5 তোমার সৃষ্টিকর্তাই তোমার স্বামী, তাঁর নাম আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন; ইসরাইলের আল্লাহ্ পাকই তোমার মুক্তিদাতা। তাঁকেই সমস্ত দুনিয়ার আল্লাহ্ বলা হয়।
6 তুমি ত্যাগ করা আর দিলে কষ্ট পাওয়া স্ত্রীর মত হয়েছ, যৌবনকালে দূর করে দেওয়া স্ত্রীর মত হয়েছ; কিন্তু মাবুদ আবার তোমাকে ডেকেছেন। আমি তোমার আল্লাহ্ এই কথা বলছি।
7 “এক মুহূর্তের জন্য আমি তোমাকে ত্যাগ করেছিলাম, কিন্তু গভীর মমতায় আমি তোমাকে ফিরিয়ে আনব।
8 রাগে মুহূর্তের জন্য তোমার কাছ থেকে আমি মুখ ফিরিয়েছিলাম, কিন্তু চিরকালের অটল মহব্বত দিয়ে আমি তোমার উপর মমতা করব। আমি তোমার মুক্তিদাতা মাবুদ এই কথা বলছি।
9 “আমার কাছে এটা নূহের দিনের মত লাগছে। আমি যেমন কসম খেয়েছিলাম যে, নূহের সময়কার পানির মত পানি আর কখনও দুনিয়া ঢেকে ফেলবে না, তেমনি এই কসমও খেয়েছি যে, তোমার উপর রাগ করব না, তোমাকে আর কখনও বকুনি দেব না।
10 যদিও বা পর্বত সরে যায় আর পাহাড় টলতে থাকে, তবুও তোমার জন্য আমার অটল মহব্বত সরে যাবে না কিংবা আমার শান্তির ব্যবস্থা টলবে না।” তোমার উপর যাঁর মমতা রয়েছে সেই মাবুদ এই কথা বলছেন।
11 মাবুদ বলছেন, “হে ঝড়ে আঘাত পাওয়া, সান্ত্বনা না পাওয়া অত্যাচারিত শহর, আমি তোমাকে চক্চকে পাথর দিয়ে তৈরী করতে যাচ্ছি আর তোমার ভিত্তি নীলকান্তমণি দিয়ে গাঁথব।