1 ছেলে আমার, তুমি আমার শিক্ষা ভুলে যেয়ো না,সমস্ত অন্তর দিয়ে তুমি আমার আদেশ পালন কর;
2 কারণ তাতে তুমি অনেক আয়ু পাবেআর তোমার অনেক মংগল হবে।
3 বিশ্বস্ততা আর সততা যেন কখনও তোমাকে ছেড়ে না যায়;তোমার গলায় সেগুলো বেঁধে রাখ,তোমার অন্তরের পাতায় সেগুলো লিখে রাখ।
4 তা করলে ঈশ্বর ও মানুষের সামনেতুমি দয়া ও সুনাম লাভ করবে।
5 তোমার সমস্ত অন্তর দিয়ে সদাপ্রভুর উপর নির্ভর কর;তোমার নিজের বিচারবুুদ্ধির উপর ভরসা কোরো না।
6 তোমার সমস্ত চলবার পথে তাঁকে সামনে রাখ;তিনিই তোমার সব পথ সোজা করে দেবেন।
7 তোমার নিজের চোখে জ্ঞানী হোয়ো না;সদাপ্রভুকে ভক্তিপূর্ণ ভয় কর, মন্দ থেকে দূরে যাও।
8 তাতে তুমি স্বাস্থ্যবান হবে আর তোমার হাড় পুষ্ট হবে।
9 তোমার ধন-সম্পদ দিয়েআর তোমার প্রথমে কাটা ফসলের অংশ উৎসর্গ করেতুমি সদাপ্রভুকে সম্মান দেখাও;
10 তাতে তোমার গোলাঘরগুলো প্রচুর শস্যে ভরে যাবেআর তোমার জালাগুলো থেকে নতুন আংগুর-রস উপ্চে পড়বে।
11 ছেলে আমার, সদাপ্রভুর শাসন অগ্রাহ্য কোরো না,তিনি বকুনি দিলে তা তুচ্ছ কোরো না;
12 কারণ বাবা যেমন তাঁর প্রিয় ছেলেকে ভীষণ বকুনি দেন,ঠিক তেমনি সদাপ্রভু যাকে ভালবাসেন তাকেই বকুনি দেন।
13 ধন্য সেই লোক যে সুবুদ্ধির খোঁজ পায় আর বিচারবুদ্ধি লাভ করে,
14 কারণ তাতে রূপার ব্যবসার চেয়েও বেশী লাভ পাওয়া যায়,সোনার চেয়েও তাতে বেশী লাভ হয়;
15 প্রবাল পাথরের চেয়েও সুবুদ্ধি বেশী দামী,তোমার চাওয়ার মত কোন জিনিসের সংগে তার তুলনা হয় না।
16 তার ডান হাতে আছে অনেক আয়ু,বাঁ হাতে আছে ধন আর সম্মান।
17 তার পথে পাওয়া যায় আনন্দ,আর তার সমস্ত পথেই আছে মংগল।
18 যারা তাকে ধরে তাদের কাছে তা জীবন গাছের মত;যারা তাকে আঁকড়ে ধরে তারা আশীর্বাদ পায়।
19 সদাপ্রভু সুবুদ্ধি দিয়ে পৃথিবীর ভিত্তি গেঁথেছেন,বিচারবুদ্ধি দিয়ে মহাকাশকে তার জায়গায় রেখেছেন।
20 তিনি জ্ঞান দিয়ে মাটির নীচের জল বের করে এনেছেন,আর আকাশ থেকে ফোঁটা ফোঁটা শিশির পড়ে।
21 ছেলে আমার, তুমি উপস্থিত বুদ্ধি ও বিচারবুদ্ধি রক্ষা কোরো,তাতে মনোযোগ দিয়ো।
22 তোমার জন্য তা হবে জীবন,তোমার গলার জন্য তা হবে সুন্দর হারের মত।
23 তখন তুমি নিরাপদে তোমার পথে চলতে পারবে,তোমার পায়ে উছোট লাগবে না।
24 শোবার সময় তুমি ভয় পাবে না,আর তোমার ঘুম হবে সুখের।
25 হঠাৎ বিপদ আসলে তুমি ভয় কোরো না,দুষ্ট লোকের ধ্বংস দেখে ভয় পেয়ো না;
26 কারণ তুমি সদাপ্রভুর উপরে নির্ভর করবে,আর তিনি ফাঁদে পড়া থেকে তোমার পা রক্ষা করবেন।
27 যারা উপকার পাবার উপযুক্ততাদের উপকার করবার ক্ষমতা যখন তোমার হাতে থাকবেতখন তা করতে তুমি অস্বীকার কোরো না।
28 সাহায্য করবার ক্ষমতা তোমার হাতে থাকলে কাউকে বোলো না,“যাও, পরে এসো, কালকে করব।”
29 তোমার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে কোন কুমতলব কোরো না,সে তো তোমার পাশে নিশ্চিন্তে বাস করে।
30 যে লোক তোমার কোন ক্ষতি করে নি,বিনা কারণে তাকে দোষী কোরো না।
31 কোন অত্যাচারী লোককে দেখে হিংসায় জ্বলতে থেকো না,কিম্বা তার কোন পথও তুমি বেছে নিয়ো না;
32 কারণ বাঁকা পথে যাওয়া মানুষকে সদাপ্রভু ঘৃণা করেন,কিন্তু খাঁটি অন্তরের লোকের সংগে তিনি যোগাযোগ রাখেন।
33 দুষ্ট লোকের ঘরের উপর সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে,কিন্তু ঈশ্বরভক্তদের বাড়ীকে তিনি আশীর্বাদ করেন।
34 যারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তাদেরও তিনি ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেন,কিন্তু নম্রদের দয়া করেন।
35 জ্ঞানীরা সম্মান পাবে,কিন্তু বিবেচনাহীনদের পাওনা হল লজ্জা।