1 ইয়োব নিজের চোখে নিজেকে ন্যায়বান মনে করছিলেন বলে ঐ তিনজন ইয়োবের কথার উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দিলেন।
2 এতে রামের বংশের বূষীয় বারখেলের ছেলে ইলীহূ ইয়োবের উপর ভীষণ রেগে গেলেন, কারণ ইয়োব ঈশ্বরের চেয়ে নিজেকে ন্যায়বান মনে করছিলেন।
3 তিনি ঐ তিনজন বন্ধুর উপরেও খুব রেগে গেলেন, কারণ তাঁরা ইয়োবের কথার উত্তর দিতে না পেরেও তাঁকে দোষী করছিলেন।
4 তাঁদের সকলের চেয়ে ইলীহূ বয়সে ছোট ছিলেন বলে ইয়োবকে উত্তর দেবার জন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন।
5 পরে ঐ তিনজন লোকের উত্তর দেবার আর কিছু নেই দেখে তিনি রাগে জ্বলে উঠলেন।
6 সেইজন্য বারখেলের ছেলে ইলীহূ বললেন,“আমার বয়স কম, কিন্তু আপনারা বুড়ো হয়েছেন,কাজেই আমার মতামত প্রকাশ করতে আমি সাহস করি নি,ভয় করেছিলাম।
7 আমি ভেবেছিলাম, যাঁদের বয়স বেশী তাঁরাই কথা বলুন,তাঁরাই জ্ঞান শিক্ষা দিন যাঁদের অনেক বছর পার হয়ে গেছে।
8 সত্যিই মানুষের মধ্যে আত্মা আছে,আর সর্বশক্তিমানের নিঃশ্বাস তাকে বুঝবার শক্তি দেয়।
9 কেবল বুড়ো লোকেরাই যে জ্ঞানবান তা নয়,যাঁদের বয়স বেশী কেবল তাঁরাই যে সঠিক বিষয় বোঝেন তা নয়।
10 “সেইজন্য আমি বলছি, আমার কথা শুনুন;আমিও আমার মতামত প্রকাশ করব।
11 আপনাদের কথা বলবার সময় আমি অপেক্ষা করে ছিলাম।যখন আপনারা কি বলবেন তাঁর খোঁজ করছিলেনতখন আমি আপনাদের যুক্তি শুনছিলাম।
12 আমি আপনাদের কথায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছিলাম,কিন্তু আপনাদের মধ্যে একজনও ইয়োবের কথার ভুল প্রমাণ করেন নি;তাঁর কথার উত্তরও আপনারা দেন নি।
13 এই কথা বলবেন না, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে,মানুষ নয় কিন্তু ঈশ্বরই তাঁকে হারিয়ে দিতে পারেন।’
14 ইয়োব আমার বিরুদ্ধে কোন কথা বলেন নি;আপনাদের যুক্তি দিয়ে আমি তাঁকে উত্তর দেব না।
15 “ইয়োব, এঁরা হতভম্ব হয়েছেন, এঁদের আর কিছু বলবার নেই;এঁদের কথা হারিয়ে গেছে।
16 এঁরা তো এখন চুপ করেছেন,উত্তর না দিয়ে এঁরা থেমে গেছেন;আর কি আমার অপেক্ষা করা উচিত?
17 এখন আমিও আমার কথা বলব,আমার মতামত আমি প্রকাশ করব;
18 কারণ আমার বলবার মত অনেক কথা আছে,আমার আত্মা আমাকে কথা বলতে বাধ্য করছে।
19 আমার ভিতরটা থলিতে ভরা আংগুর-রসে ফেটে যাবার মত হয়েছে,নতুন চামড়ার থলির মতই ফেটে যাবার মত হয়েছে।
20 শান্ত হবার জন্য আমাকে কথা বলতে হবে;মুখ খুলে আমাকে উত্তর দিতে হবে।
21 আমি কারও প্রতি একচোখামি করব না,কিম্বা কোন মানুষকে তোষামোদ করব না;