35 “তোমরা যাতে জানতে পার যে, আল্লাহ্ই মাবুদ এবং তিনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই, সেইজন্যই এই সব তোমাদের দেখানো হয়েছিল।
36 তোমাদের তাঁর শাসনের আওতায় আনবার জন্য তিনি বেহেশত থেকে তাঁর স্বর তোমাদের শুনতে দিয়েছিলেন আর দুনিয়াতে দেখিয়েছিলেন তাঁর মহান আগুন, আর সেই আগুনের মধ্য থেকে তোমরা তাঁর কথা শুনতে পেয়েছিলে।
37 তিনি তোমাদের পূর্বপুরুষদের মহব্বত করতেন এবং তাঁদের পরে তাঁদের বংশধরদের বেছে নিয়েছেন। সেইজন্য তিনি নিজে উপস্থিত থেকে তাঁর মহাশক্তি দ্বারা মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন।
38 তিনি তা করেছেন যাতে তোমাদের চেয়েও বড় এবং শক্তিশালী জাতিগুলোকে তোমাদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের দেশে তোমাদের নিয়ে যেতে পারেন এবং সম্পত্তি হিসাবে তা তোমাদের দিতে পারেন; আর আজ তা-ই হয়েছে।
39 “আজকে তোমরা এই কথাটা জেনে রাখ এবং অন্তরে গেঁথে রাখ যে, আল্লাহ্ই উপরে আসমানের এবং নীচে দুনিয়ার মাবুদ, আর তিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই।
40 তোমাদের ও তোমাদের পরে তোমাদের সন্তানদের যেন উন্নতি হয় এবং তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে দেশ চিরকালের জন্য তোমাদের দিচ্ছেন তাতে যেন তোমরা অনেকদিন বেঁচে থাকতে পার সেইজন্য আমি যে সব শরীয়ত ও হুকুম আজ তোমাদের দিচ্ছি তা তোমরা মেনে চলবে।”
41-43 এর পর মূসা জর্ডান নদীর পূর্ব দিকে তিনটা শহর বেছে নিলেন, যাতে কেউ কাউকে হত্যা করলে পর সেখানে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে। অবশ্য যদি সে মনে কোন হিংসা না রেখে হঠাৎ তা করে থাকে তবেই সে সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে। যে শহরগুলোতে পালিয়ে গিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করা যাবে সেগুলো হল রূবেণীয়দের জন্য মরুভূমির সমভূমির বেৎসর, গাদীয়দের জন্য গিলিয়দের রামোৎ এবং মানশীয়দের জন্য বাশনের গোলান।