11 সেইজন্য আমি তাকে জাতিদের শাসনকর্তার হাতে তুলে দিয়েছি; তার খারাপী অনুসারে সে তার সংগে ব্যবহার করবে। আমি তাকে অগ্রাহ্য করেছি।
12 জাতিদের মধ্যে সবচেয়ে নিষ্ঠুর জাতির লোকেরা তাকে কেটে ফেলে রেখে গেছে। তার বড় বড় ডালগুলো পাহাড়ে পাহাড়ে ও সব উপত্যকাগুলোতে পড়েছে; তার ডালপালাগুলো ভেংগে দেশের সব পানির স্রোতের মধ্যে পড়ে আছে। দুনিয়ার সব জাতিরা তার ছায়া থেকে বের হয়ে তাকে ফেলে চলে গেছে।
13 সেই পড়ে যাওয়া গাছে আকাশের সব পাখীরা এসে রইল এবং বনের সব পশুরাও তার ডালপালার কাছে থাকল।
14 তার ফলে পানির ধারের অন্য কোন গাছ অহংকারে উঁচু হবে না, তার মাথা আকাশ ছোঁবে না এবং সে এত উঁচুতেও পৌঁছাবে না। তারা সবাই মানুষের মত মৃত্যুর অধীন; তারা দুনিয়ার গভীরে, অর্থাৎ কবরে নেমে যাবার জন্য ঠিক হয়ে আছে।
15 “ ‘আমি আল্লাহ্ মালিক আরও বলছি, যেদিন সে কবরে নেমে গেল সেই দিন তার জন্য শোকের চিহ্ন হিসাবে সেই গভীর ঝর্ণা আমি ঢেকে দিলাম; আমি তার সব স্রোত থামিয়ে দিলাম, তাতে তার সব পানি বন্ধ হয়ে গেল। এর জন্য আমি লেবাননকে শোক করালাম আর তার বনের প্রত্যেকটি গাছ শুকিয়ে গেল।
16 মৃত লোকদের সংগে আমি যখন তাকে কবরে নামিয়ে দিলাম তখন তার পড়ে যাবার শব্দে জাতিরা কেঁপে উঠল। তখন আদনের সব গাছ, লেবাননের বাছাই করা ও সেরা গাছ এবং ভালভাবে পানি পাওয়া সব গাছ দুনিয়ার গভীরে সান্ত্বনা পেল।
17 যারা তার ছায়ায় বাস করত, অর্থাৎ জাতিদের মধ্যে তার বন্ধুরা তার সংগে কবরে যুদ্ধে নিহত লোকদের কাছে নেমে গেল।