1 “আবীব মাসে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে তোমরা উদ্ধার-ঈদ পালন করবে। এই আবীব মাসেই একদিন রাতের বেলায় তিনি মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছিলেন।
2 নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য মাবুদ তাঁর বাসস্থান হিসাবে যে জায়গাটা বেছে নেবেন, সেখানে তোমরা তোমাদের গরু বা ছাগল-ভেড়ার পাল থেকে পশু নিয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে উদ্ধার-ঈদের কোরবানী দেবে।
3 সেই পশুর গোশ্ত তোমরা খামি দেওয়া রুটির সংগে খাবে না। সাত দিন ধরে তোমাদের দুঃখ স্মরণ করানো খামিহীন রুটি খেতে হবে, কারণ ভয়ে তাড়াহুড়া করে তোমরা মিসর দেশ ছেড়ে চলে এসেছিলে। এতে মিসর দেশ থেকে বেরিয়ে আসবার কথা তোমাদের সারা জীবন মনে থাকবে।
4 এই সাত দিন সারা দেশে তোমাদের মধ্যে যেন খামি দেওয়া কোন কিছু পাওয়া না যায়। ঈদের প্রথম দিনের সন্ধ্যাবেলায় তোমরা যে গোশ্ত কোরবানী দেবে তা যেন সকাল পর্যন্ত পড়ে না থাকে।
5 “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র দেওয়া আর কোন শহরে তোমরা উদ্ধার-ঈদের পশু-কোরবানী দেবে না;
6 যে জায়গাটা তিনি নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য তাঁর বাসস্থান হিসাবে বেছে নেবেন কেবল সেখানেই তা কোরবানী দেবে। যেদিন তোমরা মিসর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছ প্রত্যেক বছরের সেই দিনে সূর্য ডুববার সময় সন্ধ্যাবেলায় উদ্ধার-ঈদের পশু-কোরবানী দেবে।
7 তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে জায়গাটা বেছে নেবেন সেখানেই তোমরা সেই গোশ্ত রান্না করে খাবে। তার পরের দিন সকালে তোমরা তোমাদের ঘরে ফিরে যাবে।
8 ছয় দিন ধরে তোমরা খামিহীন রুটি খাবে আর সাত দিনের দিন তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে শেষ দিনের মিলন-মাহ্ফিলের আয়োজন করবে এবং সেই দিন কোন কাজ করবে না।
9 “মাঠের ফসল কাটা শুরু করা থেকে তোমরা গুণে সাতটা সপ্তা বাদ দেবে।
10 তারপর তোমাদের নিজের ইচ্ছায় করা কোরবানী দিয়ে তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে সাত সপ্তাহের ঈদ পালন করবে। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের যে পরিমাণে দোয়া করেছেন তা বুঝে তোমরা এই কোরবানীর জিনিস দেবে।
11 তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য তাঁর বাসস্থান হিসাবে যে জায়গাটা বেছে নেবেন সেখানে তাঁর সামনে তোমরা, তোমাদের ছেলেমেয়েরা, তোমাদের গোলাম ও বাঁদীরা এবং তোমাদের মধ্যে বাস করা লেবীয়রা, বিদেশী বাসিন্দারা, এতিম ছেলেমেয়েরা আর বিধবারা- তোমরা সবাই আনন্দ করবে।
12 মিসর দেশে তোমরাও যে গোলাম ছিলে সেই কথাটা মনে রেখে তোমরা এই সব নিয়ম যত্নের সংগে পালন করবে।
13 “তোমাদের খামার এবং আংগুর মাড়াই করবার জায়গা থেকে সব কিছু তুলে রাখবার পরে সাত দিন তোমরা কুঁড়ে-ঘরের ঈদ পালন করবে।
14 তোমরা, তোমাদের ছেলেমেয়েরা, তোমাদের গোলাম ও বাঁদীরা এবং তোমাদের মধ্যে বাস করা লেবীয়রা, বিদেশী বাসিন্দারা, এতিম ছেলেমেয়েরা আর বিধবারা- তোমরা সবাই এই পর্বে আনন্দ করবে।
15 তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে জায়গা বেছে নেবেন সেখানেই তোমরা তাঁর উদ্দেশে সাত দিন ধরে এই ঈদ পালন করবে, কারণ তোমাদের তোলা সব ফসল এবং সব কাজে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের দোয়া করবেন আর তোমাদের আনন্দ পূর্ণ হবে।
16 “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র বেছে নেওয়া জায়গায় বছরে তিনবার, অর্থাৎ খামিহীন রুটির ঈদের সময়, সাত সপ্তাহের ঈদের সময় এবং কুঁড়ে-ঘরের ঈদের সময় তোমাদের সব পুরুষ লোকদের মাবুদের সামনে উপস্থিত হতে হবে। কেউ যেন খালি হাতে মাবুদের সামনে উপস্থিত না হয়।
17 তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের যে পরিমাণে দোয়া করেছেন তা বুঝে তোমাদের প্রত্যেকেই যেন কিছু না কিছু নিয়ে আসে।
18 “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের যে সব গ্রাম ও শহর দিতে যাচ্ছেন তার প্রত্যেকটিতে প্রত্যেক গোষ্ঠীর জন্য তোমরা বিচারক ও কর্মচারী নিযুক্ত করবে। তারা ন্যায়ভাবে লোকদের বিচার করবে।
19 তোমরা অন্যায় বিচার করবে না কিংবা কারও পক্ষ নেবে না। তোমরা ঘুষ নেবে না, কারণ ঘুষ জ্ঞানীদের চোখ অন্ধ করে দেয় এবং নির্দোষ লোকদের কথায় প্যাঁচ লাগিয়ে দেয়।
20 যে দেশটা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের দিচ্ছেন, তোমরা যাতে বেঁচে থেকে তা ভোগ-দখল করতে পার সেইজন্য তোমরা কেবল ন্যায়কেই মেনে চলবে।
21-22 “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে তোমরা যে কোরবানগাহ্ তৈরী করবে তার পাশে পূজা করবার জন্য কাঠের আশেরা-খুঁটি পুঁতবে না কিংবা কোন পাথরও খাড়া করবে না, কারণ তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ এই সব ঘৃণা করেন।