30-31 তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ই তোমাদের আগে আগে যাচ্ছেন। তিনি তোমাদের চোখের সামনে মিসর দেশে এবং মরুভূমিতে যেমন তোমাদের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন এখনও তেমনি করবেন। তোমরা তো দেখেছ, পিতা যেমন ছেলেকে কোলে করে নিয়ে যান তেমনি করে এই জায়গায় না পৌঁছানো পর্যন্ত তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ও সারাটা পথ তোমাদের বয়ে নিয়ে এসেছেন।’
32 তবুও তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উপর ভরসা কর নি।
33 তিনিই তো তাম্বু ফেলবার জায়গা ঠিক করবার জন্য এবং পথ দেখিয়ে তোমাদের নিয়ে যাবার জন্য রাতে আগুনের মধ্যে ও দিনে মেঘের মধ্যে থেকে যাত্রাপথে তোমাদের আগে আগে গিয়েছিলেন।
34-36 “তোমাদের কথা শুনে মাবুদ রেগে গিয়ে কসম খেয়ে বলেছিলেন, ‘যে চমৎকার দেশটা তোমাদের পূর্বপুরুষদের দেবার কসম আমি খেয়েছিলাম একমাত্র যিফুন্নির ছেলে কালুত ছাড়া এখনকার সেই অসৎ লোকদের মধ্যে একজনও তা দেখতে পাবে না। কেবল কালুত তা দেখবে। সে পুরোপুরি ভাবে মাবুদের কথামত চলেছে বলে সে তা দেখবে এবং যেখানে সে পা দিয়ে এসেছে সেটাই আমি তাকে ও তার বংশধরদের দেব।’
37 “তোমাদের দরুন মাবুদ আমার উপরও রেগে গিয়ে বলেছিলেন, ‘ঐ দেশে তোমারও ঢোকা হবে না,
38 কিন্তু তোমার সাহায্যকারী নূনের ছেলে ইউসা ঢুকবে। তুমি ইউসাকে উৎসাহ দাও, কারণ সে-ই দেশটা দখল করে বনি-ইসরাইলদের অধিকার হিসাবে দেবে।
39 যে সব ছেলেমেয়েদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে বলে তোমরা বলেছিলে তোমাদের সেই সব ছেলেমেয়েরা, যাদের নেকী-বদীর জ্ঞান এখনও হয় নি, তারাই সেই দেশে ঢুকবে। আমি দেশটা তাদেরই দেব এবং তারা তা দখল করবে।