1 সুবুদ্ধি কি ডাক দেয় না?বিচারবুদ্ধি কি চিৎকার করে কথা বলে না?
2 পথের পাশে উঁচু জায়গায়যেখানে পথ গিয়ে পথের সংগে মিলেছেসেখানে সুবুদ্ধি দাঁড়িয়ে থাকে।
3 শহরে যাবার পথে সদর দরজার কাছে সে জোরে চেঁচিয়ে বলে,
4 “ওহে লোকেরা, আমি তোমাদের ডাকছি,সমস্ত মানুষের কাছে জোর গলায় বলছি।
5 বোকা লোকেরা, চালাক হবার বুদ্ধি লাভ কর;বিবেচনাহীন লোকেরা, বিচারবুদ্ধি লাভ কর।
6 শোন, আমি উপযুক্ত কথা বলব,সঠিক কথা বলবার জন্য আমার মুখ খুলব।
7 আমি সত্যি কথা বলব;খারাপ কথা আমার কাছে জঘন্য লাগে,তাই আমি তা বলব না।
8 আমার মুখের সমস্ত কথাই ঠিক,তার মধ্যে বাঁকা কথা বা কুটিলতা নেই।
9 যাদের বিচারবুদ্ধি আছে তাদের কাছে আমার কথা ভণ্ডামিশূন্য;যাদের জ্ঞান আছে তাদের কাছে সেগুলো খাঁটি।
10 রূপার চেয়ে আমার উপদেশ লাভ করতে আগ্রহী হও,বাছাই করা সোনার চেয়ে জ্ঞান লাভ করতে আগ্রহী হও;
11 কারণ প্র্রবাল পাথরের চেয়েও সুবুদ্ধি বেশী দামী;তোমার চাওয়ার মত কোন জিনিসের সংগে তার তুলনা হয় না।
12 “আমি সুবুদ্ধি, আমি চালাক হবার বুদ্ধির সংগে বাস করি;জ্ঞান ও নেকী-বদী বুঝবার শক্তি আমার আছে।
13 মাবুদকে ভয় করা মানেই দুষ্টতাকে ঘৃণা করা;অহংকার, বড়াই করা, খারাপ ব্যবহারআর বাঁকা কথাকে আমি ঘৃণা করি।
14 পরামর্শ ও উপস্থিত বুদ্ধি আমার কাছ থেকে আসে;আমি বিচারবুদ্ধি, আমি ক্ষমতা দিই।
15 বাদশাহ্রা রাজত্ব করে আমার দ্বারা,আর শাসনকর্তারা তৈরী করে ন্যায়পূর্ণ শরীয়ত;
16 আমার দ্বারা রাজপুরুষেরা আর উঁচু পদের লোকেরাশাসন্তকাজ চালায়;তারা সবাই বিচারকের কাজ করে।
17 যারা আমাকে ভালবাসে আমিও তাদের ভালবাসি;যারা মনেপ্রাণে আমার তালাশ করে তারা আমাকে পায়।
18 ধন ও সম্মান আমার কাছ থেকে আসে,আসে স্থায়ী সম্পদ ও উন্নতি।
19 সোনার চেয়েও, এমন কি, খাঁটি সোনার চেয়েওআমার দেওয়া ফল ভাল;আমি যা দিই তা বাছাই করা রূপার চেয়েও খাঁটি।
20 আমি ন্যায়ের পথে হাঁটি,ন্যায়বিচারের পথ ধরে চলি।
21 যারা আমাকে ভালবাসে তারা ধন-সম্পদ পায়;আমিই তাদের ধনভাণ্ডার পরিপূর্ণ করে তুলি।
22 “মাবুদের কাজের শুরুতে, তাঁর সৃষ্টির কাজের আগেআমি তাঁরই ছিলাম;
23 সেই প্রথম থেকে, দুনিয়া সৃষ্টির আগে থেকে,সমস্ত যুগের আগে আমাকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
24 যখন কোন সাগর ছিল না,ছিল না কোন ঝর্ণা যেখান থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে আসে,তখন আমি জন্মেছিলাম।
25 পাহাড়-পর্বত স্থাপন করবার আগে আমি ছিলাম।
26 যখন জমীন ও মাঠ-ময়দানকিংবা দুনিয়ার একটা ধূলিকণা পর্যন্ত তিনি তৈরী করেন নি,তখন আমি ছিলাম।
27 তিনি যখন আসমান স্থাপন করছিলেনতখন আমি সেখানে ছিলাম;তিনি যখন সাগরের উপরে চারদিকের সীমানা ঠিক করছিলেন,তখন আমি সেখানে ছিলাম।
28 তিনি যখন উপর দিকে আকাশ স্থাপন করছিলেনআর মাটির নীচের বড় বড় ঝর্ণা শক্তভাবে স্থাপন করছিলেন,
29 তিনি যখন সাগরের সীমানা স্থির করছিলেনযেন পানি তাঁর নিয়মের বাইরে পার হয়ে না আসে,যখন তিনি দুনিয়ার ভিত্তি ঠিক করছিলেন,
30 তখন আমিই কারিগর হিসাবে তাঁর পাশে ছিলাম।দিনের পর দিন আমি খুশীতে পূর্ণ হয়েতাঁর সামনে সব সময় আনন্দ করতাম;
31 তাঁর দুনিয়া নিয়ে আনন্দ করতাম,আর মানুষকে নিয়ে খুশীতে পূর্ণ ছিলাম।
32 “ছেলেরা আমার, এখন আমার কথা শোন;যারা আমার পথে চলে তারা সুখী।
33 আমার নির্দেশে কান দাও, জ্ঞানবান হও,অবহেলা কোরো না।
34 যে লোক আমার কথা শোনেআর প্রতিদিন আমার দরজার কাছে জেগে থাকেও আমার দরজার চৌকাঠে অপেক্ষা করে সে সুখী;
35 কারণ যে আমাকে পায় সে জীবন পায়আর মাবুদের কাছ থেকে রহমত পায়।
36 কিন্তু যে আমাকে পায় না সে নিজের ক্ষতি করে;যারা আমাকে ঘৃণা করে তারা সবাই মৃত্যুকে ভালবাসে।”