1 হারুনের দুই পুত্র মাবুদের কাছে উপস্থিত হয়ে মারা পড়লে পর, মাবুদ মূসার সঙ্গে আলাপ করলেন।
2 মাবুদ মূসাকে এই কথা বললেন, তুমি তোমার ভাই হারুনকে বল, যেন সে মহা-পবিত্র স্থানে পর্দার ভিতরে, সিন্দুকের উপরিস্থ গুনাহ্ আবরণের সম্মুখে যেকোন সময়ে প্রবেশ না করে, পাছে তার মৃত্যু হয়; কেননা আমি ঐ গুনাহ্ আবরণের উপরে মেঘে দর্শন দেব।
3 হারুন গুনাহ্-কোরবানীর জন্য একটি ষাঁড় ও পোড়ানো-কোরবানীর জন্য একটি ভেড়া সঙ্গে নিয়ে, এভাবে মহা-পবিত্র স্থানে প্রবেশ করবে।
4 সে মসীনার ইমামের পবিত্র পোশাক পরবে, মসীনার জাঙ্গিয়া পরবে, মসীনার কোমরবন্ধনী পরবে এবং মসীনার পাগড়ীতে বিভূষিত হবে; এসব পবিত্র পোশাক; সে পানিতে তার শরীর ধুয়ে ফেলে এসব পোশাক পরবে।
5 পরে সে বনি-ইসরাইলদের মণ্ডলীর কাছে গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে দু’টি ছাগল ও পোড়ানো-কোরবানীর জন্য একটি ভেড়া নেবে।
6 আর হারুন নিজের জন্য গুনাহ্-কোরবানীর ষাঁড় এনে নিজের ও নিজের কুলের জন্য কাফ্ফারা দেবে।
7 পরে সেই দু’টি ছাগল নিয়ে জমায়েত-তাঁবুর দরজা সমীপে মাবুদের সম্মুখে উপস্থিত করবে।
8 পরে হারুন ঐ দু’টি ছাগলের বিষয়ে গুলিবাঁট করবে; এর এক অংশ মাবুদের জন্য ও অন্যগুলো আজাজিলের জন্য হবে।
9 গুলিবাঁট দ্বারা যে ছাগল মাবুদের জন্য হয়, হারুন তাকে নিয়ে গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে কোরবানী করবে।
10 কিন্তু গুলিবাঁট দ্বারা যে ছাগলটি আজাজিলের জন্য নির্ধারিত হয়, সেটিকে মাবুদের সম্মুখে তাকে জীবিত উপস্থিত করতে হবে যেন সেটি কাফ্ফারা করার জন্য মরুভূমিতে প্রেরিত হতে পারে।
11 পরে হারুন নিজের গুনাহ্-কোরবানীর ষাঁড় এনে নিজের ও নিজের কুলের জন্য কাফ্ফারা দেবে, ফলত সে তার গুনাহ্-কোরবানীর জন্য আনা সেই বাছুরটিকে জবেহ্ করবে;
12 আর মাবুদের সম্মুখ থেকে, কোরবানগাহ্র উপর থেকে, জ্বলন্ত অঙ্গারে পূর্ণ ধূপদানী ও এক মুষ্টি মিহি করা সুগন্ধি ধূপ নিয়ে পর্দার ভিতরে যাবে।
13 আর ঐ ধূপ মাবুদের সম্মুখে আগুনে দেবে; তাতে শরীয়ত-সিন্দুকের উপরিস্থ গুনাহ্ আবরণ ধূপের ধোঁয়ার মেঘে আচ্ছন্ন হলে সে মরবে না।
14 পরে সে ঐ বাছুরটির কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে গুনাহ্ আবরণের পূর্ব পাশে আঙ্গুল দ্বারা ছিটিয়ে দেবে এবং আঙ্গুল দ্বারা গুনাহ্ আবরণের সম্মুখে ঐ রক্ত সাতবার ছিটিয়ে দেবে।
15 পরে সে লোকদের গুনাহ্-কোরবানীর ছাগলটি জবেহ্ করে তার রক্ত পর্দার ভিতরে এনে যেমন বাছুরটির রক্ত ছিটিয়ে দিয়েছিল, সেভাবে তারও রক্ত নিয়ে ছিটিয়ে দেবে, গুনাহ্ আবরণের উপরে ও গুনাহ্ আবরণের সম্মুখে তা ছিটিয়ে দেবে।
16 আর বনি-ইসরাইলদের নানা রকম নাপাকীতা ও অধর্ম, অর্থাৎ সব রকম গুনাহের দরুন সে পবিত্র স্থানের জন্য কাফ্ফারা দেবে এবং যে জমায়েত-তাঁবু তাদের সঙ্গে তাদের নানা রকম নাপাকীতার মধ্যে বসতি করে, তার জন্য সে সেরকম করবে।
17 আর কাফ্ফারা করার জন্য পবিত্র স্থানে প্রবেশ করার পর থেকে যে পর্যন্ত সে বের না হয় এবং তার ও তার নিজের কুলের এবং সমস্ত ইসরাইল-সমাজের জন্য কাফ্ফারা সমাপ্ত না করে, সেই পর্যন্ত জমায়েত-তাঁবুতে কোন মানুষ থাকবে না।
18 সে বের হয়ে মাবুদের সম্মুখবর্তী কোরবানগাহ্র কাছে গিয়ে তার জন্য কাফ্ফারা দেবে এবং সেই বাছুরটির কিঞ্চিৎ রক্ত ও ছাগলের কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে কোরবানগাহ্র চারদিকে শিংগুলোর উপরে দেবে।
19 আর সে রক্তের কিছু পরিমাণ নিয়ে তার আঙ্গুল দ্বারা তার উপরে সাতবার ছিটিয়ে দিয়ে তা পাক-সাফ করবে ও বনি-ইসরাইলদের নাপাকীতা থেকে তা পবিত্র করবে।
20 এভাবে সে পবিত্র স্থানের, জমায়েত-তাঁবু ও কোরবানগাহ্র জন্য কাফ্ফারা কাজ সমাপ্ত করার পর সেই জীবিত ছাগলটি আনবে;
21 পরে হারুন সেই জীবিত ছাগল-টির মাথায় তার দুই হাত রাখবে এবং বনি-ইসরাইলদের সমস্ত অপরাধ ও তাদের সমস্ত অধর্ম অর্থাৎ তাদের সব রকম গুনাহ্ তার উপরে স্বীকার করে সেসব ঐ ছাগলের মাথায় অর্পণ করবে। পরে এই কাজের জন্য যে লোক প্রস্তুত হয়েছে তার হাত দিয়ে সেটি মরুভূমিতে পাঠিয়ে দেবে।
22 আর ঐ ছাগল নিজের উপরে তাদের সমস্ত অপরাধ বিচ্ছিন্ন ভূমিতে বয়ে নিয়ে যাবে; আর সেই ব্যক্তি ছাগলটিকে মরুভূমিতে ছেড়ে দেবে।
23 আর হারুন জমায়েত-তাঁবুতে প্রবেশ করবে এবং পবিত্র স্থানে প্রবেশ করার সময়ে যেসব মসীনার পোশাক পরেছিল তা ত্যাগ করে সেই স্থানে রাখবে।
24 পরে সে কোন পবিত্র স্থানে তার শরীর ধুয়ে ফেলে নিজের পোশাক পরে বাইরে আসবে এবং নিজের পোড়ানো-কোরবানী ও লোকদের পোড়ানো-কোরবানী করে নিজের জন্য ও লোকদের জন্য কাফ্ফারা দেবে।
25 আর সে গুনাহ্-কোরবানীর চর্বি কোরবানগাহের উপর পুড়িয়ে ফেলবে।
26 আর যে ব্যক্তি আজাজিলের জন্য নির্দিষ্ট ছাগলটি ছেড়ে দিয়েছিল, সে নিজের কাপড় ধুয়ে ফেলবে ও শরীর ধুয়ে নিয়ে শিবিরে ফিরে আসবে।
27 আর গুনাহ্-কোরবানীর ষাঁড় ও গুনাহ্-কোরবানীর ছাগল, যে সমস্ত পশুর রক্ত কাফ্ফারা করার জন্য পবিত্র স্থানে আনা হয়েছিল, লোকেরা সেই পশুগুলোকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে তাদের চামড়া, গোশ্ত ও গোবর আগুনে পুড়িয়ে দেবে।
28 আর যে লোক তা পুড়িয়ে দেবে, সে নিজের কাপড় ধুয়ে ফেলবে ও নিজের শরীর পানিতে ধুয়ে নিয়ে তারপর শিবিরে আসবে।
29 তোমাদের জন্য তা চিরস্থায়ী নিয়ম হবে; সপ্তম মাসের দশম দিনে স্বদেশী কিংবা তোমাদের মধ্যে প্রবাসকারী বিদেশী, তোমরা নিজ নিজ প্রাণকে কষ্ট দেবে ও কোন কাজ করবে না।
30 কেননা সেদিন তোমাদেরকে পাক-সাফ করার জন্য তোমাদের জন্য কাফ্ফারা করা যাবে; মাবুদের সম্মুখে তোমাদের সমস্ত গুনাহ্ থেকে তোমরা পাক-পবিত্র হবে।
31 তা তোমাদের বিশ্রাম নেবার জন্য বিশ্রামবার এবং এই দিন তোমরা নিজ নিজ প্রাণকে কষ্ট দেবে; এটি চিরস্থায়ী নিয়ম।
32 পিতার স্থানে ইমামের কাজ করতে যাকে অভিষেক ও পবিত্রকরণ দ্বারা নিযুক্ত করা যাবে, সেই ইমাম কাফ্ফারা দেবে এবং মসীনার পোশাক অর্থাৎ পবিত্র সমস্ত পোশাক পরবে।
33 আর পবিত্র স্থানের জন্য কাফ্ফারা দেবে এবং জমায়েত-তাঁবুর ও কোরবানগাহ্র জন্য কাফ্ফারা দেবে এবং ইমামদের ও সমাজের সমস্ত লোকের জন্য কাফ্ফারা দেবে।
34 বনি-ইসরাইলদের জন্য তাদের সমস্ত গুনাহের দরুন বছরের মধ্যে একবার কাফ্ফারা করা তোমাদের পক্ষে চিরস্থায়ী নিয়ম হবে।তখন হারুন মূসার প্রতি মাবুদের হুকুম অনুসারে কাজ করলেন।