1 যে বছরে বাদশাহ্ উষিয় ইন্তেকাল করলেন সেই বছরে আমি দেখলাম দীন-দুনিয়ার মালিক খুব উঁচু একটা সিংহাসনে বসে আছেন। তাঁর রাজ-পোশাকের নীচের অংশ দিয়ে বায়তুল-মোকাদ্দস পূর্ণ ছিল।
2 তাঁর উপরে ছিলেন কয়েকজন সরাফ; তাঁদের প্রত্যেকের ছয়টা করে ডানা ছিল- দু’টি ডানা দিয়ে তাঁরা মুখ আর দু’টি ডানা দিয়ে পা ঢেকে ছিলেন এবং আর দু’টি ডানা দিয়ে তাঁরা উড়ছিলেন।
3 তাঁরা একে অন্যকে ডেকে বলছিলেন,“আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র;তাঁর মহিমায় গোটা দুনিয়া পরিপূর্ণ।” ॥স
4 তাদের গলার স্বরের আওয়াজে বায়তুল-মোকাদ্দসের দরজার কব্জাগুলো কেঁপে উঠল এবং ঘরটা ধোঁয়ায় পূর্ণ হয়ে গেল।
5 তখন আমি বললাম, “হায়, আমি ধ্বংস হয়ে গেলাম, কারণ আমার মুখ নাপাক এবং আমি এমন লোকদের মধ্যে বাস করি যাদের মুখ নাপাক। আমি নিজের চোখে বাদশাহ্কে, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনকে দেখেছি।”
6 তখন একজন সরাফ হাতে একটা জ্বলন্ত কয়লা নিয়ে আমার কাছে উড়ে আসলেন; কয়লাটা তিনি ধূপগাহের উপর থেকে চিম্টা দিয়ে নিয়েছিলেন।
7 সেই কয়লাটা তিনি আমার মুখে ছুঁইয়ে বললেন, “দেখ, এটা তোমার মুখ ছুঁয়েছে; তোমার অন্যায় দূর করা হয়েছে এবং তোমার গুনাহ্ মুছে ফেলা হয়েছে।”
8 তারপর আমি দীন-দুনিয়ার মালিকের কথা শুনতে পেলাম। তিনি বললেন, “আমি কাকে পাঠাব? আমাদের পক্ষ হয়ে কে যাবে?”আমি বললাম, “এই যে আমি, আপনি আমাকে পাঠান।”
9 তিনি বললেন, “তুমি গিয়ে এই লোকদের বল, ‘তোমরা শুনতে থেকো কিন্তু বুঝো না, দেখতে থেকো কিন্তু জেনো না।’ ”
10 তারপর তিনি আমাকে আরও বললেন, “তুমি এই লোকদের দিল অসাড় কর, তাদের কান বন্ধ কর, আর তাদের চোখও বন্ধ করে দাও। তা না হলে তারা চোখে দেখবে, কানে শুনবে, দিলে বুঝবে আর তওবা করে সুস্থ হবে।”
11 তখন আমি বললাম, “হে মালিক, আর কত দিন?”জবাবে তিনি বললেন, “যতদিন না শহরগুলো ধ্বংস হয়ে বাসিন্দাশূন্য হয়, বাড়ী-ঘর খালি হয়ে যায় আর ক্ষেত-খামার ধ্বংস ও ছারখার হয়;
12 যতদিন না মাবুদ সকলকে দূর করে দেন এবং দেশের অনেক জায়গা জনশূন্য হয়।
13 যদি দেশের মধ্যে দশভাগের একভাগ লোকও থাকে, তবুও তাদের পুড়িয়ে ফেলা হবে। কিন্তু এলোন গাছ কেটে ফেললেও যেমন তার গুঁড়ি থেকে যায়, তেমনি গুঁড়ি হিসাবে দেশে পবিত্র বীজের মত কয়েকজন লোক থাকবে।”