1 তারপর সেই মানুষটি আমাকে বায়তুল-মোকাদ্দসের পূর্বমুখী বাইরের দরজার কাছে ফিরিয়ে আনলেন; দরজাটা বন্ধ ছিল।
2 মাবুদ আমাকে বললেন, “এই দরজাটা বন্ধই থাকবে, খোলা হবে না যাতে কেউ এর ভিতর দিয়ে ঢুকতে না পারে। এটা বন্ধ থাকবে, কারণ ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ এর মধ্য দিয়ে ঢুকেছেন।
3 কেবলমাত্র শাসনকর্তাই দরজার মধ্যে বসে মাবুদের সামনে খেতে পারবে। সে শেষের কামরা দিয়ে দরজায় ঢুকবে আর একই পথ দিয়ে বের হবে।”
4 তারপর সেই মানুষটি আমাকে উত্তর দরজার পথ দিয়ে বায়তুল-মোকাদ্দসের সামনে নিয়ে আসলেন। আমি দেখলাম মাবুদের ঘরটা তাঁর মহিমায় ভরে গেছে; তখন আমি উবুড় হয়ে পড়লাম।
5 তখন মাবুদ আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, তুমি ভাল করে দেখ ও কান দিয়ে শোন এবং আমার ঘর সম্বন্ধে আমি তোমাকে যে সব নিয়ম ও শরীয়তের বিষয় বলব তার প্রত্যেকটিতে মনোযোগ দাও। বায়তুল-মোকাদ্দসে কারা ঢুকতে পারবে এবং কারা ঢুকতে পারবে না সেই বিষয়ে মনোযোগ দাও।
6 তুমি বিদ্রোহী জাতি ইসরাইলকে বল যে, আল্লাহ্ মালিক বলছেন, ‘হে বনি-ইসরাইলরা, তোমাদের জঘন্য আচার-ব্যবহার যথেষ্ট হয়েছে।
7 তোমাদের অন্যান্য জঘন্য আচার-ব্যবহারের সংগে তোমরা আমার কাছে খাবার, চর্বি ও রক্ত কোরবানী দেবার সময় অন্তর ও শরীরে খৎনা-না-করানো বিদেশীদের আমার ঘরে এনে আমার ঘর অপবিত্র করেছ এবং তাদের কাজের মধ্য দিয়ে তোমরা আমার ব্যবস্থা বাতিল করেছ।
8 আমার পাক-পবিত্র জিনিসগুলোর প্রতি তোমাদের যে কর্তব্য করবার কথা তা না করে আমার ঘরের ভার তোমরা অন্যদের হাতে তুলে দিয়েছ।
9 যে বিদেশীদের অন্তর ও শরীরের খৎনা করানো হয় নি তারা আমার ঘরে ঢুকতে পারবে না; এমন কি, বনি-ইসরাইলদের মধ্যে বাস করা বিদেশীরাও পারবে না।
10 “ ‘বনি-ইসরাইলরা যখন বিপথে গিয়েছিল তখন তাদের সংগে যে লেবীয়রা আমাকে ছেড়ে তাদের মূর্তিগুলোর পিছনে ঘুরে বেড়িয়ে আমার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল তাদের গুনাহের ফল তাদের বহন করতেই হবে।
11 তবুও বায়তুল-মোকাদ্দসের দরজাগুলো রক্ষার ভার পেয়ে ও সেখানে কাজ করে তারা আমার ঘরের এবাদত-কাজ করতে পারবে। তারা পোড়ানো-কোরবানীর পশু জবাই করতে ও লোকদের জন্য কোরবানী দিতে পারবে এবং লোকদের সেবা করবার জন্য তাদের সামনে দাঁড়াতে পারবে।
12 কিন্তু তারা মূর্তিগুলোর সামনে লোকদের সেবা করেছে এবং ইসরাইল জাতিকে গুনাহে ফেলেছে, সেইজন্য আমি আল্লাহ্ মালিক কসম খেয়েছি যে, তাদের গুনাহের ফল তাদের বহন করতেই হবে।
13 তারা ইমাম হিসাবে আমার এবাদত-কাজ করবার জন্য আমার কাছে আসবে না কিংবা আমার কোন পবিত্র কিংবা মহাপবিত্র জিনিসের কাছে আসতে পারবে না; তাদের জঘন্য আচার-ব্যবহারের লজ্জা তাদের বহন করতেই হবে।
14 তবুও বায়তুল-মোকাদ্দসের প্রতি কর্তব্য ও সেখানকার সমস্ত কাজের ভার আমি তাদের উপর দেব।
15 “ ‘কিন্তু বনি-ইসরাইলরা যখন আমার কাছ থেকে বিপথে গিয়েছিল তখন সাদোকের বংশের যে লেবীয়রা ইমাম হিসাবে আমার ঘরে বিশ্বস্তভাবে তাদের কর্তব্য করেছে তারাই আমার এবাদত-কাজ করতে আমার কাছে আসতে পারবে; তারা চর্বি ও রক্ত কোরবানী দেবার জন্য আমার সামনে দাঁড়াতে পারবে। আমি আল্লাহ্ মালিক এই কথা বলছি।
16 তারাই কেবল আমার ঘরে ঢুকতে পারবে; কেবল তারাই আমার এবাদত-কাজের জন্য আমার টেবিলের কাছে আসতে পারবে এবং তারাই আমার ঘরের সমস্ত কাজ করবে।
17 “ ‘মসীনার পোশাক পরে তারা ভিতরের উঠানের দরজাগুলো দিয়ে ঢুকবে; ভিতরের উঠানের দরজাগুলোর কাছে কিংবা বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যে এবাদত-কাজের সময় তারা কোন পশমের পোশাক পরতে পারবে না।
18 তাদের মাথায় মসীনার পাগড়ী থাকবে এবং তারা মসীনার জাংগিয়া পরবে; যাতে ঘাম হয় এমন কাপড় তারা পরবে না।
19 তারা যখন বাইরের উঠানে থাকা লোকদের কাছে যাবে তখন এবাদত-কাজের জন্য তারা যে পোশাক পরেছিল তা খুলে পবিত্র কামরায় রেখে অন্য কাপড়-চোপড় পরবে, যাতে তাদের পোশাকের ছোঁয়ায় লোকেরা পবিত্র হয়ে না যায়।
20 “ ‘তাদের মাথার চুল তারা কামিয়ে ফেলবে না কিংবা চুল লম্বা রাখবে না কিন্তু চুল ছোট করে কাটবে।
21 কোন ইমাম আংগুর-রস খেয়ে ভিতরের উঠানে ঢুকবে না।
22 বিধবা কিংবা স্বামী যাকে ছেড়ে দিয়েছে এমন কোন স্ত্রীলোককে তারা বিয়ে করবে না; তারা কেবল ইসরাইল জাতির অবিবাহিতা মেয়েদের কিংবা ইমামের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে।
23 যা পবিত্র করা হয়েছে ও যা পবিত্র করা হয় নি তার মধ্যে পার্থক্য কি তা তারা আমার বান্দাদের শিক্ষা দেবে এবং কোন্টা পাক ও কোন্টা নাপাক তা তাদের দেখিয়ে দেবে।
24 “ ‘কোন মামলা-মকদ্দমা হলে ইমামেরা বিচারকের কাজ করবে এবং আমার নির্দেশ অনুসারে তার রায় দেবে। আমার নির্দিষ্ট করা সব ঈদগুলোর জন্য তারা আমার শরীয়ত ও নিয়মগুলো পালন করবে এবং বিশ্রাম দিনগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করবে।
25 “ ‘ইমাম কোন মৃত লোকের কাছে গিয়ে নিজেকে নাপাক করবে না; কিন্তু মা-বাবা, ছেলে-মেয়ে, ভাই কিংবা অবিবাহিতা বোনের জন্য নিজেকে নাপাক করতে পারবে।
26 পাক-সাফ হলে পর তাকে সাত দিন অপেক্ষা করতে হবে।
27 তারপর যেদিন সে এবাদত-কাজের জন্য বায়তুল-মোকাদ্দসের ভিতরের উঠানে যাবে সেই দিন তাকে নিজের জন্য গুনাহের কোরবানী দিতে হবে। আমি আল্লাহ্ মালিক এই কথা বলছি।
28 “ ‘ইমামদের সম্পত্তি বলতে কেবল আমিই থাকব। তোমরা বনি-ইসরাইলরা তোমাদের দেশে তাদের কোন সম্পত্তি দেবে না; আমিই হব তাদের সম্পত্তি।
29 তারা শস্য-কোরবানী, গুনাহের কোরবানী ও দোষের কোরবানীর জিনিস খাবে; ইসরাইল দেশে মাবুদের উদ্দেশে দেওয়া প্রত্যেকটি জিনিসই তাদের হবে; সেগুলো ছাড়িয়ে আনা যাবে না।
30 প্রথমে কাটা সব রকম ফসলের সবচেয়ে ভাল অংশটা এবং তোমাদের সমস্ত উপহারগুলো ইমামদের হবে। তোমাদের নতুন ময়দার প্রথম অংশ তোমরা তাদের দেবে যাতে তোমাদের পরিবারের উপর দোয়া থাকে।
31 মরে গেছে কিংবা বুনো জানোয়ারে ছিঁড়ে ফেলেছে এমন কোন পাখী বা পশু ইমামেরা খাবে না।