1 অম্মোনীয়দের বিষয়। মাবুদ এই কথা বলেন, ইসরাইলের কি পুত্র নেই? তার উত্তরাধিকারী কি কেউ নেই? তবে মিল্কম কেন গাদের ভূমি অধিকার করে ও তার লোকেরা ওর নগরগুলোতে বাস করে?
2 এজন্য মাবুদ বলেন, দেখ, এমন সময় আসছে, যে সময়ে আমি অম্মোনীয়দের রব্বা নগরে যুদ্ধের সিংহনাদ শোনাব; তখন তা ধ্বংসের ঢিবি হবে এবং তার কন্যাদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হবে; সেই সময় ইসরাইল তার অধিকার-গ্রাসকারীদেরকে অধিকারচ্যুত করবে, মাবুদ এই কথা বলেন।
3 হে হিশ্বোন, হাহাকার কর, কেননা অয় বিনষ্ট হল; হে রব্বার কন্যা ক্রন্দন কর, চট পর, মাতম কর, প্রাচীরগুলোর মধ্যে দৌড়াদৌড়ি কর, কেননা মিল্কম নির্বাসনে যাবে, তার ইমাম ও নেতৃবর্গ একসঙ্গে যাবে।
4 হে বিপথগামিনী কন্যে, তুমি কেন তোমার উপত্যকাগুলো নিয়ে গর্ব করছো? তোমার উপত্যকা বিলীন হবে। অয়ি স্বধনে বিশ্বাসকারিণী, তুমি কেন বলছো, আমার বিরুদ্ধে কে আসবে?
5 প্রভু, বাহিনীগণের মাবুদ, এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমার চারদিকের সকলের থেকে তোমার প্রতি ত্রাস উপস্থিত করবো; তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ সম্মুখস্থ পথে বিতাড়িত হবে, কেউ পরিভ্রান্তকে সংগ্রহ করবে না।
6 তবুও পরে আমি অম্মোনীয়দের বন্দীদশা ফিরাব, মাবুদ এই কথা বলেন।
7 ইদোমের বিষয়। বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, তৈমনে কি আর প্রজ্ঞা নেই? বুদ্ধিমানদের মধ্যে কি মন্ত্রণার লোপ হয়েছে? তাদের জ্ঞান কি অন্তর্হিত হয়েছে?
8 হে দদান-নিবাসীরা, তোমরা পালিয়ে যাও, মুখ ফিরাও, গভীর গুহায় গিয়ে বাস কর, কেননা আমি ইসের উপরে তার বিপদ, তাকে প্রতিফল দেবার সময় উপস্থিত করবো।
9 যদি আঙ্গুর-সঞ্চয়কারীরা তোমার কাছে আসে, তারা কিছু ফল অবশিষ্ট রাখবে না; যদি রাতের বেলায় চোর আসে, তারা যথেষ্ট পেলেও ক্ষতি করবে।
10 বস্তুত আমি ইস্কে জনশুন্য করেছি, তার গুপ্ত স্থানগুলো অনাবৃত করেছি, সে কোনভাবে লুকিয়ে থাকতে পারবে না; তার বংশ, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা নষ্ট হয়েছে, সে আর নেই।
11 তুমি তোমার এতিম বালকদেরকে ত্যাগ কর, আমি তাদেরকে বাঁচাব; তোমার বিধবারাও আমাতে বিশ্বাস করুক।
12 কেননা মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, সেই পাত্রে পান করা যাদের নিয়ম ছিল না, তাদেরকে সেই পাত্রে পান করতে হবে, তবে তুমি কি নিতান্তই অদণ্ডিত থাকবে? তুমি অদণ্ডিত থাকবে না, অবশ্য পান করবে।
13 কেননা, মাবুদ বলেন, আমি আমার নামে এই কসম খেয়েছি, বস্রা বিস্ময়, টিটকারি, উৎসন্নতা ও বদদোয়ার পাত্র হবে; আর তার সমস্ত নগর চিরকাল উৎসন্ন-স্থান থাকবে।
14 আমি মাবুদের কাছ থেকে এই বার্তা শুনেছি এবং জাতিদের কাছে এক জন দূত প্রেরিত হয়েছে; তোমরা জমায়েত হও, এর বিপক্ষে যাত্রা কর, যুদ্ধ করার জন্য গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে দাঁড়াও।
15 কেননা দেখ, আমি তোমাকে জাতিদের মধ্যে ক্ষুদ্র করেছি, মানবজাতির মধ্যে অবজ্ঞাত করেছি।
16 হে শৈল-ফাটলের বাসিন্দা, পর্বতের চূড়ার অধিকারী, তোমার ভয়ঙ্করতার বিষয়ে তোমার অন্তঃকরণের অহঙ্কার তোমাকে বঞ্চনা করেছে; তুমি যদিও ঈগল পাখির মত উঁচু স্থানে বাসা কর, তবুও আমি তোমাকে সেখান থেকে নামাব, মাবুদ এই কথা বলেন।
17 আর ইদোম বিস্ময়ের পাত্র হবে, যারা তার কাছ দিয়ে গমন করে, সকলে বিস্মিত হবে ও তার প্রতি উপস্থিত সকল আঘাতের জন্য শিস দেবে।
18 মাবুদ বলেন, সাদুম, আমুরা ও সেখানকার নিকটবর্তী নগরগুলোর উৎপাটনহেতু যেমন হয়েছিল, তেমনি হবে, কেউ সেখানে থাকবে না, কোন লোক তার মধ্যে প্রবাস করবে না।
19 দেখ, সেই ব্যক্তি সিংহের মত জর্ডানের গভীর অরণ্য থেকে বেরিয়ে সেই চিরস্থায়ী চরাণি-স্থানের বিরুদ্ধে আসবে; বস্তুত আমি চোখের নিমিষে তাকে সেখান থেকে দূর করে দেব এবং তার উপরে মনোনীত লোককে নিযুক্ত করবো। কেননা আমার মত কে আছে? আমার সময় নির্ধারণ কে করবে? এবং আমার সম্মুখে দাঁড়াবে, এমন পালক কোথায়?
20 অতএব মাবুদের মন্ত্রণা শোন, যা তিনি ইদোমের বিরুদ্ধে করেছেন; তাঁর সঙ্কল্পগুলো শোন, যা তিনি তৈমন-নিবাসীদের বিপক্ষে করেছেন। নিশ্চয়ই লোকেরা তাদের টেনে নিয়ে যাবে, পালের বাচ্চাগুলোকেও নিয়ে যাবে; নিশ্চয়ই তিনি তাদের চরাণি-স্থান তাদের সঙ্গে উৎসন্ন করবেন।
21 দুনিয়া তাদের পতনের শব্দে কাঁপছে, লোহিত সাগর পর্যন্ত কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে!
22 দেখ, সে ঈগল পাখির মত উঠে উড়ে আসবে, বস্রার বিপরীতে তারা পাখা মেলে ধরবে; আর ইদোমের বীরদের অন্তর সেদিন প্রসব-যন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীর অন্তরের সমান হবে।
23 দামেস্কের বিষয়। হমাৎ ও অর্পদ লজ্জিত হল, কারণ তারা অমঙ্গলের বার্তা শুনলো, বিগলিত হল; অশান্ত সাগরের মত অশান্ত দেখা যাচ্ছে, তা সুস্থির হতে পারে না।
24 দামেস্ক ক্ষীণবল হয়েছে, পালিয়ে যাবার জন্য ফিরছে ও ভীষণ ভয় পেয়েছে; যেমন প্রসবকালে স্ত্রীলোকের, তেমনি তার যন্ত্রণা ও ব্যথা শুরু হয়েছে।
25 সেই বিখ্যাত নগর, আমার আনন্দজনক পুরী, কেন পরিত্যক্ত হয় নি?
26 এজন্য সেদিন তার যুবকেরা তার চকে মরে পড়ে থাকবে ও সমস্ত যোদ্ধা স্তব্ধ হয়ে যাবে, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন।
27 আর আমি দামেস্কের প্রাচীরে আগুন লাগাব, তা বিন্হদদের অট্টালিকাগুলো গ্রাস করবে।
28 ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার কর্তৃক পরাহত কায়দার ও হাৎসোর রাজ্যগুলোর বিষয়।মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা উঠ, কায়দারে যাও এবং পূর্বদেশের লোকদের সর্বস্ব লুট কর।
29 লোকে তাদের তাঁবু ও পশুপালগুলো নিয়ে যাবে; তাদের পর্দা, তাদের সমস্ত পাত্র ও তাদের উট নিজেদের জন্য নিয়ে যাবে; এবং উচ্চৈঃস্বরে তাদের বিষয়ে বলবে, চারদিকেই ভয়।
30 মাবুদ বলেন, হে হাৎসোর-নিবাসীরা, পালিয়ে যাও, দূরে চলে যাও, গভীরে গিয়ে বাস কর, কেননা ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার তোমাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণা করেছে, তোমাদের বিরুদ্ধে সঙ্কল্প স্থির করেছে।
31 তোমরা উঠ, সেই আরামে থাকা জাতির বিরুদ্ধে যাত্রা কর, যে নির্ভয়ে বাস করে, যার কপাট নেই, হুড়কা নেই, যে একাকী থাকে, মাবুদ এই কথা বলেন।
32 তাদের উটগুলো লুটবস্তু হবে, তাদের বিপুল পশুধন লুণ্ঠিত দ্রব্য হবে এবং যে লোকেরা যারা মাথার দু’পাশের চুল কেটেছে, তাদের আমি সকল বায়ুর দিকে উড়িয়ে দেব এবং চারদিক থেকে তাদের বিপদ আনবো, মাবুদ এই কথা বলেন।
33 আর হাৎসোর শিয়ালদের বসতি ও চিরস্থায়ী ধ্বংসস্থান হবে; সেখানে কেউ থাকবে না, কোন লোক তার মধ্যে বাস করবে না।
34 এহুদার বাদশাহ্ সিদিকিয়ের রাজত্বের আরম্ভকালে এলমের বিষয়ে মাবুদের এই কালাম ইয়ারমিয়া নবীর কাছে নাজেল হল—
35 বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি এলমের ধনুক, তাদের প্রধান শক্তি, ভেঙ্গে ফেলবো।
36 আর আসমানের চারদিক থেকে চার বায়ু এলমের উপরে প্রবাহিত করবো এবং ঐ সমস্ত বায়ুর দিকে তাদেরকে উড়িয়ে দেব; দূরীকৃত ইলামীয়রা যার কাছে না যাবে, এমন জাতি থাকবে না।
37 আর আমি ইলামীয়দেরকে তাদের দুশমনদের সম্মুখে ও যারা তাদের প্রাণনাশে সচেষ্ট তাদের সম্মুখে ভীষণ ভয় ধরিয়ে দেব; আমি তাদের উপরে অমঙ্গল অর্থাৎ আমার প্রচণ্ড ক্রোধ উপস্থিত করবো, মাবুদ এই কথা বলেন এবং যতদিন তাদের সংহার না করি, ততদিন তাদের পিছনে পিছনে তলোয়ার পাঠাব;
38 আর আমি নিজের সিংহাসন এলমে স্থাপন করবো এবং সেই স্থান থেকে বাদশাহ্ ও কর্মকর্তাদেরকে মুছে ফেলব, মাবুদ এই কথা বলেন।
39 কিন্তু শেষকালে আমি এলমের বন্দীদশা ফিরাব, মাবুদ এই কথা বলেন।