1 আর একদিন স্বর্গদূতেরা সদাপ্রভুর সামনে গিয়ে উপস্থিত হলেন, আর শয়তানও তাঁর সামনে উপস্থিত হবার জন্য স্বর্গদূতদের সংগে আসল।
2 সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “তুমি কোথা থেকে আসলে?”উত্তরে শয়তান সদাপ্রভুকে বলল, “পৃথিবীর মধ্যে এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করে আসলাম।”
3 তখন সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “আমার দাস ইয়োবের দিকে কি তুমি লক্ষ্য করেছ? পৃথিবীতে তাঁর মত আর কেউ নেই। সে নির্দোষ ও সৎ। সে আমাকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করে ও মন্দতা থেকে দূরে থাকে। যদিও তুমি বিনা কারণে তার সর্বনাশ করবার জন্য আমাকে খুঁচিয়ে তুলেছ তবুও সে এখনও কোন দোষ করে নি।”
4 শয়তান বলল, তার জীবনই তার কাছে প্রাণের প্রাণ; মানুষ নিজের প্রাণ বাঁচাবার জন্য তার যা কিছু আছে সবই দেবে।
5 আপনি হাত বাড়িয়ে তার দেহে আঘাত করুন, সে নিশ্চয়ই আপনার সামনেই আপনার বিরুদ্ধে অপমানের কথা বলবে।”
6 তখন সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “বেশ ভাল; তাকে তোমার হাতে দিলাম, কিন্তু তুমি তাকে প্রাণে মারবে না।”
7 এর পর শয়তান সদাপ্রভুর সামনে থেকে বের হয়ে গেল এবং ইয়োবের মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত যন্ত্রণাপূর্ণ ঘা দিয়ে তাঁকে কষ্ট দিতে লাগল।
8 তখন ইয়োব ছাইয়ের মধ্যে বসে মাটির পাত্রের একটা টুকরা দিয়ে নিজের গা ঘষতে লাগলেন।
9 তখন তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, “তুমি এখনও দাবি করছ যে, তুমি নির্দোষ? ঈশ্বরকে দোষ দিয়ে মরে যাও।”
10 কিন্তু ইয়োব তাঁকে বললেন, “তুমি একজন বোকা স্ত্রীলোকের মত কথা বলছ। আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে কি কেবল মংগলই গ্রহণ করব, অমংগল গ্রহণ করব না?”এই সব হলেও ইয়োব তাঁর কথার মধ্য দিয়ে পাপ করলেন না।
11 তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিল্দদ ও নামাথীয় সোফর নামে ইয়োবের তিনজন বন্ধু যখন ইয়োবের সব বিপদের কথা শুনলেন তখন তাঁরা তাঁদের বাড়ী থেকে রওনা হলেন। তাঁরা একত্র হয়ে পরামর্শ করলেন যে, তাঁরা গিয়ে তাঁর সংগে শোক করবেন ও তাঁকে সান্ত্বনা দেবেন।
12 তাঁরা দূর থেকে তাঁকে দেখে চিনতেই পারলেন না। তাঁরা জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন এবং নিজেদের কাপড় ছিঁড়ে মাথার উপরে আকাশের দিকে ধুলা ছড়ালেন।
13 তারপর তাঁরা সাত দিন ও সাত রাত তাঁর সংগে মাটিতে বসে রইলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ তাঁকে কিছুই বললেন না, কারণ তাঁর কষ্ট যে কি ভীষণ তা তাঁরা দেখতেই পাচ্ছিলেন।