1 মাবুদ বলেন, সেই সময়ে লোকেরা এহুদার বাদশাহ্দের অস্থি, তার কর্মকর্তাদের অস্থি, ইমামদের অস্থি, নবীদের অস্থি ও জেরুশালেম-নিবাসী লোকদের অস্থি তাদের কবর থেকে বের করবে।
2 আর তারা সূর্যের, চন্দ্রের ও সমস্ত আকাশ-বাহিনীর সম্মুখে— তারা যাদেরকে ভক্তি ও সেবা করতো, যাদের অনুগামী হত, যাদেরকে খোঁজ করতো ও যাদের কাছে সেজ্দা করতো, তাদের সম্মুখে— সেসব অস্থি ছড়িয়ে দেবে। সেগুলো আর একত্রীকৃত কিংবা কবরে স্থাপিত হবে না; সারের মত ভূমির উপরে থাকবে।
3 আর এই দুষ্ট গোষ্ঠীর অবশিষ্ট যে সমস্ত লোক থাকবে— যে সকল স্থানে আমি তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছি, সেসব স্থানে থাকবে— তারা জীবনের চেয়ে মরণই বাঞ্ছনীয় জ্ঞান করবে, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন।
4 তুমি তাদেরকে আরও বলবে, মাবুদ এই কথা বলেন, মানুষ পড়ে গেলে কি আর ওঠে না? বিপথে গেলে কি আর ফিরে আসে না?
5 তবে জেরুশালেমের এই জাতি কেন নিত্যস্থায়ী বিপথগমন দ্বারা বিপথগামী হয়েছে? তারা প্রবঞ্চনাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রয়েছে, তারা ফিরে আসতে অসম্মত।
6 আমি মনযোগ দিয়ে শুনলাম, কিন্তু তারা সঠিক কথা বললো না; কেউ তার নাফরমানীর জন্য তওবা করে বলে না, ‘হায়, আমি কি করলাম!’ ঘোড়া যেমন ঊর্ধ্বশ্বাসে যুদ্ধে দৌড়ে যায়, তেমনি প্রত্যেকে নিজ নিজ ধাবন পথে ফিরে।
7 আসমানে হাড়গিলাও তার সময় জানে এবং ঘুঘু, তালচোঁচ ও বক নিজ নিজ আগমনের কাল রক্ষা করে, কিন্তু আমার লোকেরা মাবুদের বিধান জানে না।
8 তোমরা কেমন করে বলতে পার, আমরা জ্ঞানী এবং আমাদের কাছে মাবুদের শরীয়ত আছে? দেখ, আলেমদের মিথ্যা-লেখনী তা মিথ্যা করে ফেলেছে।
9 জ্ঞানীরা লজ্জিত হল, ব্যাকুল হল ও ফাঁদে ধরা পড়লো; দেখ, তারা মাবুদের কালাম অগ্রাহ্য করেছে, তবে তাদের জ্ঞান কি রকম?
10 এজন্য আমি অন্য লোকদেরকে তাদের স্ত্রী এবং অন্য অধিকারীদেরকে তাদের ক্ষেত দেব; কেননা ক্ষুদ্র বা মহান সবারই লোভ আছে, নবী ও ইমামসুদ্ধ সমস্ত লোক প্রবঞ্চনায় রত।
11 আর তারা আমার জাতির কন্যার ক্ষত কেবল একটুমাত্র সুস্থ করেছে; যখন শান্তি নেই, তখন বলেছে, শান্তি, শান্তি।
12 তারা ঘৃণার কাজ করেছে বলে কি লজ্জিত হল? তারা মোটেই লজ্জিত হয় নি, তারা বিষণ্ন হতেও জানেও না; এজন্য তারা তাদের মধ্যে পড়বে, যারা শাস্তি ভোগ করবে; আমি যখন তাদের প্রতিফল দেব, তখন তাদের নিপাত হবে, মাবুদ এই কথা বলেন।
13 আমি তাদেরকে নিঃশেষে সংহার করবো, মাবুদ এই কথা বলেন; আঙ্গুরলতায় আঙ্গুর ফল, কিংবা ডুমুরগাছে ডুমুর ফল থাকবে না, পাতাও শুকিয়ে যাবে; হ্যাঁ, আমি তাদের জন্য আক্রমণকারী লোকদেরকে নির্ধারণ করেছি।
14 আমরা কেন বলে থাকি? এসো আমরা একত্র হয়ে প্রাচীরবেষ্টিত নগরে নগরে প্রবেশ করি, সেখানে ধ্বংস হই; কেননা আমাদের আল্লাহ্ মাবুদ আমাদেরকে ধ্বংসের পাত্র করলেন ও বিষবৃক্ষের রস পান করালেন, কারণ আমরা মাবুদের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছি।
15 আমরা শান্তির অপেক্ষা করলাম; কিন্তু কিছুই মঙ্গল হল না; সুস্থতার সময়ের অপেক্ষা করলাম, কিন্তু দেখ, উদ্বেগ উপস্থিত।
16 দান নগর থেকে দুশমনের ঘোড়াগুলোর নাসিকাধ্বনি শোনা যাচ্ছে; তার ঘোড়াগুলোর হ্রেষা শব্দে সমস্ত দেশ কাঁপছে; তারা এসেছে, জনপদ ও তার মধ্যেকার সমস্ত দ্রব্য এবং নগর ও সেখানকার নিবাসীবর্গকে গ্রাস করেছে।
17 বস্তুত দেখ, আমি তোমাদের মধ্যে সাপ, কালসাপ প্রেরণ করবো, তারা কোন মন্ত্র মানবে না, তোমাদেরকে দংশন করবে, মাবুদ এই কথা বলেন।
18 আহা, আমি যদি দুঃখে সান্ত্বনা পেতাম! আমার অন্তর মূর্চ্ছিত।
19 দেখ, দূর দেশ থেকে আমার জাতির কন্যার আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে; মাবুদ কি সিয়োনে নেই? তার বাদশাহ্ কি তার মধ্যবর্তী নন? তারা নিজেদের খোদাই-করা মূর্তি ও বিজাতীয় অসার বস্তুগুলো দ্বারা আমাকে কেন অসন্তুষ্ট করেছে?
20 শস্য কাটার সময় গেল, ফলচয়নের কাল শেষ হল, কিন্তু আমাদের উদ্ধার লাভ হয় নি।
21 আমি আমার জাতির কন্যার স্বাস্থ্যের ভগ্নতার জন্য ভগ্ন হয়েছি, আমি মলিন ও আতঙ্কিত হয়েছি।
22 গিলিয়দে কি মলম নেই? সেখানে কি চিকিৎসক নেই? তবে আমার জাতির কন্যা কেন স্ব্বাস্থ্য লাভ করে নি?