মোশি ছিলেন একজন নম্র লোক, পৃথিবীর যে কোন লোকের চেয়ে নম্র।
4 হারোণ ও মরিয়মের কথা শোনামাত্র সদাপ্রভু মোশি, হারোণ ও মরিয়মকে বললেন, “তোমরা তিনজনই বের হয়ে মিলন-তাম্বুর কাছে এস।” এই কথা শুনে তাঁরা তিনজন বের হয়ে আসলেন।
5-6 তখন সদাপ্রভু মেঘের থামের মধ্যে উপস্থিত থেকে নেমে আসলেন এবং মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে হারোণ ও মরিয়মকে ডাকলেন। তাঁরা দু’জন এগিয়ে আসলে পর সদাপ্রভু বললেন, “তোমরা আমার কথা শোন। তোমাদের মধ্যে কোন নবী থাকলে আমি সদাপ্রভু দর্শনের মধ্য দিয়ে নিজেকে তার কাছে প্রকাশ করি আর কথা বলি স্বপ্নের মধ্য দিয়ে।
7 কিন্তু আমার দাস মোশির সংগে আমি তা করি না। সে আমার পরিবারের সমস্ত কাজ বিশ্বস্তভাবে করে।
8 আমি তার সংগে সামনাসামনি পরিষ্কার ভাবে কথা বলি, কোন ধাঁধার ভিতর দিয়ে নয়। সদাপ্রভু যে আকারে দেখা দেন সে তা দেখতে পায়। এর পরেও তোমরা আমার দাস মোশির বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পেলে না?”
9 হারোণ ও মরিয়মের উপর সদাপ্রভু ক্রোধে জ্বলে উঠলেন। পরে তিনি চলে গেলেন।
10 সেই মেঘটা যখন মিলন-তাম্বু ছেড়ে উপরে উঠে গেল তখন দেখা গেল যে, মরিয়মের দেহ খারাপ চর্মরোগে বরফের মত সাদা হয়ে গেছে। হারোণ মরিয়মের দিকে ফিরে তাঁর গায়ে চর্মরোগ দেখতে পেলেন।
11 এই অবস্থা দেখে তিনি মোশিকে বললেন, “হে আমার প্রভু, আমরা বোকামি করে যে পাপ করে ফেলেছি তা আমাদের বিরুদ্ধে তুমি ধরে রেখো না।
12 যে শিশু মৃত অবস্থায় অর্ধেকটা ক্ষয়ে যাওয়া দেহ নিয়ে জন্মেছে মরিয়মকে তুমি সেই রকম থাকতে দিয়ো না।”
13 তখন মোশি চিৎকার করে সদাপ্রভুকে ডেকে বললেন, “হে ঈশ্বর, তুমি তাকে সুস্থ করে দাও।”
14 উত্তরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তার বাবা যদি তার মুখে থুথু দিত তবে কি সে সাত দিন সেই লজ্জা বয়ে বেড়াত না? সাত দিন তাকে ছাউনির বাইরে বন্ধ করে রাখ, তারপর তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে।”
15 সেইজন্য মরিয়মকে সাত দিন পর্যন্ত ছাউনির বাইরে বন্ধ করে রাখা হল। তাকে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত লোকেরা যাত্রা বন্ধ রাখল।
16 এর পর ইস্রায়েলীয়েরা হৎসেরোৎ ছেড়ে পারণ মরু-এলাকায় গিয়ে তাম্বু ফেলল।