1 “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে দেশ দখল করবার জন্য তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেখানকার কোন মাঠে হয়তো কাউকে খুন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যেতে পারে, কিন্তু কে তাকে খুন করেছে তা জানা নেই।
2 এই অবস্থায় তোমাদের বৃদ্ধ নেতারা ও বিচারকেরা বাইরে গিয়ে সেই লাশ থেকে কাছের গ্রাম বা শহরগুলো কত দূরে তা মেপে দেখবে।
3 লাশ থেকে যে জায়গাটা সবচেয়ে কাছে পড়বে সেখানকার বৃদ্ধ নেতাদের এমন একটা বক্না বাছুর নিতে হবে যাকে কখনও কাজে লাগানো হয় নি এবং যার কাঁধে কখনও জোয়াল দেওয়া হয় নি।
4 যেখানে কখনও চাষ করা কিংবা বীজ বোনা হয় নি এবং যেখানে একটা নদী বয়ে যাচ্ছে, বক্না বাছুরটাকে তেমন একটা উপত্যকায় তাদের নিয়ে যেতে হবে। সেই উপত্যকায় তারা বক্না বাছুরটার ঘাড় ভেংগে দেবে।
5 তারপর ইমামেরা, অর্থাৎ লেবি-গোষ্ঠীর লোকেরা সামনে এগিয়ে যাবে, কারণ এবাদত-কাজ করবার জন্য, মাবুদের নামে দোয়া উচ্চারণ করবার জন্য এবং ঝগড়া-বিবাদ ও মারধরের বিচার করবার জন্য তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তাদেরই বেছে নিয়েছেন।
6 তারপর সবচেয়ে কাছের গ্রাম বা শহরের বৃদ্ধ নেতারা সেই ঘাড় ভাংগা বাছুরটার উপর তাদের হাত ধুয়ে ফেলবে।
7 এর পর তারা বলবে, ‘এই রক্তপাত আমরা নিজেরা করি নি এবং হতেও দেখি নি।
8 হে মাবুদ, তোমার মুক্ত করা বনি-ইসরাইলদের তুমি মাফ কর। এই লোকটির রক্তপাতের জন্য তুমি তোমার বান্দাদের দায়ী কোরো না।’ এতে সেই রক্তপাতের দোষ মাফ করা হবে।
9 এইভাবে তোমরা নিজেদের মধ্য থেকে নির্দোষ লোকের রক্তপাতের দোষ মুছে ফেলতে পারবে, কারণ তখন মাবুদের চোখে যা ভাল তা-ই করা হবে।
10 “শত্রুদের সংগে যুদ্ধ করতে গিয়ে যখন তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের হাতে তাদের তুলে দেবেন আর তোমরা তাদের বন্দী করবে,
11 তখন যদি তাদের মধ্যেকার কোন সুন্দরী স্ত্রীলোককে দেখে তোমাদের কারও তাকে ভাল লাগে তবে সে তাকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে।
12 স্ত্রীলোকটিকে সে তার বাড়ীতে নিয়ে যাবে। তারপর স্ত্রীলোকটি তার চুল কামিয়ে ফেলবে ও নখ কেটে ফেলবে,
13 আর বন্দী হবার সময়ে তার গায়ে যে সব কাপড়-চোপড় ছিল তা খুলে ফেলবে। এর পর তার বাড়ীতে থেকে সেই স্ত্রীলোকটি পুরো এক মাস তার মা-বাবার জন্য শোক করবে। তারপর সেই লোকটি তাকে বিয়ে করে তার স্বামী হবে এবং স্ত্রীলোকটিও তার স্ত্রী হবে।
14 পরে যদি স্ত্রীলোকটির উপর সে অখুশী হয় তবে তাকে যেখানে ইচ্ছা চলে যেতে দিতে হবে। সে তাকে বিক্রি করতে পারবে না কিংবা বাঁদী হিসাবে রাখতে পারবে না, কারণ সে তার অসম্মান করেছে।
15 “এমন হতে পারে যে, একজন লোকের দু’জন স্ত্রী আছে, আর তাদের একজনকেই সে ভালবাসে অন্যজনকে নয়। তাদের দু’জনেরই যদি ছেলে হয় আর প্রথম ছেলের জন্ম হয় সেই স্ত্রীর গর্ভে যাকে সে ভালবাসে না,
16 তবে সম্পত্তি উইল করে দেবার সময়ে যে স্ত্রীকে সে ভালবাসে না তার ছেলেকে বাদ দিয়ে অন্য স্ত্রীর ছেলেটিকে প্রথম ছেলের পাওনা অধিকার দেওয়া চলবে না, কারণ যে স্ত্রীকে সে ভালবাসে না তার ছেলেটিই আসলে তার প্রথম ছেলে।
17 যে স্ত্রীকে সে ভালবাসে না তার ছেলেকে তার সম্পত্তি থেকে অন্য যে কোন ছেলের চেয়ে দ্বিগুণ ভাগ দিয়ে সেই ছেলেই যে প্রথম ছেলে তা তাকে স্বীকার করতে হবে। সেই ছেলেই তার বাবার পুরুষ-শক্তির প্রথম ফল। প্রথম ছেলের অধিকার তারই পাওনা।
18 “যদি কারও ছেলে একগুঁয়ে এবং বিদ্রোহী হয়, যদি সে কিছুতেই মা-বাবার কথা না শোনে এবং তাদের শাসন না মানে,
19 তবে তার মা-বাবা তাকে তাদের গ্রাম বা শহরের সদর দরজায় বৃদ্ধ নেতাদের কাছে নিয়ে যাবে।
20 তারা সেই বৃদ্ধ নেতাদের বলবে, ‘আমাদের এই ছেলে ভীষণ একগুঁয়ে এবং বিদ্রোহী; সে আমাদের অগ্রাহ্য করে চলে। সে মাতাল এবং টাকা-পয়সা উড়িয়ে দেয়।’
21 তখন সেই জায়গার সমস্ত পুরুষেরা তাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবে। এইভাবে তোমাদের মধ্য থেকে সেই খারাপী শেষ করে দিতে হবে। তাতে বনি-ইসরাইলরা সবাই এই কথা শুনে ভয় পাবে।
22 “যদি কোন লোক মৃত্যুর শাস্তি পাবার মত কোন দোষ করে এবং তাকে হত্যা করে গাছে টাংগিয়ে রাখা হয়,
23 তবে সকাল পর্যন্ত তার লাশ গাছে টাংগিয়ে রাখা চলবে না। সেই দিনই তাকে দাফন করে ফেলতে হবে, কারণ গাছে টাংগিয়ে রাখা লোক আল্লাহ্র বদদোয়াপ্রাপ্ত। সম্পত্তি হিসাবে যে দেশটা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের দিতে যাচ্ছেন তা তোমরা নাপাক করবে না।