1 ইয়ারমিয়ার কাছে মাবুদের এই কালাম নাজেল হল,
2 তোমরা এই নিয়মের কথা শোন এবং এহুদার লোকদের কাছে ও জেরুশালেম-নিবাসীদের কাছে বল।
3 তুমি তাদেরকে বল, মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্ এই কথা বলেন, এই নিয়মের কথা যে কেউ না মানবে, সে বদদোয়াগ্রস্ত হোক।
4 মিসর দেশ থেকে, সেই লোহার হাপর থেকে, তোমাদের পূর্বপুরুষদের বের করে আনবার দিনে আমি তাদের তা হুকুম করেছিলাম, বলেছিলাম, ‘তোমরা আমার কথায় মনোযোগ দিয়ো এবং আমি তোমাদের যেসব হুকুম দিই, তা পালন করো, তাতে তোমরা আমার লোক হবে এবং আমি তোমাদের আল্লাহ্ হব;
5 যেন আমি সেই শপথ সিদ্ধ করতে পারি, যে শপথ তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে, তাদেরকে আজকের মত এই দুগ্ধ-মধু-প্রবাহী দেশ দেবার জন্য করেছিলাম।’ তখন আমি জবাব দিলাম, বললাম, আমিন, মাবুদ।
6 আর মাবুদ আমাকে বললেন, তুমি এহুদার নগরে নগরে ও জেরুশালেমের পথে পথে এ সব কথা তবলিগ কর, বল, তোমরা এই নিয়মের কথা শোন ও সেসব পালন কর।
7 কেননা যেদিন আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে মিসর দেশ থেকে উঠিয়ে এনেছিলাম, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছি, খুব ভোরে উঠে আমি তাদেরকে দৃঢ়ভাবে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছি, তোমরা আমার কথা মান্য কর।
8 তবু তারা মনযোগ দিল না, কান দিল না, কিন্তু প্রত্যেকে নিজ নিজ দুষ্ট হৃদয়ের কঠিনতা অনুসারে আচরণ করলো; সেজন্য আমি এই নিয়মের সমস্ত কথা তাদের উপরে আরোপ করলাম; যে নিয়ম আমি তাদেরকে পালন করতে হুকুম দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা পালন করে নি।
9 আর মাবুদ আমাকে বললেন, এহুদার লোকদের মধ্যে ও জেরুশালেম নিবাসীদের মধ্যে চক্রান্ত পাওয়া গেছে।
10 তারা নিজেদের সেই পূর্বপুরুষদের অপরাধের প্রতি ফিরেছে, যারা আমার কথা শুনতে অস্বীকার করেছিল; আর তারা সেবা করবার জন্য অন্য দেবতাদের পিছনে গেছে; ইসরাইল-কুল ও এহুদা-কুল আমার সেই নিয়ম ভঙ্গ করেছে, যা আমি তাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে করেছিলাম।
11 অতএব মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি তাদের প্রতি অমঙ্গল ঘটাবো, তারা তা থেকে রক্ষা পেতে পারবে না; তখন তারা আমার কাছে কান্নাকাটি করবে, কিন্তু আমি তাদের কথা শুনব না।
12 আর এহুদার নগরগুলো ও জেরুশালেম-নিবাসীরা যে দেবতাদের কাছে ধূপ জ্বালিয়ে থাকে, তাদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করবে, কিন্তু তারা বিপদের সময়ে তাদেরকে কোন মতে নিস্তার করবে না।
13 বস্তুত হে এহুদা, তোমার যত নগর তত দেবতা; এবং জেরুশালেমের যত সড়ক, তোমরা সেই লজ্জাস্পদ দেবতাদের জন্য তত কোরবানগাহ্, বালের উদ্দেশে ধূপ জ্বালাবার জন্য তত ধূপগাহ্ স্থাপন করেছ।
14 অতএব তুমি এই জাতির জন্য মুনাজাত করো না, এদের জন্য খেদোক্তি কি মুনাজাত উৎসর্গ করো না, কেননা এরা বিপদে পড়ে যে সময়ে আমাকে ডাকবে, তখন আমি এদের কথা শোনব না।
15 আমার বাড়িতে আমার প্রিয়ার কি কাজ? সে তো অনেকের সঙ্গে জেনা করেছে এবং ওয়াদা ও কোরবানীর গোশ্ত দ্বারা কি তুমি শাস্তি এড়াতে পারবে? তুমি যখন দুষ্কর্ম কর, তখনই উল্লাস করে থাক।
16 মাবুদ তোমার নাম ‘ফলশোভায় মনোহর সবুজ জলপাই গাছ’ রেখেছিলেন; তিনি মহা তুমুল-শব্দ সহকারে তার উপরে আগুন জ্বালিয়েছেন, তাই তার ডালগুলো ভেঙ্গে পড়লো।
17 বাস্তবিক বাহিনীগণের মাবুদ, যিনি তোমাকে রোপণ করেছিলেন, তিনি তোমার বিরুদ্ধে অমঙ্গলের কথা বলেছেন, ‘ইসরাইল-কুলের ও এহুদা-কুলের নাফরমানী এর কারণ; তারা বালের কাছে ধূপ জ্বালিয়ে আমাকে অসন্তুষ্ট করাতে নিজেদের প্রতি নিজেরাই তার প্রতিফল বর্তিয়েছে।’
18 মাবুদ আমাকে জানালে পর আমি বুঝলাম; সেই সময়ে তুমি আমাকে তাদের কর্মকাণ্ড জানালে।
19 কিন্তু আমি জবেহ্ করার জন্য আনা নম্র গৃহপালিত ভেড়ার বাচ্চার মত ছিলাম; জানতাম না যে, তারা আমার বিরুদ্ধে কুমন্ত্রণা করেছে, বলেছে, এসো, আমরা ফলসুদ্ধ গাছটি নষ্ট করি, জীবিত লোকদের দেশ থেকে ওকে কেটে ফেলি, যেন ওর নাম আর স্মরণে না থাকে।
20 কিন্তু হে বাহিনীগণের মাবুদ, তুমি ধর্মত বিচার করে থাক, তুমি মর্মের ও অন্তঃকরণের পরীক্ষা করে থাক; তাদের প্রতি তোমার প্রতিশোধের দান আমাকে দেখতে দাও, কেননা তোমারই কাছে আমি আমার বিবাদের কথা নিবেদন করেছি।
21 এজন্য অনাথোতের লোকদের বিষয়ে মাবুদ এই কথা বলেন, তারা তোমার প্রাণের খোঁজ করে, বলে, তুমি মাবুদের নামে ভবিষ্যদ্বাণী বলো না, বললে আমাদের হাতে মারা পড়বে;
22 এজন্য বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি তাদেরকে প্রতিফল দেব; যুবকেরা তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়বে; তাদের পুত্রকন্যারা ক্ষুধায় মারা যাবে; তাদের অবশিষ্ট কেউ থাকবে না;
23 কেননা অনাথোতের লোকদেরকে প্রতিফল দেবার বছরে আমি তাদের প্রতি অমঙ্গল ঘটাবো।