13 ছুতার মিস্ত্রি সুতা দিয়ে মাপে আর কলম দিয়ে নকশা আঁকে; সে যন্ত্র দিয়ে খোদাই করে আর কমপাস দিয়ে তার আকার ঠিক করে। সে তাতে একটা সুন্দর মানুষের আকার দেয় যেন তা ঘরের মধ্যে থাকতে পারে।
14 কেউ এরস গাছ কাটে, কিম্বা হয়তো তর্সা বা এলোন গাছ বেছে নেয়। সে বনের গাছপালার মধ্যে সেটাকে বাড়তে দেয়, কিম্বা সে ঝাউ গাছ লাগায় আর বৃষ্টি সেটা বাড়িয়ে তোলে।
15 পরে সেটা মানুষের জ্বালানি কাঠ হয়। সে তার কিছু নিয়ে আগুন পোহায়, আবার আগুন জ্বেলে রুটি সেঁকে, আবার একটা দেবতা তৈরী করে তার পূজাও করে, আবার প্রতিমা তৈরী করে মাটিতে পড়ে তাকে প্রণাম করে।
16 সে কাঠের এক ভাগ দিয়ে আগুন জ্বালায়, তারপর সে তার উপর তার খাবার তৈরী করে আর মাংস ঝল্সে নিয়ে পেট ভরে খায়; আবার আগুন পোহায়ে সে বলে, “আহা! আমি আগুন পোহালাম, আগুনের তাপ নিলাম।”
17 বাকী অংশ দিয়ে সে একটা দেবতা, অর্থাৎ একটা প্রতিমা তৈরী করে আর মাটিতে পড়ে তাকে প্রণাম করে ও পূজা করে। সে তার কাছে প্রার্থনা করে বলে, “আমাকে উদ্ধার কর; তুমিই আমার দেবতা।”
18 সেই লোকেরা কিছু জানেও না, বোঝেও না। তাদের চোখ বন্ধ বলে তারা দেখতে পায় না আর মন বন্ধ বলে তারা বুঝতেও পারে না।
19 কেউ একটু চিন্তা করে না; কারও জ্ঞান বা বুদ্ধি নেই যে বলে, “আমি এর এক ভাগ দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছি, তার কয়লার উপর রুটি সেঁকেছি আর মাংস ঝল্সে নিয়ে খেয়েছি। তাহলে কি এর বাকী অংশ দিয়ে আমি ঘৃণার জিনিস তৈরী করব? কাঠের খণ্ডকে কি আমি মাটিতে পড়ে প্রণাম করব?”