1 মূসা ইসরাইলীয় বৃদ্ধ নেতাদের সংগে নিয়ে লোকদের বললেন, “যে সব হুকুম আজ আমি তোমাদের দিচ্ছি তা তোমরা পালন করবে।
2 তোমরা জর্ডান নদী পার হয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র দেওয়া দেশে গিয়ে কতগুলো বড় বড় পাথর খাড়া করে নেবে এবং সেগুলো চুন দিয়ে লেপে দেবে,
3 আর সেগুলোর উপর এই শরীয়তের সব কথাগুলো লিখবে। তোমাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের কাছে করা তাঁর ওয়াদা অনুসারে দুধ আর মধুতে ভরা যে দেশটি তোমাদের দিতে যাচ্ছেন তোমরা সেখানে যাওয়ার পর,
4 অর্থাৎ জর্ডান নদী পার হয়ে যাওয়ার পর আমার আজকের হুকুম অনুসারে তোমরা এবল পাহাড়ের উপর সেই পাথরগুলো খাড়া করে নিয়ে চুন দিয়ে লেপে দেবে।
5 তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে তোমরা সেখানে একটা পাথরের কোরবানগাহ্ তৈরী করবে। পাথরগুলোর উপর তোমরা কোন লোহার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবে না।
6 তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র এই কোরবানগাহ্টি তোমরা গোটা গোটা পাথর দিয়ে তৈরী করবে আর তার উপর তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী দেবে।
7 সেখানে তোমরা যোগাযোগ-কোরবানী দেবে ও সেই কোরবানীর জিনিস খেয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র সামনে আনন্দ করবে।
8 যে পাথরগুলো তোমরা খাড়া করে নেবে তার উপর এই শরীয়তের সব কথাগুলো খুব স্পষ্ট করে লিখবে।”
9 এর পর মূসা লেবীয় ইমামদের নিয়ে সমস্ত বনি-ইসরাইলদের বললেন, “হে বনি-ইসরাইলরা, তোমরা চুপ করে শোন। আজ তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র নিজের বান্দা হয়েছ।
10 তোমরা তাঁর বাধ্য হয়ে চলবে। আজ আমি যে সব হুকুম ও নিয়ম তোমাদের দিচ্ছি তা তোমরা পালন করে চলবে।”
11 ঐ দিনই মূসা লোকদের এই হুকুম দিলেন,
12 “তোমরা জর্ডান নদী পার হয়ে যাবার পর যখন মাবুদের দোয়া উচ্চারণ করা হবে তখন শিমিয়োন, লেবি, এহুদা, ইষাখর, ইউসুফ ও বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকেরা গরিষীম পাহাড়ের উপরে থাকবে।
13 আর যখন তাঁর বদদোয়া উচ্চারণ করা হবে তখন রূবেণ, গাদ, আশের, সবূলূন, দান ও নপ্তালি-গোষ্ঠীর লোকেরা এবল পাহাড়ের উপরে থাকবে।
14 “লেবীয়রা তখন সমস্ত বনি-ইসরাইলদের সামনে চিৎকার করে এই কথা বলবে:
15 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে ছাঁচে ফেলে কিংবা কাঠ বা পাথর খোদাই করে কোন মূর্তি তৈরী করে এবং পূজার জন্য তা গোপন জায়গায় স্থাপন করে। এই সব মূর্তি মাবুদের ঘৃণার জিনিস, কারিগরের হাতের কাজ মাত্র।’ তখন সবাই বলবে, ‘আমিন।’
16 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে মা কিংবা বাবাকে অসম্মান করে।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’
17 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে অন্য লোকের জমির সীমানা-চিহ্ন সরিয়ে দেয়।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’
18 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে অন্ধকে ভুল পথে নিয়ে যায়।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’
19 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে বিদেশী বাসিন্দা, এতিম এবং বিধবাদের প্রতি অন্যায় বিচার হতে দেয়।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’
20 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে তার সৎমায়ের সংগে জেনা করে, কারণ তাতে তার বাবাকে সে অসম্মান করে।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’
21 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে পশুর সংগে সহবাস করে।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’
22 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে তার সৎবোনের সংগে জেনা করে- সে বাবার মেয়ে হোক কিংবা মায়ের মেয়ে হোক।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’
23 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে তার শাশুড়ীর সংগে জেনা করে।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’
24 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে কাউকে গোপনে খুন করে।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’
25 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে নির্দোষ লোককে খুন করবার জন্য ঘুষ নেয়।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’
26 ‘সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে এই শরীয়তের কথাগুলো পালন করে না এবং তার ক্ষমতাকে অস্বীকার করে।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন।’