1 তুমি কি বড়শীতে লিবিয়াথনকে তুলতে পার?দড়ি দিয়ে তার জিহ্বা বাঁধতে পার?
2 নলকাঠি দিয়ে কি তার নাক কি ফুঁড়তে পার?বর্শা দিয়ে তার হনূ কি বিঁধতে পার?
3 সে কি তোমার কাছে বহু ফরিয়াদ করবে,বা তোমাকে কোমল কথা বলবে?
4 সে কি তোমার সঙ্গে চুক্তি করবে?তুমি কি তাকে নিয়ে চিরদিনের জন্য গোলাম করবে?
5 পাখির সঙ্গে যেমন খেলা করে,তেমনি কি তার সঙ্গে খেলা করবে?তোমার যুবতীদের জন্য কি তাকে বেঁধে রাখবে?
6 জেলের-দল কি তাকে দিয়ে ব্যবসা করবে?অংশ অংশ করে কি বণিকদেরকে দেবে?
7 তুমি কি তার চামড়া লোহার ফলা দিয়ে,তার মাথা ধীবরের টেঁটা দিয়ে বিঁধতে পার?
8 তোমার হাত তার উপরে রাখ;যুদ্ধ স্মরণ কর, আর সেরকম করো না।
9 দেখ, তাকে ধরবার প্রত্যাশা মিথ্যা;তাকে দেখামাত্র লোকে কি পড়ে যায় না?
10 তাকে জাগাবে, এমন সাহসী কেউ নেই;তবে আমার সাক্ষাতে কে দাঁড়াতে পারে?
11 কে আগে আমার উপকার করেছে যে, আমি তার প্রত্যুপকার করবো?সমস্ত আসমানের নিচে সকলই আমার।
12 তার অঙ্গের সম্বন্ধে আমি নীরব থাকব না,তার বিপুল বল ও শরীরের সৌষ্ঠবের কথা বলবো।
13 তার বর্ম কে খুলে দিতে পারে?তার দন্তশ্রেণীদ্বয়ের মধ্যে কে যেতে পারে?
14 তার মুখের কবাট কে খুলতে পারে?তার দন্তাবলীর চারদিকে ত্রাস থাকে।
15 তার মেরুদণ্ড ফলকশ্রেণীর মত শোভা পায়,তা সীলমোহরের মত দৃঢ়ভাবে বন্ধ।
16 সেসব পরস্পর এমন সংলগ্ন যে,তার অন্তরালে বায়ু প্রবেশ করতে পারে না।
17 সেসব পরস্পর সংযুক্ত, সেগুলো একত্র সংলগ্ন,কিছুতেই আলাদা করা যায় না।
18 তার হাঁচিতে আলো ছুটে বের হয়;তার নয়ন প্রভাতের সূর্যরশ্মির মত।
19 তার মুখ থেকে জ্বলন্ত মশাল বের হয়,আগুনের ফুল্কি উৎপন্ন হয়।
20 তার নাসারন্ধ্র থেকে ধোঁয়া বের হয়,যেমন ফুটন্ত পাত্র ও নল-খাগড়ার ধোঁয়া।
21 তার নিশ্বাসে অঙ্গার জ্বলে উঠে,তার মুখ থেকে আগুনের শিখা বের হয়।
22 তার গ্রীবায় বল অবস্থিতি করে,তার সম্মুখে ত্রাস নৃত্য করে।
23 তার মাংসের ভাঁজ পরস্পর সংযুক্ত;তা তার উপরে দৃঢ়ীভূত, সরতে পারে না।
24 তার হৃৎপিণ্ড পাথরের মত দৃঢ়,যাঁতার নিচের পাটের মত দৃঢ়।
25 সে উঠলে বলবানেরাও উদ্বিগ্ন হয়,ভষীণ ভয়ে হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে।
26 তলোয়ার দিয়ে তাকে আক্রমণ করলে কিছু হবে না,বর্শা, তীর ও বল্লম বিফল হয়।
27 সে লোহাকে নাড়ার মত,পিত্তলকে পচা কাঠের মত জ্ঞান করে।
28 ধনুর্বাণ তাকে তাড়াতে পারে না,ফিঙ্গার পাথর তার কাছে যেন তুষ।
29 সে গদাকে এক টুকরা খড়ের মতই মনে করে,বর্শার শব্দে সে হাসে।
30 তার তলদেশ শাণিত খোলার মত,সে কাদার উপর দিয়ে কাঁটার মই চালায়।
31 সে অগাধ পানিকে পাত্রের পানির মত ফোটায়।সে সমুদ্রকে মলমের মত করে।
32 তার পিছনে পথ চক্মক করে,জলধির পাকা চুলের মত মনে হয়।
33 দুনিয়াতে তার মত কিছুই নেই;তাকে নির্ভীক করে নির্মাণ করা হয়েছে।
34 সে যাবতীয় উচ্চবস্তু দর্শন করে,যাবতীয় গর্বিত-সন্তানের বাদশাহ্ হয়।