1 ঈশ্বরের দেওয়া কথা যাকির ছেলে আগূর ইথীয়েলের কাছে,হ্যাঁ, ইথীয়েল ও উকলের কাছে বলেছিলেন।
2 সত্যিই আমি মানুষ হলেও আমার বুদ্ধি পশুর মত;মানুষের যে বিচারবুদ্ধি আছে তা-ও আমার নেই।
3 আমি জ্ঞান লাভ করি নি;পবিত্র ঈশ্বর সম্বন্ধে আমার কোন জ্ঞান নেই।
4 কে স্বর্গে উঠেছেন এবং নেমে এসেছেন?হাতের মুঠোয় কে বাতাস ধরেছেন?কে নিজের কাপড়ের মধ্যে সমস্ত জল জমা করে রেখেছেন?পৃথিবীর সব দিকের শেষ সীমা কে স্থাপন করেছেন?তাঁর নাম ও তাঁর পুত্রের নাম কি?যদি তুমি জান তবে তা আমাকে বল।
5 ঈশ্বরের সমস্ত কথা খাঁটি বলে প্রমাণিত হয়েছে;যারা তাঁর মধ্যে আশ্রয় নেয় তিনি তাদের ঢাল হন।
6 তাঁর কথার সংগে অন্য কোন কথা যোগ কোরো না;যোগ করলে তিনি তোমার দোষ দেখিয়ে দেবেন,আর তুমি মিথ্যাবাদী বলে প্রমাণিত হবে।
7 হে সদাপ্রভু, দু’টি জিনিস আমি তোমার কাছ থেকে চাই;আমি বেঁচে থাকতে থাকতেতুমি তা আমাকে দিতে অস্বীকার কোরো না-
8 ছলনা এবং মিথ্যা কথা আমার কাছ থেকে দূরে রাখ,আমাকে গরীব বা ধনী কোরো না।যে খাবার আমার দরকার কেবল তা-ই আমাকে দিয়ো,
9 তা না হলে হয়তো আমার অতিরিক্ত থাকবেআর আমি তোমাকে অস্বীকার করে বলব, “সদাপ্রভু কে?”কিম্বা আমি গরীব হয়ে চুরি করবআর আমার ঈশ্বরের নামের অসম্মান করব।
10 মনিবের কাছে দাসের দুর্নাম কোরো না,তা করলে সেই দাস তোমাকে অভিশাপ দেবেআর তুমি দোষী হবে।
11 এমন অনেক লোক আছে যারা এই রকম-তারা বাবাকে অভিশাপ দেয় আর মায়ের মংগল চায় না,
12 তারা নিজেদের চোখে খাঁটি অথচ নোংরামি থেকে শুচি হয় নি,
13 তাদের চোখ অহংকারে ভরা,তাদের দৃষ্টি ঘৃণায় পূর্ণ,
14 তাদের দাঁত যেন তলোয়ার আর চোয়াল যেন ছুরি,যাতে তারা পৃথিবী থেকে দুঃখী লোকদেরআর মানুষের মধ্য থেকে অভাবীদের গ্রাস করতে পারে।
15 জোঁকের দু’টি মেয়ে আছে,তারা “দাও, দাও” বলে চিৎকার করে।তিনটা জিনিস আছে যা কখনও তৃপ্ত হয় না,আসলে চারটা জিনিস কখনও বলে না, “যথেষ্ট হয়েছে”-
16 মৃতস্থান,বন্ধ্যা স্ত্রীলোক,জমি, যা কখনও জলে তৃপ্ত হয় না,আর আগুন, যা কখনও বলে না, “যথেষ্ট হয়েছে।”
17 যে চোখ বাবাকে ঠাট্টা করেআর মায়ের কথার বাধ্য হতে ঘৃণার সংগে অস্বীকার করে,সেই চোখ উপত্যকার কাকেরা ঠুক্রে বের করে নেবে,আর শকুনের বাচ্চারা তা খেয়ে ফেলবে।
18 তিনটা জিনিস আমার কাছে খুব আশ্চর্য লাগে,আসলে চারটা জিনিস আমি বুঝতেই পারি না-
19 কেমন করে ঈগল আকাশে ওড়ে,কেমন করে সাপ পাথরের উপরে চলে,কেমন করে জাহাজ মহাসমুদ্রে চলে,কেমন করে পুরুষ ও যুবতী মেয়ের মিলনের ফলেজীবনের আরম্ভ হয়।
20 ব্যভিচারিণী স্ত্রীলোকের ব্যবহার আমি বুঝতে পারি না;সে ব্যভিচারের পরে স্নান করে বলে,“আমি তো কোন অন্যায় করি নি।”
21 পৃথিবী তিনটার ভারে কাঁপে,আসলে চারটার ভার সে সহ্য করতে পারে না-
22 দাসের ভার যখন সে রাজা হয়,নীচমনা লোকের ভার যখন সে পেট ভরে খায়,
23 ঘৃণিতা স্ত্রীলোকের ভার যখন সে স্ত্রীর অধিকার পায়,আর চাকরাণীর ভার যখন সে কর্ত্রীর স্থান পায়।
24 পৃথিবীতে চারটা জিনিস ছোট, তবুও সেগুলো খুব জ্ঞানে পূর্ণ-
25 পিঁপড়া এমন এক জাতের প্রাণী যাদের শক্তি খুবই কম,তবুও গরমকালে তারা খাবার জমা করে;
26 শাফন এমন এক জাতের প্রাণী যাদের ক্ষমতা খুবই কম,তবুও খাড়া পাথরের গায়ে তারা ঘর বাঁধে;
27 পংগপালদের রাজা নেই, তবুও তারা সারি বেঁধে এগিয়ে যায়;
28 টিক্টিকি হাত দিয়ে ধরা যায়, তবুও সে রাজার বাড়ীতে থাকে।
29 তিনটা জিনিস আছে যারা গৌরবের সংগে পা ফেলে,আসলে চারটা জিনিস গৌরবের সংগে চলে-
30 সিংহ, যে জন্তুদের মধ্যে শক্তিশালীএবং কোন জন্তুর সামনে থেকে পালায় না;
31 বুক ফুলিয়ে হাঁটা মোরগ,পাঁঠা ছাগল,আর সৈন্যদলে ঘেরা রাজা।
32 যদি তুমি নিজেকে বড় করে তুলে বোকামি করকিম্বা অন্যদের বিরুদ্ধে কুমতলব কর,তবে হাত মুখের উপরে চাপা দাও।
33 দুধ ফেটালে যেমন মাখন বের হয়,নাক মোচড়ালে যেমন রক্ত বের হয়,তেমনি রাগকে খুঁচিয়ে তুললে ঝগড়া-বিবাদ বের হয়।