1 “আমি এই সব নিজের চোখে দেখেছিআর নিজের কানে শুনে তা বুঝেছি।
2 তোমরা যা জান আমিও তা জানি;আমি তোমাদের চেয়ে নীচু নই।
3 কিন্তু আমি সর্বশক্তিমানের সংগে কথা বলতে চাই,ঈশ্বরের সংগে আমার ব্যাপার নিয়ে তর্ক করতে চাই।
4 তোমরা তো সব কিছু মিথ্যা দিয়ে লেপে দিচ্ছ;তোমরা সবাই অপদার্থ ডাক্তার।
5 আহা, তোমরা সবাই যদি চুপ করে থাকতে!তোমাদের জন্য সেটাই হত বুদ্ধিমানের কাজ।
6 “এখন তোমরা আমার যুক্তি শোন;আমার তর্কের কথায় কান দাও।
7 ঈশ্বরের পক্ষ হয়ে কি তোমরা অন্যায় কথা বলবে?তাঁর হয়ে কি ছলনার কথা বলবে?
8 তাঁর পক্ষ হয়ে কি একচোখামি করবে?ঈশ্বরের হয়ে কি তর্ক করবে?
9 তিনি যদি তোমাদের পরীক্ষা করেনতবে কি তোমাদের ভাল হবে?মানুষকে যেমন ঠকানো যায়তেমনি করে কি তোমরা তাঁকেও ঠকাতে পারবে?
10 তোমরা যদি গোপনে একচোখামি করতাহলে নিশ্চয়ই তিনি তোমাদের বকুনি দেবেন।
11 তাঁর মহিমা কি তোমাদের ভয় জাগায় না?তাঁর ভয়ংকরতা দেখে কি তোমরা ভয় পাও না?
12 তোমাদের নীতি কথাগুলো যেন চলতি কথার ছাইয়ের গাদা;তোমাদের তর্কের কথাগুলো কাদার মত নরম।
13 “তোমরা চুপ করে থাক, আমাকে কথা বলতে দাও;তারপর আমার যা হবার তা-ই হোক।
14 কেন আমি নিজেকে বিপদে ফেলবআর আমার প্রাণকে হাতে রাখব?
15 তিনি যদি আমাকে মেরেও ফেলেনতবুও তাঁর উপর আমি আশা রাখব;আমি নিশ্চয়ই তাঁর সামনে আমার পক্ষে কথা বলব।
16 সেটাই হবে আমার রক্ষার উপায়,কারণ কোন দুষ্ট লোক তাঁর সামনে আসতে পারবে না।
17 আমার কথাগুলো মন দিয়ে শোন;আমি যা বলছি তা তোমাদের কানে যাক।
18 আমার পক্ষে যা বলবার তা আমি এখন ঠিক করেছি,তাই আমি জানি যে, আমি নির্দোষ বলে প্রমাণিত হব।
19 কেউ কি আমার বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে পারে?পারলে আমি নীরবে মারা যাব।
20-21 “হে ঈশ্বর, আমাকে কেবল এই দু’টা জিনিষ দাও:আমার উপর থেকে তোমার হাত দূরে সরিয়ে নাও,আর তোমার ভয়ংকরতা দিয়ে আমাকে আর ভয় দেখিয়ো না;তাহলে আমি তোমার কাছ থেকে নিজেকে লুকাব না।
22 তারপর তুমি আমাকে ডেকো, আমি উত্তর দেব,কিম্বা আমাকে কথা বলতে দাওআর তুমি তার উত্তর দিয়ো।
23 বল, আমার অন্যায় আর পাপ কি?আমার দোষ ও পাপ আমাকে দেখিয়ে দাও।
24 কেন তুমি মুখ লুকিয়ে রাখছআর আমাকে শত্রু বলে ভাবছ?
25 যে পাতা বাতাসে ওড়ে তাকে কি তুমি ভয় দেখাবে?শুকনা তুষের পিছনে কি তুমি তাড়া করবে?
26 তুমি তো আমার বিরুদ্ধে তেতো কথা লিখছ,আমার যৌবনের পাপের ফল আমাকে ভোগ করাচ্ছ।
27 তুমি আমার পায়ে বেড়ী দিয়েছ;আমার সমস্ত পথের উপর তুমি কড়া নজর রেখেছআর আমার পায়ের ধাপের সীমা বেঁধে দিয়েছ।