1 এতেও আমার হৃদয় কাঁপছে,স্বস্থানে থেকে দুপ্ দুপ্ করছে।
2 শোন শোন, ঐ তাঁর গর্জনের শব্দ,ঐ তাঁর মুখ থেকে বের হওয়া স্বর।
3 তিনি সমস্ত আসমানের নিচে তা পাঠান,দুনিয়ার অন্ত পর্যন্ত তাঁর বিদ্যুৎ চালান।
4 এর পরে গর্জনের আওয়াজ আসে,তিনি তাঁর মহান স্বরে বজ্রনাদ করেন;তাঁর বাণী শোনা যায়, তিনি ঐ সমস্ত রোধ করেন না।
5 আল্লাহ্ স্বীয় ধ্বনিতে আশ্চর্যরূপ গর্জন করেন,আমাদের বোধের অগম্য মহৎ মহৎ কাজ করেন।
6 ফলে তিনি তুষারকে বলেন, দুনিয়াতে পড়,সামান্য বৃষ্টিকেও তা বলেন,তাঁর মূষলধারার বৃষ্টিকেও বলেন।
7 তিনি প্রত্যেক মানুষের হাত সীলমোহর করে দেন,যেন তাঁর নির্মিত সকল মানুষই জ্ঞান পায়।
8 তখন পশুদের আশ্রয় স্থানে প্রবেশ করে,যার যার গহ্বরে থাকে।
9 ঝড়ের কক্ষ থেকে ঝটিকা আসে,উত্তর থেকে শীত আসে।
10 আল্লাহ্র নিশ্বাস থেকে নীহার জন্মে,এবং বিস্তারিত পানি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে।
11 এছাড়া, আল্লাহ্ ঘন মেঘ পানিতে পূর্ণ করেন,তাঁর বিদ্যুতের মেঘ বিস্তার করেন।
12 তাঁর পরিচালনায় তা ঘোরে,যেন তারা তাঁর হুকুম অনুসারে কাজ করে,সমস্ত ভূমণ্ডলেই যেন করে।
13 তিনি কখনও শাস্তির জন্য,কখনও নিজের দেশের জন্য,কখনও বা দয়ার জন্য এসব ঘটান।
14 হে আইউব, আপনি এতে কান দিন,স্থির থাকুন, আল্লাহ্র অলৌকিক সমস্ত কাজ বিবেচনা করুন।
15 আপনি কি জানেন, আল্লাহ্ কিভাবে সকল কিছুর উপরে ভার রাখেন,আর তাঁর মেঘের বিজলি চমকান?
16 আপনি কি মেঘমালার দোলন জানেন?পরম জ্ঞানীর আশ্চর্য কর্মগুলো জানেন?
17 যখন দখিনা বায়ুতে দুনিয়া স্তব্ধ হয়,তখন আপনার কাপড়-চোপড় কেমন উষ্ণ হয়?
18 আপনি কি তাঁর সঙ্গে আসমান বিস্তার করেছেন,যা ছাঁচে ঢালা আয়নার মত দৃঢ়?
19 আমাদেরকে জানান, তাঁকে কি বলবো?আমরা অন্ধকারে আছি বলে আমাদের মামলা তাঁর কাছে নিতে পারি না।
20 তাঁকে কি বলা যাবে যে, আমি কথা বলবো?কেউ কি পরাভূত হতে ইচ্ছা করবে?
21 এখন মানুষ আলোর দিকে তাকাতে পারে না,যখন তা আসমানে উজ্জ্বল হয়,যখন বায়ু বয়ে তা পরিষ্কার হয়ে যায়।
22 উত্তর দিক থেকে সোনালী উজ্জ্বলতা আসে,আল্লাহ্র চারদিকে ভয় জাগানো মহিমা দেখা যায়।
23 সর্বশক্তিমান! তিনি আমাদের বোধের অগম্য;তিনি পরাক্রমে মহান,তিনি ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতার বিরুদ্ধাচরণ করেন না।
24 এই কারণ মানুষ তাঁকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করে,তিনি বিজ্ঞচিত্তদের মুখাপেক্ষা করেন না।