1 মাবুদ বলছেন, “আমি এই লোকদের আমার কাছে অনুরোধ জানাবার সুযোগ দিয়েছি, কিন্তু তারা আমার কাছে কোন অনুরোধ জানায় নি; আমি তাদের কাছেই ছিলাম, কিন্তু তারা কোন সাহায্যের জন্য আমার কাছে আসে নি। আমি এই জাতির লোকদের বলেছি, ‘এই যে আমি, এই যে আমি,’ কিন্তু তারা আমার কাছে মুনাজাত করে নি।
2 একগুঁয়ে লোকদের দিকে আমি সারা দিন আমার হাত বাড়িয়েই রয়েছি। তারা নিজের নিজের কল্পনার পিছনে গিয়ে খারাপ পথে চলে।
3 সেই লোকেরা আমার মুখোমুখি হয়েই আমাকে অনবরত বিরক্ত করছে; তারা বাগানে বাগানে কোরবানী করছে আর ইটের উপরে ধূপ জ্বালাচ্ছে।
4 তারা কবরস্থানে বসে আর গোপন জায়গায় রাত কাটায়; তারা শূকরের গোশ্ত খায় আর তাদের পাত্রে নাপাক গোশ্তের ঝোল থাকে।
5 তারা বলে, ‘দূরে থাক; আমার কাছে এসো না, কারণ আমি তোমার চেয়ে বেশী পবিত্র।’ ঐ লোকেরা আমার নাকের ধোঁয়া আর সারা দিন জ্বলতে থাকা আগুন।
6-7 “দেখ, তাদের কথা আমার সামনে লেখা রয়েছে। আমি চুপ করে থাকব না বরং তাদের পাওনা শাস্তি তাদের দেব। আমি তাদের ও তাদের পূর্বপুরুষদের গুনাহের জন্য তাদেরই দায়ী করব। তারা পাহাড়ে-পর্বতে ধূপ জ্বালিয়েছে আর সেখানে আমাকে অগ্রাহ্য করেছে; সেইজন্য আমি তাদের আগের কাজের পাওনা শাস্তি তাদেরই মেপে দেব।”
8 মাবুদ বলছেন, “আংগুরের থোকায় রস আছে দেখে লোকে যেমন বলে, ‘নষ্ট কোরো না, এখনও ওর মধ্যে ভাল কিছু আছে,’ তেমনি আমি আমার গোলামদের সবাইকে ধ্বংস করব না।
9 আমি ইয়াকুব থেকে এবং এহুদা থেকে একটা বংশ তুলব; তারা আমার পাহাড়-পর্বতের অধিকারী হবে। আমার বাছাই করা লোকেরা সেগুলো অধিকার করবে আর আমার গোলামেরা সেখানে বাস করবে।
10 আমার যে বান্দারা আমার ইচ্ছামত চলেছে তাদের জন্য শারোণ হবে ভেড়ার পাল চরাবার জায়গা আর আখোর উপত্যকা হবে পশুপালের বিশ্রাম-স্থান।
11 কিন্তু তোমরা যারা মাবুদকে ত্যাগ করেছ এবং আমার পবিত্র পাহাড়কে ভুলে গেছ, যারা ভাগ্যদেবের উদ্দেশে টেবিল সাজিয়েছ আর ভাগ্যদেবীর উদ্দেশে মেশানো মদে পাত্র ভরেছ,
12 আমি তোমাদের ভাগ্য নির্দিষ্ট করব তলোয়ার দিয়ে, আর তোমরা সকলে জবাই হবার জন্য নীচু হবে। এর কারণ হল, আমি তোমাদের ডেকেছিলাম কিন্তু তোমরা জবাব দাও নি, আমি কথা বলেছিলাম কিন্তু তোমরা শোন নি। আমার চোখে তোমরা খারাপ কাজ করেছ এবং যাতে আমি অসন্তুষ্ট হই তা-ই বেছে নিয়েছ।”
13 কাজেই আল্লাহ্ মালিক বলছেন, “আমার গোলামেরা খাবে, কিন্তু তোমরা ক্ষুধায় মরবে; আমার গোলামেরা পানি খাবে, কিন্তু তোমরা পিপাসিত থাকবে; আমার গোলামেরা আনন্দ করবে, কিন্তু তোমাদের লজ্জা দেওয়া হবে।
14 দিলে আনন্দ আছে বলে আমার গোলামেরা কাওয়ালী গাইবে, কিন্তু তোমরা মনের দারুণ কষ্টে কাঁদবে এবং ভাংগা দিল নিয়ে হাহাকার করবে।
15 আমার বাছাই করা বান্দারা কাউকে নিন্দা করবার জন্য তোমাদের নাম ব্যবহার করবে। আল্লাহ্ মালিক তোমাদের মেরে ফেলবেন, কিন্তু তাঁর গোলামদের তিনি আর একটা নাম দেবেন।
16 দেশের মধ্যে যে কোন লোক দোয়া চাইবে সে সত্যময় আল্লাহ্র কাছেই তা চাইবে; দেশের মধ্যে যে কেউ কসম খাবে সে সত্যময় আল্লাহ্র নামেই তা করবে; কারণ লোকে আগেকার কষ্ট ভুলে যাবে আর আমার চোখের সামনে থেকে তা লুকানো হবে।
17 “দেখ, আমি নতুন আসমান ও একটা নতুন জমীন সৃষ্টি করব। আগের বিষয়গুলো মনে থাকবে না, সেগুলো মনেও পড়বে না।
18 আমি যা সৃষ্টি করব তোমরা তাতে চিরকাল খুশী থেকো আর আনন্দ কোরো, কারণ আমি জেরুজালেমকে একটা আনন্দের জিনিস আর তার লোকদের একটা খুশীর জিনিস হিসাবে সৃষ্টি করব।
19 আমি জেরুজালেমকে নিয়ে আনন্দ করব আর আমার বান্দাদের নিয়ে খুশী হব; তার মধ্যে আর কোন কান্নাকাটির শব্দ শোনা যাবে না।
20 সেখানে কোন শিশু মারা যাবে না, কিংবা কোন বুড়ো লোক আয়ু শেষ না হলে মরবে না। কেউ একশো বছর বয়সে মারা গেলেও তাকে যুবক বলা হবে; যে একশো বছর বাঁচবে না তাকে বদদোয়াপ্রাপ্ত বলা হবে।
21 তারা ঘর-বাড়ী তৈরী করে সেখানে বাস করবে আর আংগুর ক্ষেত করে তার ফল খাবে।
22 তারা ঘর তৈরী করলে অন্যেরা আর সেখানে বাস করবে না, কিংবা গাছ লাগালে অন্যেরা ফল খাবে না। আমার বান্দাদের আয়ু একটা গাছের আয়ুর সমান হবে; আমার বাছাই করা লোকেরা অনেক দিন ধরে তাদের হাতের কাজের ফল ভোগ করবে।
23 তাদের পরিশ্রম মিথ্যা হবে না আর তাদের সন্তানেরা বিপদে পড়বে না, কারণ তারা এবং তাদের সন্তানেরা মাবুদের দোয়া পাওয়া বান্দা হবে।
24 তারা ডাকবার আগেই আমি সাড়া দেব, তারা কথা বলতে না বলতেই আমি শুনব।
25 নেকড়ে বাঘ ও ভেড়ার বাচ্চা এক সংগে খাবে, সিংহ গরুর মত বিচালি খাবে আর সাপের খাবার হবে ধুলা। সেগুলো আমার পবিত্র পাহাড়ের কোন জায়গায় কোন ক্ষতি করবে না কিংবা ধ্বংস করবে না।”