1 “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে দেশ তোমাদের দখল করবার জন্য দেবেন সেখানকার জাতিদের যখন তিনি ধ্বংস করে ফেলবেন এবং তোমরা তাদের বদলে তাদের গ্রামে বা শহরে ও বাড়ী-ঘরে বাস করতে থাকবে,
2-3 তখন সম্পত্তি হিসাবে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র দেওয়া গোটা দেশটা তোমরা তিন ভাগে ভাগ করে নেবে। তার মধ্য থেকে আশ্রয়-শহর হিসাবে তিনটা শহর তোমরা আলাদা করে নেবে এবং সেখানে যাবার পথও তৈরী করে নেবে। তাহলে কেউ যদি কারও হাতে মারা পড়ে তবে যে মেরেছে সে তার কাছের আশ্রয়-শহরে পালিয়ে যেতে পারবে।
4 “মনে কোন হিংসা না রেখে যদি কেউ হঠাৎ কাউকে হত্যা করে এবং নিজের প্রাণ বাঁচাবার জন্য তার কাছের আশ্রয়-শহরটিতে পালিয়ে যায় তবে তার সম্বন্ধে এই হল নিয়ম।
5 ধরে নাও, একজন লোক অন্য আর একজনের সংগে বনে কাঠ কাটতে গেল। সেখানে গাছ কাটতে গিয়ে কুড়াল দিয়ে কোপ দেবার সময়ে কুড়ালের ফলাটা ফস্কিয়ে গিয়ে অন্য লোকটিকে আঘাত করল এবং তাতে সে মারা গেল। এই অবস্থায় ঐ লোকটি তার কাছের আশ্রয়-শহরটিতে গিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারবে।
6 তা না হলে রক্তের শোধ যার নেবার কথা সে রাগের বশে তাকে তাড়া করতে পারে আর আশ্রয়-শহর কাছে না হলে তাকে হত্যা করতে পারে, যদিও মনে হিংসা নিয়ে হত্যা করে নি বলে মৃত্যু তার পাওনা শাস্তি নয়।
7 সেইজন্য আমি তোমাদের নিজেদের জন্য তিনটা শহর আলাদা করে রাখবার হুকুম দিচ্ছি।
8-9 “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে মহব্বত করবার এবং সব সময় তাঁর পথে চলবার এই যে সব হুকুম আমি আজ তোমাদের দিচ্ছি তা যদি তোমরা যত্নের সংগে পালন কর তবে তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে কসম খাওয়া ওয়াদা অনুসারে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের দেশের সীমানা বাড়িয়ে দেবেন এবং গোটা দেশটা তোমাদের দেবেন। তখন তোমরা নিজেদের জন্য আশ্রয়-শহর হিসাবে আরও তিনটা শহর আলাদা করে রাখবে।