1 আর মাবুদ মূসাকে বললেন,
2 কেউ যদি গুনাহ্ করে মাবুদের বিরুদ্ধে সত্য লঙ্ঘন করে, যদি গচ্ছিত অথবা বন্ধক হিসেবে দেওয়া কিংবা অপহৃত বস্তুর বিষয়ে স্বজাতির কোন লোকের কাছে মিথ্যা কথা বলে,
3 কিংবা স্বজাতির কোন লোকের প্রতি অন্যায় করে, কিংবা হারানো জিনিস পেয়ে সেই বিষয়ে মিথ্যা কথা বলে ও মিথ্যা কসম খেয়ে, এর যে কোন কাজ দ্বারা কোন ব্যক্তি সেই বিষয়ে গুনাহ্ করে,
4 যদি সে এরকম গুনাহ্ করে দোষী হয়ে থাকে তবে সে যা সবলে হরণ করেছে, অথবা অন্যায় দ্বারা পেয়েছে, কিংবা যে গচ্ছিত বস্তু তার কাছ রাখা হয়েছে, কিংবা সে যে হারানো বস্তু পেয়ে রেখেছে,
5 কিংবা যে কোন বিষয়ে সে মিথ্যা কসম খেয়েছে, সেই বস্তু সমপূর্ণ ফিরিয়ে দেবে এবং তার পাঁচ অংশের এক অংশ বেশি ফিরিয়ে দেবে; তার দোষ প্রকাশের দিনে সে দ্রব্যের মালিককে তা দেবে।
6 সে মাবুদের কাছে নিজের দোষ-কোরবানী উপস্থিত করবে, ফলত তোমার নির্ধারিত মূল্য দিয়ে পাল থেকে একটি নিখুঁত ভেড়া দোষ-কোরবানী হিসেবে ইমামের কাছে আনবে।
7 পরে ইমাম মাবুদের সম্মুখে তার জন্য কাফ্ফারা দেবে; তাতে যে কোন কাজ দ্বারা সে দোষী হয়েছে, তার মাফ পাবে।
8 পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,
9 তুমি হারুন ও তার পুত্রদেরকে এই হুকুম দাও যে, পোড়ানো-কোরবানীর জন্য এ হল ব্যবস্থা; পোড়ানো-কোরবানী প্রভাত পর্যন্ত সমস্ত রাত কোরবানগাহ্র আগুনের উপরে থাকবে এবং কোরবানগাহ্র আগুন জ্বলতে থাকবে।
10 আর ইমাম নিজের পরিধেয় মসীনার পোশাক পরবে ও মসীনার কাপড়ের জাঙ্গিয়া পরবে এবং কোরবানগাহ্র উপরে অগ্নিকৃত পোড়ানো-কোরবানীর যে ভস্ম আছে তা তুলে কোরবানগাহ্র পাশে রাখবে।
11 পরে সে নিজের পোশাক ত্যাগ করে অন্য পোশাক পরে শিবিরের বাইরে কোন পাক-পবিত্র স্থানে ভস্ম নিয়ে যাবে।
12 আর কোরবানগাহ্র উপরিস্থ আগুন জ্বলতে থাকবে, নিভিয়ে ফেলা হবে না; ইমাম প্রতিদিন খুব ভোরে তার উপরে কাঠ জ্বালাবে এবং তার উপরে পোড়ানো-কোরবানী সাজিয়ে দেবে ও মঙ্গল-কোরবানীর চর্বি তাতে পুড়িয়ে ফেলবে।
13 কোরবানগাহ্র উপরে আগুন সব সময় জ্বালিয়ে রাখতে হবে; তা নিভিয়ে ফেলা যাবে না।
14 আর শস্য-উৎসর্গের এই ব্যবস্থা; হারুনের পুত্ররা কোরবানগাহ্র কাছে মাবুদের সম্মুখে তা আনবে।
15 পরে ইমাম তা থেকে এক মুষ্টি পূর্ণ করে, কোরবানীর কিঞ্চিৎ সুজি ও কিঞ্চিৎ তেল এবং কোরবানীর উপরিস্থ সমস্ত কুন্দুরু নিয়ে তার স্মরণ করার অংশ হিসেবে মাবুদের উদ্দেশে খোশবুর জন্য কোরবানগাহের উপর পুড়িয়ে ফেলবে।
16 আর হারুন ও তার পুত্ররা তার অবশিষ্ট অংশ ভোজন করবে; বিনা খামিতে কোন পবিত্র স্থানে তা ভোজন করতে হবে; তারা জমায়েত-তাঁবুর প্রাঙ্গণে তা ভোজন করবে।
17 খামির সঙ্গে তা পাক-করা হবে না। আমি আমার অগ্নিকৃত উপহার থেকে তাদের প্রাপ্য অংশ বলে তা দিলাম; গুনাহ্-কোরবানীর ও দোষ-কোরবানীর মত তা অতি পবিত্র।
18 হারুনের সন্তানদের মধ্যে সমস্ত পুরুষ তা ভোজন করবে। মাবুদের অগ্নিকৃত উপহার থেকে তা পুরুষানুক্রমে চিরকাল তোমাদের অধিকার; যে কেউ তা স্পর্শ করবে, তার পবিত্র হওয়া চাই।
19 পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,
20 অভিষেকের দিনে হারুন ও তার পুত্ররা মাবুদের উদ্দেশে এই উপহার কোরবানী করবে, নিয়মিত শস্য-উৎসর্গের জন্য ঐফার দশ ভাগের এক ভাগ মিহি সুজি, সকাল-বেলা অর্ধেক ও সন্ধ্যাবেলা অর্ধেক।
21 তারা ভাজবার পাত্রে তেল দিয়ে তা ভাজবে। সেগুলো তৈলসিক্ত হলে তুমি তা এনে টুকরা টুকরা করে শস্য-উৎসর্গ হিসেবে মাবুদের উদ্দেশে খোশবুর জন্য উৎসর্গ করবে।
22 পরে হারুনের পুত্রদের মধ্যে যে তার পদে অভিষিক্ত ইমাম হবে, সে তা কোরবানী করবে। চিরস্থায়ী নিয়ম অনুসারে তা মাবুদের উদ্দেশে সমপূর্ণভাবে পুড়িয়ে দিতে হবে।
23 আর ইমামের প্রত্যেক শস্য-উৎসর্গ সমপূর্ণভাবে পুড়িয়ে দিতে হবে; তার কিছু খাওয়া চলবে না।
24 পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,
25 তুমি হারুন ও তার পুত্রদেরকে বল, গুনাহ্-কোরবানীর এই ব্যবস্থা; যে স্থানে পোড়ানো-কোরবানী করা হয়, সেই স্থানে মাবুদের সম্মুখে গুনাহ্-কোরবানীও করা হবে; তা অতি পবিত্র।
26 যে ইমাম গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে তা কোরবানী করে সে তা ভোজন করবে; জমায়েত-তাঁবুর প্রাঙ্গণে কোন পবিত্র স্থানে তা খেতে হবে।
27 যে কেউ তার গোশ্ত স্পর্শ করে, তার পাক-সাফ হওয়া চাই এবং তার রক্তের ছিটা যদি কোন কাপড়ে লাগে তবে তুমি সেই পোশাক পবিত্র স্থানে ধুয়ে নেবে।
28 আর যে মাটির পাত্রে তা পাক-করা হয় তা ভেঙে ফেলতে হবে; যদি ব্রোঞ্জের পাত্রে তা পাক-করা হয় তবে তা পানিতে মেজে পরিষ্কার করতে হবে।
29 ইমামদের মধ্যে সমস্ত পুরুষ তা ভোজন করতে পারবে; তা অতি পবিত্র।
30 কিন্তু পবিত্র স্থানে কাফ্ফারা করতে যে কোন গুনাহ্-কোরবানীর রক্ত জমায়েত-তাঁবুর ভিতরে আনতে হবে, তা ভোজন করা চলবে না, আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।