1 “তোমাদের ইসরাইলীয় ভাইয়ের কোন গরু বা ভেড়াকে পথ হারিয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে দেখলে তোমরা চুপ করে বসে থাকবে না। তোমরা অবশ্যই সেটা তার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
2 যদি সেই ভাই তোমাদের বাড়ীর পাশের কেউ না হয় কিংবা ভাইটি কে তা যদি জানা না থাকে, তাহলে সেটা তোমরা নিয়ে যাবে এবং সেই ভাই সেটার খোঁজে না আসা পর্যন্ত নিজের বাড়ীতে রেখে দেবে। সে আসলে পর সেটা তাকে ফিরিয়ে দেবে।
3 তোমাদের ভাইয়ের গাধা কিংবা গায়ের কাপড় কিংবা তার হারিয়ে যাওয়া অন্য কিছু চোখে পড়লেও তোমরা ঐ রকম করবে, চুপ করে বসে থাকবে না।
4 “তোমাদের ভাইয়ের গাধা কিংবা গরু রাস্তায় পড়ে গেছে দেখতে পেলে চুপ করে বসে থাকবে না। সেটা যাতে উঠে দাঁড়ায় সেইজন্য অবশ্যই তুমি তাকে সাহায্য করবে।
5 “কোন স্ত্রীলোক যেন পুরুষের সাজে না সাজে কিংবা কোন পুরুষ যেন স্ত্রীলোকের পোশাক না পরে। যে তা করে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তাকে ঘৃণা করেন।
6 “তোমরা চলতে চলতে পথের পাশে কোন গাছে কিংবা মাটির উপরে যদি এমন কোন পাখীর বাসা দেখতে পাও যেখানে পাখীর মা বাচ্চাদের উপর বসে আছে কিংবা ডিমের উপর তা দিচ্ছে, তবে বাচ্চাসুদ্ধ মাকে তোমরা ধরে নিয়ে যাবে না।
7 তোমরা বাচ্চাগুলো নিতে পার কিন্তু মাকে অবশ্যই তোমাদের ছেড়ে দিতে হবে। এতে তোমাদের উন্নতি হবে আর তোমরা অনেক দিন বেঁচে থাকবে।
8 “বাড়ী তৈরী করবার সময় তোমরা সেটার ছাদের চারপাশটা দেয়ালের মত করে কিছুটা উঁচু করে দেবে, যাতে কেউ ছাদের উপর থেকে পড়ে মারা গেলে বাড়ীর লোকেরা তার মৃত্যুর জন্য দায়ী না হয়।
9 “আংগুর ক্ষেতে তোমরা দুই জাতের বীজ লাগাবে না; তা করলে সেই বীজের ফসল এবং ক্ষেতের আংগুর দুই-ই তোমাদের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
10 “তোমরা বলদ আর গাধা একসংগে জুড়ে চাষ করবে না।
11 “তোমরা পশম আর মসীনা সুতা মিশিয়ে বোনা কাপড় পরবে না।
12 “তোমাদের গায়ের চাদরের চার কোণায় থোপ্না লাগাবে।
13-14 “কোন লোক যদি বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে শোবার পরে তাকে অপছন্দ করে এবং তার নিন্দা ও বদনাম করে বলে, ‘আমি এই স্ত্রীলোককে বিয়ে করেছিলাম বটে, কিন্তু সে যে সতী মেয়ে তার মধ্যে সেই প্রমাণ আমি পেলাম না,’
15-16 তবে সেই মেয়ের মা-বাবা গ্রাম বা শহরের সদর দরজায় বৃদ্ধ নেতাদের কাছে তার সতীত্বের প্রমাণ নিয়ে যাবে এবং তার পিতা বলবে, ‘আমি এই লোকের সংগে আমার মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু সে তাকে অপছন্দ করে,
17 আর এখন সে তার নিন্দা করে বলছে যে, সে তাকে সতী অবস্থায় পায় নি। কিন্তু এই দেখুন, আমার মেয়ের সতীত্বের প্রমাণ।’ এই বলে তারা বৃদ্ধ নেতাদের সামনে তার ব্যবহার করা কাপড় মেলে ধরবে।
18 তখন বৃদ্ধ নেতারা তার স্বামীকে শাস্তি দেবে।
19 তার কাছ থেকে তারা জরিমানা হিসাবে এক কেজি রূপা আদায় করে মেয়েটির বাবাকে দেবে, কারণ সে একজন ইসরাইলীয় সতী মেয়ের নামে বদনাম করেছে। এছাড়া মেয়েটি তার স্ত্রী-ই থাকবে এবং তার স্বামী জীবনে কখনও তাকে ছেড়ে দিতে পারবে না।
20 “কিন্তু কথাটা যদি সত্যি হয় এবং মেয়েটির সতীত্বের কোন প্রমাণ পাওয়া না যায়,
21 তবে মেয়েটিকে তার বাবার বাড়ীর দরজার কাছে নিয়ে যেতে হবে। সেই জায়গার পুরুষ লোকেরা সেখানে পাথর ছুঁড়ে তাকে হত্যা করবে। বাবার বাড়ীতে থাকবার সময়ে জেনা করে সে বনি-ইসরাইলদের মধ্যে ভীষণ ঘৃণার কাজ করেছে। তোমরা তোমাদের মধ্য থেকে এই রকম খারাপী শেষ করে দেবে।
22 “কোন লোককে যদি অন্য কারও স্ত্রীর সংগে সহবাস করতে দেখা যায় তবে যে তার সংগে সহবাস করেছে সেই পুরুষ ও সেই স্ত্রীলোক দু’জনকেই হত্যা করতে হবে। তোমরা বনি-ইসরাইলদের মধ্য থেকে এই রকম খারাপী শেষ করে দেবে।
23 “বিয়ে ঠিক হয়ে আছে এমন কোন মেয়েকে গ্রাম বা শহরের মধ্যে পেয়ে যদি কেউ তার সংগে সহবাস করে,
24 তবে তাদের দু’জনকেই সেখানকার সদর দরজার কাছে নিয়ে গিয়ে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করতে হবে। মেয়েটিকে হত্যা করতে হবে কারণ গ্রাম বা শহরের মধ্যে থেকেও সে সাহায্যের জন্য চিৎকার করে নি, আর পুরুষটিকে হত্যা করতে হবে কারণ সে অন্যের স্ত্রীকে নষ্ট করেছে। তোমাদের মধ্য থেকে এই রকম খারাপী তোমরা শেষ করে দেবে।
25 “বিয়ে ঠিক হয়ে আছে এমন কোন মেয়েকে নির্জন খোলা মাঠে পেয়ে যদি কেউ জোর করে তার সংগে সহবাস করে তবে যে লোকটি তা করবে কেবল তাকেই হত্যা করতে হবে।
26 মেয়েটির প্রতি তোমরা কিছু করবে না; মৃত্যুর শাস্তি পাবার মত কোন গুনাহ্ সে করে নি। এটা একজন আর একজনকে ধরে হত্যা করবার মতই,
27 কারণ লোকটি মেয়েটিকে খোলা মাঠে পেয়েছিল আর বিয়ের কথা দেওয়া মেয়েটি যদিও চিৎকার করেছিল তবুও তাকে রক্ষা করবার মত কেউ সেখানে ছিল না।
28 “বিয়ে ঠিক হয় নি এমন কোন সতী মেয়েকে পেয়ে যদি কেউ জোর করে তার সংগে সহবাস করে আর যদি তারা ধরা পড়ে,
29 তবে লোকটিকে মেয়ের বাবাকে আধা কেজি রূপা দিতে হবে। মেয়েটিকে নষ্ট করেছে বলে তাকে তার বিয়ে করতে হবে। সে জীবনে কখনও তাকে ছেড়ে দিতে পারবে না।
30 “সৎমাকে কারও বিয়ে করা চলবে না; তাতে সে বাবার স্ত্রীর সংগে জেনা করে বাবাকে অসম্মান করবে।