3 পরের দিন পশ্হূর ইয়ারমিয়াকে হাঁড়িকাঠ থেকে মুক্ত করে আনলো। তখন ইয়ারমিয়া তাকে বললেন, মাবুদ তোমার নাম পশ্হূর রাখেন নি, কিন্তু মাগোরমিষাবীব [চারদিকেই ভয়] রেখেছেন।
4 কেননা মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি তোমার পক্ষে ও তোমার সমস্ত বন্ধুর পক্ষে তোমাকে ভয়ের পাত্র করবো। তারা দুশমনদের তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়বে ও তুমি স্বচক্ষে তা দেখবে এবং আমি সমস্ত এহুদাকে ব্যাবিলনের বাদশাহ্র হাতে তুলে দেব; তাতে সে তাদেরকে বন্দী করে ব্যাবিলনে নিয়ে যাবে ও তলোয়ারের আঘাতে হত্যা করবে।
5 আর আমি এই নগরের সমস্ত সম্পত্তি, শ্রমোপার্জিত অর্থ, বহুমূল্য বস্তু ও এহুদার বাদশাহ্দের ধনকোষগুলো দুশমনদের হাতে প্রদান করবো; আর তারা সেসব লুটপাট করে ব্যাবিলনে নিয়ে যাবে।
6 আর হে পশ্হূর, তুমি ও তোমার গৃহনিবাসীরা সকলে বন্দীদশার স্থানে যাবে, তুমি ব্যাবিলনে উপস্থিত হবে, সেই স্থানে মরবে ও সেই স্থানে তোমাকে দাফন করা হবে; তোমার এবং যাদের কাছে তুমি মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী বলেছ, তোমার সেসব বন্ধুরও সেই গতি হবে।
7 হে মাবুদ, তুমি আমাকে প্ররোচনা করলে আমি প্ররোচিত হলাম; তুমি আমা থেকে বলবান, তুমি আমাকে পরাভূত করেছ। আমি সমস্ত দিন উপহাসের পাত্র হয়েছি, সকলেই আমাকে ঠাট্টা করে।
8 যতবার আমি কথা বলি, ততবার চেঁচিয়ে উঠি; দৌরাত্ম্য ও লুটপাট বলে চেঁচাই; মাবুদের কালামের দরুন সমস্ত দিন আমাকে উপহাস ও বিদ্রূপ করা হয়।
9 যদি বলি, তাঁর বিষয় আর উল্লেখ করবো না, তাঁর নামে আর কিছু বলবো না, তবে আমার অন্তরে যেন জ্বলন্ত আগুন হয়ে অস্থিমধ্যে বন্ধ হয়ে থাকে; তা সহ্য করতে করতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি, সত্যিই আমি আর তা ভিতরে রাখতে পারি না।