2 তাদের দেখলে মনে হয় দিনের পর দিন যেন তারা আমার ইচ্ছামত চলছে আর আমার পথ জানবার জন্য তাদের আগ্রহ আছে; তারা যেন এমন একটা জাতি যারা ঠিক কাজ করে আর তাদের ঈশ্বরের আদেশ ত্যাগ করে না; তারা যেন আমার কাছে ন্যায়বিচার সম্বন্ধে জানতে চায় আর যেন ঈশ্বরের কাছে আসতে আগ্রহী।
3 তারা বলে, ‘আমরা উপবাস করেছি আর তুমি তা চেয়ে দেখলে না কেন? আমরা কষ্ট স্বীকার করেছি আর তুমি তা লক্ষ্য করলে না কেন?’ কিন্তু দেখ, তোমাদের উপবাসের দিনে তোমরা তো নিজেদের সন্তুষ্ট করে থাক, আর তোমাদের সব কর্মচারীদের উপর অত্যাচার করে থাক।
4 উপবাস করবার ফলে তোমরা ঝগড়া আর বিবাদ করে থাক এবং ঘুষি মেরে একে অন্যকে আঘাত করে থাক। তোমরা এইভাবে উপবাস করলে আশা করতে পারবে না যে, আমি তোমাদের কথা শুনব।
5 আমি কি এই রকম উপবাস চেয়েছি? তোমাদের উপবাস তো কেবল নিজেদের কষ্ট দেওয়া; তা কেবল নল-খাগড়ার মত মাথা নোয়ানো আর ছালার চটের ও ছাইয়ের উপর শুয়ে থাকা। এটাকেই কি তোমরা উপবাস আর সদাপ্রভুর দয়া দেখাবার দিন বল?
6 “আসলে আমি এই রকম উপবাস চাই: তোমরা অবিচারের শিকল আর জোয়ালের দড়ি খুলে দাও, অত্যাচারিতদের মুক্তি দাও আর প্রত্যেকটি জোয়াল ভেংগে ফেল,
7 খিদে পাওয়া লোকদের তোমাদের খাবার ভাগ করে দাও, ঘুরে বেড়ানো গরীব লোককে নিজের ঘরে আশ্রয় দাও, উলংগকে দেখলে তাকে কাপড় পরাও, আর নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। এই সব কাজ করাই হল আসল উপবাস।
8 তাহলে তোমাদের আলো ভোরের মত প্রকাশ পাবে আর শীঘ্রই তোমরা সুস্থতা লাভ করবে; তোমাদের সততা তোমাদের আগে আগে যাবে আর আমার গৌরব তোমাদের পিছন দিকের রক্ষক হবে।