1 সদাপ্রভু তাঁর অভিষিক্ত লোক কোরসের সম্বন্ধে বলছেন, “তার সামনে জাতিদের দমন করবার জন্য আর রাজাদের শক্তিহীন করবার জন্য আমি তার ডান হাত ধরেছি। আমি তার সামনে দরজাগুলো খুলে দেব যাতে ফটকগুলো বন্ধ না থাকে।”
2 তিনি কোরসকে বলছেন, “আমি তোমার আগে আগে গিয়ে উঁচু-নীচু জায়গাগুলো সমান করে দেব; আমি ব্রোঞ্জের সব ফটক ভেংগে দেব আর লোহার আগলগুলো কেটে ফেলব।
3 আমি তোমাকে অন্ধকার জায়গায় রাখা ধন-সম্পদ আর লুকানো জায়গায় জমিয়ে রাখা ধন দেব, যাতে তুমি জানতে পার যে, আমিই সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, যিনি তোমার নাম ধরে ডাকেন।
4 আমার দাস যাকোবের জন্য, আমার বেছে রাখা ইস্রায়েলের জন্য আমি তোমার নাম ধরে ডেকেছি। আমাকে তুমি না জানলেও আমি তোমাকে সম্মানের উপাধি দিয়েছি।
5 আমিই সদাপ্রভু, অন্য আর কেউ নেই; আমি ছাড়া অন্য ঈশ্বর নেই। তুমি আমাকে না জানলেও আমি তোমাকে শক্তি দিয়েছি,
6 যেন পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিক পর্যন্ত লোকে জানতে পারে যে, আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আমিই সদাপ্রভু, অন্য আর কেউ নেই।
7 আমিই আলো এবং অন্ধকার সৃষ্টি করি; আমিই মংগল নিয়ে আসি ও সর্বনাশের সৃষ্টি করি। আমি সদাপ্রভুই এই সব করে থাকি।
8 “হে আকাশ, তুমি সততার বৃষ্টি ফেল; মেঘ সততা ঢেলে দিক। পৃথিবীর বুক খুলে গিয়ে উদ্ধার গজিয়ে উঠুক আর তার সংগে বেড়ে উঠুক সততা। আমি সদাপ্রভুই এর ব্যবস্থা করেছি।
9 “ধিক্ সেই লোককে, যে তার সৃষ্টিকর্তার সংগে ঝগড়া করে। সে তো মাটির পাত্রগুলোর মধ্যে একটা পাত্র ছাড়া আর কিছু নয়। মাটি কি কুমারকে বলবে, ‘তুমি কি তৈরী করছ?’ তোমার তৈরী জিনিস কি বলবে, ‘তোমার হাত পাকা নয়’?
10 ধিক্ সেই লোককে, যে তার বাবাকে বলে, ‘তুমি কি জন্ম দিয়েছ?’ কিম্বা তার মাকে বলে ‘তুমি কি প্রসব করেছ?’
11 “সদাপ্রভু, যিনি ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন, যিনি তার সৃষ্টিকর্তা, তিনি এই কথা বলছেন, ‘তোমরা কি ভবিষ্যতের ঘটনা সম্বন্ধে আমাকে জিজ্ঞাসা করছ? আমার সন্তানদের সম্বন্ধে কিম্বা আমার হাতের কাজের বিষয়ে কি আমাকে আদেশ দিচ্ছ?
12 আমিই পৃথিবী তৈরী করে তার উপর মানুষকে সৃষ্টি করেছি; আমি নিজের হাতে আকাশকে বিছিয়ে দিয়েছি আর আকাশের সূর্য, চাঁদ ও তারাগুলোকে স্থাপন করেছি।
13 আমার ন্যায্যতায় আমি কোরসকে উত্তেজিত করব; আমি তার সমস্ত পথ সোজা করব। সে আমার শহর আবার তৈরী করবে, আমার যে লোকেরা বন্দী ছিল সে তাদের ছেড়ে দেবে কিন্তু সে কোন দাম বা পুরস্কারের জন্য তা করবে না।’ সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু এই কথা বলছেন।”
14 সদাপ্রভু ইস্রায়েল জাতিকে বলছেন, “মিসরের উপার্জন করা সম্পদ ও কূশের ব্যবসার জিনিস তোমার কাছে আসবে। লম্বা লম্বা সবায়ীয়েরা নিজেরাই তোমার কাছে আসবে; তারা তোমার হবে আর তোমার পিছনে পিছনে চলবে। তারা শিকলে বাঁধা অবস্থায় তোমার কাছে আসবে। তারা তোমার সামনে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে মিনতি জানাবে ও বলবে, ‘ঈশ্বর নিশ্চয়ই তোমার সংগে আছেন। একমাত্র তিনিই ঈশ্বর, আর কোন ঈশ্বর নেই।’ ”
15 হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর ও উদ্ধারকর্তা, সত্যিই তুমি এমন ঈশ্বর যিনি নিজেকে লুকিয়ে রাখেন।
16 যারা প্রতিমা তৈরী করে তারা সবাই লজ্জিত ও অসম্মানিত হবে; তারা একসংগে অপমানিত হয়ে চলে যাবে।
17 কিন্তু ঈশ্বর ইস্রায়েলকে চিরকালের জন্য উদ্ধার করবেন; তোমরা কোন কালেই লজ্জিত বা অপমানিত হবে না।
18 সদাপ্রভু, যিনি মহাকাশ সৃষ্টি করেছেন, তিনিই ঈশ্বর; যিনি পৃথিবীর আকার দিয়েছেন ও তৈরী করেছেন, তিনিই তা স্থাপন করেছেন। তিনি বাস করবার অযোগ্য করে পৃথিবী সৃষ্টি করেন নি, বরং লোকেরা যাতে বাস করতে পারে সেইভাবেই তা সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলছেন, “আমিই সদাপ্রভু, আর কেউ নয়।
19 কোন অন্ধকার দেশের কোন জায়গা থেকে আমি গোপনে কথা বলি নি। যাকোবের বংশকে আমি বলি নি, ‘তোমরা মিথ্যাই আমাকে ডাক।’ আমি সদাপ্রভু ন্যায্য কথা বলি; যা ঠিক তা-ই ঘোষণা করি।
20 “ওহে অন্যান্য জাতির বেঁচে থাকা লোকেরা, তোমরা এক সংগে জড়ো হয়ে এস। যারা কাঠের মূর্তি বয়ে নিয়ে বেড়ায় আর এমন দেবতার কাছে প্রার্থনা করে যে উদ্ধার করতে পারে না তারা কিছুই জানে না।
21 এস, তোমাদের পক্ষে যা বলবার আছে তা উপস্থিত কর; তোমরা একসংগে পরামর্শ কর। এই ঘটনা যে ঘটবে তা কে আগে বলেছেন? সেই দূর অতীতে কে তা আগে ঘোষণা করেছেন? আমি সদাপ্রভুই কি তা করি নি? আমি ছাড়া আর ঈশ্বর নেই; আমি ন্যায়বান ঈশ্বর, আমি উদ্ধারকর্তা। আমি ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নেই।
22 “হে পৃথিবীর সব শেষ সীমাগুলো, আমার দিকে ফেরো এবং উদ্ধার পাও, কারণ আমিই ঈশ্বর, আর কেউ ঈশ্বর নয়।
23 আমি নিজের নামেই শপথ করেছি, আমার ন্যায্যতায় আমি এই কথা বলেছি, আর তা বাতিল হবে না। সেই কথা হল, আমার সামনে প্রত্যেকে হাঁটু পাতবে এবং আমার অধীনতা স্বীকার করবে।
24 তারা আমার বিষয় বলবে, ‘কেবল সদাপ্রভুর মধ্যেই সততা ও শক্তি আছে।’ লোকেরা আমার কাছে আসবে এবং যারা আমার উপর রেগে আছে তারা লজ্জিত হবে।
25 আমার মধ্যেই ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ নির্দোষ বলে প্রমাণিত হবে এবং তারা আমার গৌরব করবে।”