1 মিসর দেশ সম্বন্ধে মাবুদের কথা এই:দেখ, মাবুদ একটা দ্রুতগামী মেঘে করে মিসর দেশে আসছেন। তাঁর সামনে মিসরের মূর্তিগুলো কাঁপবে, আর মিসরীয়দের দিলে সাহস থাকবে না।
2 মাবুদ বলছেন, “আমি এক মিসরীয়কে অন্য মিসরীয়ের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তুলব; তাতে ভাই ভাইয়ের বিরুদ্ধে, প্রতিবেশী প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে, শহর শহরের বিরুদ্ধে, আর রাজ্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।
3 মিসরীয়রা মনের বল হারিয়ে ফেলবে, আর আমি তাদের পরিকল্পনা নিষ্ফল করে দেব। তারা মূর্তি ও মৃতদের রূহের কাছে, ভূতের মাধ্যমের কাছে, আর খারাপ রূহ্দের সংগে সম্বন্ধ রক্ষাকারীদের কাছে পরামর্শ চাইবে।
4 একজন কড়া মালিকের হাতে আমি মিসরীয়দের তুলে দেব; একজন ভয়ংকর বাদশাহ্ তাদের শাসন করবে।” এই হল দীন-দুনিয়ার মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের কথা।
5 নীল নদের পানি শুকিয়ে যাবে, আর নদীর বুকে চর পড়ে তা ফেটে যাবে।
6 খালগুলোতে দুর্গন্ধ হবে; মিসরের নদীগুলো ছোট হয়ে শুকিয়ে যাবে; নল ও খাগড়া শুকিয়ে যাবে;
7 নীল নদের পারের সব গাছ-গাছড়াও শুকিয়ে যাবে। নদীর ধারের বীজ লাগানো ক্ষেত শুকিয়ে ফেটে যাবে; চারাগুলো শুকিয়ে উড়ে যাবে, কিছুই থাকবে না।
8 জেলেরা হায় হায় করবে আর নীল নদে যারা বড়শী ফেলে তারা বিলাপ করবে। যারা পানিতে জাল ফেলে তারা দুর্বল হয়ে পড়বে।
9 যারা মসীনার সুতা প্রস্তুত করে আর যারা পাতলা কাপড় বোনে তারা নিরাশ হবে।
10 জগৎ-সংসারের সব ভিত্তি ভেংগে পড়বে আর দিন্তমজুরেরা সবাই প্রাণে দুঃখ পাবে।
11 সোয়নের উঁচু পদের কর্মচারীরা একেবারে বোকা; ফেরাউনের জ্ঞানী পরামর্শদাতারা অর্থহীন উপদেশ দেয়। তোমরা ফেরাউনকে কেমন করে বলতে পার, “আমি জ্ঞানী লোকদের একজন এবং খুব পুরানো দিনের বাদশাহ্দের বংশধর”?
12 তোমার জ্ঞানী লোকেরা এখন কোথায়? মিসরের বিরুদ্ধে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন যা ঠিক করেছেন তা তারা নিজেরা জানুক ও তোমাকে বলুক।
13 সোয়নের উঁচু পদের কর্মচারীরা বোকা হয়েছে, আর মেম্ফিসের নেতারা ঠকেছে; মিসরের প্রধান লোকেরা মিসরকে বিপথে নিয়ে গেছে।
14 মাবুদ তাদের ভিতরে বিশৃঙ্খলার ভাব সৃষ্টি করেছেন, তাতে মাতাল যেমন তার বমির মধ্যে টলমল করে তেমনি সব কাজে তারা মিসরকে টলমল করায়।
15 মিসরের মধ্যে মাথা বা লেজ, খেজুরের ডাল বা নল-খাগড়া, কেউই কিছু করতে পারবে না।
16 সেই দিন মিসরীয়রা স্ত্রীলোকদের মত হবে। তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন হাত উঠাবেন এবং তা দেখে তারা ভয়ে কাঁপবে।
17 মিসরীয়দের কাছে কেউ এহুদা দেশের নাম করলেই তা তাদের পক্ষে ভীষণ ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাদের বিরুদ্ধে যা করবেন বলে ঠিক করেছেন তার জন্য তারা ভয় পাবে।
18 সেই দিন মিসরের পাঁচটি শহর কেনানের ভাষা বলবে এবং আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে বলে কসম খাবে। সেই শহরগুলোর মধ্যে একটাকে বলা হবে ধ্বংসের শহর।
19 সেই দিন মিসর দেশের মধ্যে মাবুদের উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্ আর তার সীমানায় একটা স-ম্ভ থাকবে।
20 এই সব হবে মিসর দেশে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশে একটা চিহ্ন ও সাক্ষ্য। তাদের জুলুমবাজদের দরুন তারা যখন মাবুদের কাছে কাঁদবে তখন তিনি তাদের কাছে একজন উদ্ধারকর্তা ও রক্ষাকারীকে পাঠিয়ে দেবেন এবং তিনি তাদের উদ্ধার করবেন।
21 এইভাবে মাবুদ মিসরীয়দের কাছে নিজেকে প্রকাশ করবেন এবং সেই দিন তারা মাবুদকে স্বীকার করে নেবে। তারা পশু-কোরবানী ও শস্য-কোরবানী করে তাঁর এবাদত করবে এবং মাবুদের কাছে মানত করে তা পূরণ করবে।
22 মাবুদ মিসরকে আঘাত করবেন; তিনি তাদের আঘাত করবেন এবং সুস্থও করবেন। তারা মাবুদের দিকে ফিরবে, আর তিনি তাদের মিনতিতে সাড়া দেবেন ও তাদের সুস্থ করবেন।
23 সেই দিন মিসর থেকে আশেরিয়া পর্যন্ত একটা রাজপথ হবে। আশেরীয়রা মিসরে এবং মিসরীয়রা আশেরিয়াতে যাওয়া-আসা করবে। মিসরীয় ও আশেরীয়রা এক সংগে এবাদত করবে।
24 সেই দিন মিসর, আশেরিয়া ও ইসরাইল মিলে একটা দল হবে এবং তারা হবে দুনিয়ার মধ্যে একটা দোয়া।
25 আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাদের এই বলে দোয়া করবেন, “আমার বান্দা মিসর, আমার হাতে গড়া আশেরিয়া ও আমার অধিকার ইসরাইল দোয়াযুক্ত হোক।”