1 হায়, ইফ্রয়িমের মাতালদের মুকুটের মত শহর, যা নিয়ে তারা অহংকার করে! হায়, ইফ্রয়িমের গৌরবময় সৌন্দর্যের সেই ্নান হওয়া মালা, যা একটা উর্বর উপত্যকার মাথার উপর রয়েছে! আংগুর-রস সেই উপত্যকার লোকদের খেয়ে ফেলেছে।
2 দেখ, প্রভুর একজন ক্ষমতাবান ও শক্তিশালী লোক আছে। শিলাবৃষ্টি ও ধ্বংসকারী একটা বাতাসের মত, মুষলধারে পড়া একটা বন্যার বৃষ্টির মত সে সজোরে সেই শহরকে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
3 ইফ্রয়িমের মাতালদের সেই অহংকারের মুকুট পায়ের তলায় মাড়ানো হবে।
4 ইফ্রয়িমের গৌরবময় সৌন্দর্যের সেই ্নান হওয়া মালা যা একটা উর্বর উপত্যকার মাথার উপর রয়েছে, তা প্রথমে পাকা ডুমুরের মত শেষ হয়ে যাবে; কেউ তা দেখলে হাতে নিয়ে গিলে ফেলবে।
5 সেই দিন সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু তাঁর বেঁচে থাকা লোকদের জন্য একটা গৌরবময় মুকুট এবং একটা সুন্দর মালা হবেন।
6 তিনি বিচারকের অন্তরে ন্যায়বিচারের মনোভাব দেবেন। যারা ফটকের কাছ থেকে যুদ্ধ সরিয়ে দেয় তাদের তিনি শক্তি দেবেন।
7 কিন্তু ইফ্রয়িমের পুরোহিত ও নবীরা এখন আংগুর-রস খেয়ে টলে ও মাতলামি করে আর মদ খেয়ে গড়াগড়ি দেয়; তারা টলতে টলতে দর্শন পায় আর সেই অবস্থায় রায় দেয়।
8 সব টেবিলগুলো বমিতে ভরা; বমি ছাড়া একটু জায়গাও পরিষ্কার নেই।
9 তারা বলে, “সে কাকে শিক্ষা দিচ্ছে? তার বাণী কার কাছে ব্যাখ্যা করছে? যারা দুধ খাওয়া ছেড়েছে, বুকের দুধ থেকে যাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের কাছে কি?
10 তা হল, ‘এটা কর, ওটা কর, এই নিয়ম মান, ঐ নিয়ম মান, এখানে আছে, ওখানে আছে।’ ”
11 বেশ, তাহলে সদাপ্রভু বিদেশীদের মুখের অদ্ভুত ভাষা দিয়ে এই লোকদের কাছে কথা বলবেন।
12 তিনি তাদের বলেছিলেন, “এটাই সেই বিশ্রামের জায়গা, ক্লান্ত লোকেরা এখানে বিশ্রাম করুক। দেখ, এই সেই আরামের জায়গা।” কিন্তু তারা তা শুনল না।
13 কাজেই তাদের কাছে সদাপ্রভুর কথা হবে, “এটা কর, ওটা কর, এই নিয়ম মান, ঐ নিয়ম মান, এখানে আছে, ওখানে আছে,” যাতে তারা গিয়ে পিছন দিকে পড়ে যায় আর আঘাত পেয়ে ফাঁদে ধরা পড়ে।
14 সেইজন্য হে ঠাট্টা-বিদ্রূপ কারীরা, তোমরা যারা যিরূশালেমে এই লোকদের শাসন করে থাক, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোন।
15 তোমরা বড়াই করে বল, “আমরা মৃত্যুর সংগে, মৃতস্থানের সংগে একটা চুক্তি করেছি। ধ্বংসের চাবুক যখন জোরে নেমে আসবে তখন তা আমাদের কাছে আসবে না, কারণ আমরা মিথ্যাকে আমাদের আশ্রয়স্থান আর ছলনাকে আমাদের লুকাবার জায়গা করেছি।”
16 কাজেই প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, “দেখ, আমি যাচাই করে নেওয়া খুব দামী একটা পাথর বেছে নিয়েছি; সেটা সিয়োনের ভিত্তির কোণের পাথর হিসাবে স্থাপন করেছি। যে কেউ তাঁর উপর বিশ্বাস করে সে সব সময় স্থির থাকবে।
17 আমি ন্যায়বিচারকে মাপের দড়ি আর সততাকে ওলনদড়ি করব; শিলাবৃষ্টি তোমাদের আশ্রয়স্থানরূপ মিথ্যাকে ধ্বংস করে দেবে, আর বন্যা তোমাদের লুকাবার জায়গা ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
18 মৃত্যুর সংগে তোমরা যে চুক্তি করেছ তা বাতিল করা হবে; মৃতস্থানের সংগে তোমাদের যে চুক্তি হয়েছে তা স্থির থাকবে না। ধ্বংসের চাবুক যখন জোরে নেমে আসবে, তখন তা দিয়ে তোমাদের মারা হবে।
19 তা যতবার নেমে আসবে ততবার তোমাদের মারা হবে; সকালের পর সকাল, দিনে ও রাতে তা জোরে নেমে আসবে। এই কথা বুঝতে পারলে তোমরা ভীষণ ভয় পাবে।”
20 লম্বা হয়ে শোবার জন্য তোমাদের বিছানা খাটো, আর গায়ে জড়াবার জন্য কম্বলও ছোট।
21 সদাপ্রভু যুদ্ধ করবেন, যেমন করে তিনি পরাসীম পাহাড়ে করেছিলেন। তিনি উত্তেজিত হবেন, যেমন গিবিয়োন উপত্যকায় হয়েছিলেন। এইভাবে তিনি তাঁর কাজ, তাঁর অদ্ভুত ও অসাধারণ কাজ শেষ করবেন।
22 কাজেই এখন তোমাদের ঠাট্টা-বিদ্রূপ থামাও, তা না হলে তোমাদের বাঁধন আরও শক্ত হবে; কারণ সর্বক্ষমতার অধিকারী প্রভু সদাপ্রভুর মুখে আমি গোটা দেশের জন্য ঠিক করা ধ্বংসের কথা শুনেছি।
23 শোন, আমার কথায় কান দাও; আমি যা বলি তা মন দিয়ে শোন।
24 চাষী বীজ বুনবার জন্য কি অনবরত চাষ করে? সে কি সব সময় ঢেলা ভাংগে আর জমিতে মই দেয়?
25 মাটির উপরটা সমান করলে পর সে কি কালোজিরা এবং জিরা বোনে না? সে কি সারি সারি করে গম, জায়গামত যব আর ক্ষেতের সীমানায় জনার লাগায় না?
26 তার ঈশ্বরই তাকে নির্দেশ দেন এবং তাকে ঠিক পথ শিক্ষা দেন।
27 কালোজিরা ভারী যন্ত্র দিয়ে মাড়াই করা হয় না, কিম্বা জিরার উপর দিয়ে গাড়ির চাকা গড়ানো হয় না, বরং লাঠি দিয়ে কালোজিরা ও জিরা মাড়াই করা হয়।
28 অনেক দিন ধরে কেউ গম মাড়াই করতে থাকে না, তাতে তা নষ্ট হয়ে যায়; মাড়াই করবার সময় সে তার উপর দিয়ে এমনভাবে গাড়ির চাকা ও ঘোড়া চালায় যাতে তা নষ্ট না হয়।
29 এই সব জ্ঞান সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভুর কাছ থেকে আসে। তাঁর পরামর্শ আশ্চর্য ও তাঁর জ্ঞান চমৎকার।