1 “আমি তোমাদের সামনে যে দোয়া ও বদদোয়া তুলে ধরলাম তা সবই তোমাদের উপর আসবে। তারপর তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে সব জাতির মধ্যে তোমাদের ছড়িয়ে দেবেন তাদের মধ্যে বাস করবার সময় এই সব কথায় তোমরা মন দেবে।
2 সেই সময় যখন তোমরা ও তোমাদের সন্তানেরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র কাছে ফিরে আসবে এবং আজ আমি তোমাদের যে সব হুকুম দিচ্ছি তা পালন করে মনেপ্রাণে তাঁর ইচ্ছামত চলবে,
3 তখন মাবুদ বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে তোমাদের ফিরিয়ে আনবেন। তিনি তোমাদের প্রতি মমতা করবেন এবং যে সব জাতিদের মধ্যে তোমাদের ছড়িয়ে দেবেন তাদের মধ্য থেকে তিনি আবার তোমাদের কুড়িয়ে আনবেন।
4 আসমানের শেষ সীমানায়ও যদি তোমাদের ফেলে দেওয়া হয় সেখান থেকেও তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের কুড়িয়ে আনবেন।
5 তোমাদের পূর্বপুরুষদের দেশেই তিনি তোমাদের ফিরিয়ে আনবেন আর তোমরা তা আবার দখল করবে। তিনি তোমাদের অনেক উন্নতি করবেন এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের চেয়েও তোমাদের লোকসংখ্যা বাড়িয়ে দেবেন।
6 তোমরা যাতে তোমাদের সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে তাঁকে মহব্বত করে বেঁচে থাক সেইজন্য তিনি তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের অন্তরের খৎনা করাবেন।
7 এই সব বদদোয়া তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের শত্রুদের উপর আনবেন যারা তোমাদের ঘৃণা ও জুলুম করবে।
8 তখন তোমরা আবার মাবুদের বাধ্য হয়ে চলবে আর তাঁর যে সব হুকুম আজ আমি তোমাদের দিচ্ছি তা মেনে চলবে।
9 “তখন তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ সব দিক থেকে তোমাদের উন্নতি করবেন। তিনি তোমাদের কাজকর্মে দোয়া করবেন এবং তোমাদের সন্তানের সংখ্যা, পশুর বাচ্চা এবং জমির ফসল বাড়িয়ে দেবেন। তোমাদের পূর্বপুরুষদের উপর তাঁর যে আনন্দ ছিল তোমাদের উপর আবার সেই আনন্দ নিয়ে তিনি তোমাদের উন্নতি করবেন-
10 অবশ্য যদি তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র বাধ্য হয়ে এই তৌরাত কিতাবে লেখা তাঁর সব হুকুম ও নিয়ম পালন কর আর মনেপ্রাণে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র দিকে ফেরো।
11 “আজ আমি তোমাদের যে হুকুম দিচ্ছি তা পালন করা তোমাদের পক্ষে তেমন শক্ত নয় কিংবা এই হুকুম তোমাদের নাগালের বাইরেও নয়।
12 এই হুকুম বেহেশতে তুলে রাখা কোন জিনিস নয় যে, তোমরা বলবে, ‘কে বেহেশতে গিয়ে তা এনে আমাদের শোনাবে যাতে আমরা তা পালন করতে পারি?’
13 এটা সমুদ্রের ওপারের কোন জিনিসও নয় যে, তোমরা বলবে, ‘কে সমুদ্র পার হয়ে গিয়ে তা এনে আমাদের শোনাবে যাতে আমরা তা পালন করতে পারি?’
14 মাবুদের কথা তোমাদের সংগেই রয়েছে; রয়েছে তোমাদের মুখে ও দিলে যাতে তোমরা তা পালন করতে পার।
15 “দেখ, আজ আমি তোমাদের সামনে যা তুলে ধরছি তা হল জীবন ও উন্নতি কিংবা মৃত্যু ও দুঃখকষ্ট।
16 আজ তোমাদের কাছে আমার হুকুম এই যে, তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে মহব্বত করবে, তাঁর পথে চলবে এবং তাঁর হুকুম, নিয়ম ও নির্দেশ মেনে চলবে। তাহলে তোমরা বাঁচবে এবং সংখ্যায় বেড়ে উঠবে, আর যে দেশ তোমরা দখল করবার জন্য যাচ্ছ সেখানে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের দোয়া করবেন।
17 “কিন্তু যদি তোমাদের অন্তর তাঁর কাছ থেকে সরে যায় এবং তোমরা তাঁর অবাধ্য হও আর যদি তোমরা দেব-দেবীর পূজার টানে তাদের সেজদা কর,
18 তবে আজ আমি তোমাদের বলে দিচ্ছি যে, তোমরা নিশ্চয়ই ধ্বংস হয়ে যাবে। জর্ডান নদী পার হয়ে যে দেশ তোমরা দখল করতে যাচ্ছ সেখানে তোমরা বেশী দিন বেঁচে থাকবে না।
19-20 “তোমাদের বিরুদ্ধে আসমান ও জমীনকে সাক্ষী রেখে আমি বলছি যে, আজ আমি তোমাদের সামনে জীবন কিংবা মৃত্যু এবং দোয়া কিংবা বদদোয়া তুলে ধরলাম। তোমরা জীবনকে বেছে নাও, যেন তোমরা ও তোমাদের ছেলেমেয়েরা বেঁচে থাক ও তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে মহব্বত কর, তাঁর কথা শোন এবং তাঁকে আঁক্ড়ে ধরে রাখ, কারণ এগুলোর মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জীবন। যে দেশ দেবার কসম তিনি তোমাদের পূর্বপুরুষ ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কাছে খেয়েছিলেন সেখানে এগুলোর মধ্যেই রয়েছে তোমাদের আয়ু।”