1 আর মাবুদ মূসাকে বললেন,
2 তুমি বনি-ইসরাইলকে আরও বল, বনি-ইসরাইলদের কোন ব্যক্তি কিংবা ইসরাইলের মধ্যে প্রবাসকারী কোন বিদেশী লোক যদি তার বংশের কাউকেও মোলক দেবতার উদ্দেশে কোরবানী করে তবে অবশ্যই তার প্রাণদণ্ড হবে, দেশের লোকেরা তাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে।
3 আর আমিও সেই ব্যক্তির প্রতি বিমুখ হয়ে নিজের লোকদের মধ্য থেকে তাকে মুছে ফেলব; কেননা মোলক দেবতার উদ্দেশে নিজের বংশজাতকে কোরবানী করাতে সে আমার পবিত্র স্থান ও আমার পবিত্র নাম নাপাক করে।
4 আর যে সময়ে সেই ব্যক্তি তার বংশের কাউকেও মোলক দেবতার উদ্দেশে কোরবানী করে, সেই সময় যদি দেশীয় লোকেরা দেখেও না দেখে, তাকে হত্যা না করে,
5 তবে আমি সেই ব্যক্তির প্রতি ও তার গোষ্ঠীর প্রতি বিমুখ হয়ে তাকে ও মোলক দেবতার সঙ্গে জেনা করার জন্য তার অনুগামী জেনাকারী সকলকে তাদের লোকদের মধ্য থেকে মুছে ফেলব।
6 আর যে কোন ব্যক্তি ওঝা কিংবা গুনিনদের পিছনে চলে জেনা করার জন্য তাদের অভিমুখ হয়, আমি সেই ব্যক্তির প্রতি বিমুখ হয়ে নিজের লোকদের মধ্য থেকে তাকে মুছে ফেলব।
7 তোমরা নিজেদের পবিত্র কর, পবিত্র হও; কেননা আমি মাবুদ তোমাদের আল্লাহ্।
8 আর তোমরা আমার বিধি মান্য করো, পালন করো; আমি মাবুদ তোমাদের পবিত্রকারী।
9 যে কেউ তার পিতাকে কিংবা মাতাকে বদদোয়া দেয়, তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; পিতামাতাকে বদদোয়া দেওয়াতে তার রক্ত তারই উপরে বর্তাবে।
10 আর যে ব্যক্তি পরের স্ত্রীর সঙ্গে জেনা করে, যে ব্যক্তি প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে জেনা করে, সেই জেনাকারী ও সেই জেনাকারীণী, উভয়ের অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
11 আর যে ব্যক্তি তার পিতার স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে সে তার পিতার অবমাননা করে; তাদের দু’জনের অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে, তাদের রক্ত তাদের উপরে বর্তাবে।
12 এবং যদি কেউ নিজের পুত্রবধূর সঙ্গে শয়ন করে তবে তাদের দু’জনের অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; তারা বিপরীত কাজ করেছে; তাদের রক্ত তাদের উপরে বর্তাবে।
13 আর যেমন স্ত্রীর সঙ্গে তেমনি পুরুষ যদি পুরুষের সঙ্গে শয়ন করে তবে তারা দু’জনে ঘৃণার কাজ করে; তাদের অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; তাদের রক্ত তাদের উপরে বর্তাবে।
14 আর যদি কেউ কোন স্ত্রীকে ও তার মাতাকে রাখে তবে তা কুকর্ম; তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে, তাকে ও তাদের দু’জনকেই পুড়িয়ে দিতে হবে; যেন তোমাদের মধ্যে কুকাজ না হয়।
15 আর যে কেউ কোন পশুর সঙ্গে শয়ন করে, তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; এবং তোমরা সেই পশুকেও হত্যা করবে।
16 আর কোন স্ত্রী যদি পশুর কাছে গিয়ে তার সঙ্গে শয়ন করে তবে তুমি সেই স্ত্রী ও সেই পশুকে হত্যা করবে; তাদের অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে, তাদের রক্ত তাদের উপরে বর্তাবে।
17 আর যদি কেউ আপন বোনকে, পিতৃকন্যা কিংবা মাতৃকন্যাকে গ্রহণ করে ও উভয়ে উভয়ের আবরণীয় দেখে তবে তা লজ্জাস্কর বিষয়; তারা নিজের জাতির সন্তানদের সাক্ষাতে উচ্ছিন্ন হবে; আপন বোনের ইজ্জত নষ্ট করাতে সে তার অপরাধ বহন করবে।
18 আর যদি কেউ মাসিক হয়েছে এমন স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে ও তার আবরণীয় অনাবৃত করে তবে সেই পুরুষ তার রক্তের উৎস প্রকাশ করাতে ও সেই স্ত্রী নিজের রক্তের উৎস অনাবৃত করাতে তারা উভয়ে নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন হবে।
19 আর তুমি আপন খালার কিংবা ফুফুর ইজ্জত নষ্ট করো না; তা করলে তোমার নিকটবর্তী আত্মীয়ার অসম্মান করা হয়, তারা উভয়েই নিজ নিজ অপরাধ বহন করবে।
20 আর যদি কেউ তার চাচীর সঙ্গে শয়ন করে, তাতে তার চাচার অসম্মান করা হয়; তারা নিজ নিজ গুনাহ্ বহন করবে, নিঃসন্তান হয়ে মরবে।
21 আর যদি কেউ আপন ভাইয়ের স্ত্রীকে গ্রহণ করে, তা নাপাক কাজ; আপন ভাইয়ের স্ত্রীর ইজ্জত নষ্ট করাতে তারা নিঃসন্তান থাকবে।
22 তোমরা আমার সমস্ত বিধি ও আমার সমস্ত অনুশাসন মান্য করো, পালন করো; যেন আমি তোমাদের বসবাসের জন্য তোমাদেরকে যে দেশে নিয়ে যাচ্ছি, সেই দেশ তোমাদেরকে বিতাড়িত না করে।
23 আর আমি তোমাদের সম্মুখ থেকে যে জাতিকে দূর করতে উদ্যত, তার আচার অনুযায়ী আচরণ করো না; কেননা তারা ঐ সমস্ত কাজ করতো, এজন্য আমি তাদেরকে ঘৃণা করলাম।
24 কিন্তু আমি তোমাদেরকে বলেছি, তোমরাই তাদের দেশ অধিকার করবে, আমি তোমাদের অধিকার হিসেবে সেই দুগ্ধমধু প্রবাহী দেশ দেব; আমি মাবুদ তোমাদের আল্লাহ্; আমি অন্য সমস্ত জাতি থেকে তোমাদেরকে পৃথক করেছি।
25 অতএব তোমরা পাক নাপাক পশুর ও পাক নাপাক পাখির প্রভেদ করবে; আমি যে যে পশু, পাখি ও ভূচর কীটাদি জন্তুকে নাপাক বলে তোমাদের থেকে পৃথক করলাম, সেই সবের দ্বারা তোমরা তোমাদের প্রাণকে ঘৃণার বস্তু করো না।
26 আর তোমরা আমার উদ্দেশে পবিত্র হও, কেননা আমি মাবুদ পবিত্র এবং আমি তোমাদেরকে অন্য সব জাতি থেকে পৃথক করেছি, যেন তোমরা আমারই হও।
27 আর পুরুষের কিংবা স্ত্রীর মধ্যে যে কেউ ওঝা কিংবা গুনিন হয়, তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; লোকে তাদেরকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; তাদের রক্ত তাদের প্রতি বর্তাবে।