1 আমি বেঁচে থেকে ক্লান্ত হয়েছি;আমি আমার দুঃখের কথা মুক্তকণ্ঠে বলবো,আমি প্রাণের তিক্ততায় কথা বলবো।
2 আমি আল্লাহ্কে বলবো, আমাকে দোষী করো না;আমার সঙ্গে কি কারণে ঝগড়া করছো,তা আমাকে জানাও।
3 এটি কি ভাল যে, তুমি জুলুম করবে?তোমার হস্তনির্মিত বস্তু তুমি তুচ্ছ করবে?দুষ্টদের মন্ত্রণায় খুশি হবে?
4 তোমার চোখ কি মানুষের চোখ?তোমার দৃষ্টি কি মানুষের দৃষ্টির মত?
5 তোমার আয়ু কি মানুষের আয়ুর মত?তোমার বছরগুলো কি মানুষের দিনগুলোর মত?
6 সেজন্য কি আমার অপরাধের অনুসন্ধান করছো,আমার গুনাহ্র খোঁজ করছো?
7 তুমি তো জান, আমি দুষ্ট নই,এবং তোমার হাত থেকে উদ্ধারকারী কেউ নেই।
8 তোমার হাত আমাকে গড়েছে, নির্মাণ করেছে,আমার সর্বাঙ্গ সুসংযুক্ত করেছে,তবুও তুমি আমাকে সংহার করছো।
9 স্মরণ কর, তুমি মাটির পাত্রের মত করে আমাকে গড়েছ,আবার আমাকে কি ধুলিতে বিলীন করবে?
10 তুমি কি দুধের মত আমাকে ঢাল নি?ছানার মত কি আমাকে ঘনীভূত কর নি?
11 তুমি আমাকে চামড়া ও মাংসে সজ্জিত করেছ,অস্থি ও শিরা দিয়ে আমাকে বুনেছ;
12 তুমি আমাকে জীবন দান করেছ ও অটল মহব্বত প্রকাশ করেছ,তোমার তত্ত্বাবধানে আমার রূহ্ পালিত হচ্ছে।
13 তবু এ সবই মনোমধ্যে গুপ্ত করে রেখেছ;আমি জানি এই তোমার মনোবাসনা।
14 আমি গুনাহ্ করলে তুমি আমার প্রতি লক্ষ্য করবে,আমার অপরাধ মাফ করবে না।
15 আমি যদি দুষ্ট হই, আমার সন্তাপ হবে!যদি ধার্মিক হই, মাথা তুলতে পারব না,আমি অবমাননায় পরিপূর্ণ হয়েছি,আর নিজের দুঃখ দেখছি।
16 মাথা তুললে তুমি সিংহের মত আমাকে শিকার করবে,আবার আমার বিরুদ্ধে নিজেকে আশ্চর্য দেখাবে।
17 তুমি আমার বিপরীতে নতুন নতুন সাক্ষী উপস্থিত করবে,আমার প্রতি তোমার বিরক্তি বাড়াবে;নতুন নতুন সৈন্যদল আমার প্রতিকূলে নিয়ে আসবে।
18 কেন আমাকে গর্ভ থেকে বের করেছিলে?আমি সেখানে প্রাণত্যাগ করতাম, কারো দৃষ্টিগোচর হতাম না।
19 আমার যদি জন্ম না হত,জঠর থেকেই কবরে নেওয়া হত।
20 আমার দিন কি অল্প নয়? অতএব ক্ষান্ত হও,আমাকে ছাড়, ক্ষণকাল সান্ত্বনা লাভ করি,
21 যে পর্যন্ত আমি সেই স্থানে না যাই,যেখান থেকে আর ফিরে আসব না।তা ঘন অন্ধকার ও মৃত্যুচ্ছায়ার দেশ,
22 সেই দেশ ঘোর অন্ধকার, অন্ধকারময়,তা মৃত্যুচ্ছায়ায় ব্যপ্ত, পারিপাট্য-বিহীন,সেখানে আলো অন্ধকারের সমান।