38 তিনি তা করেছেন যাতে তোমাদের চেয়েও বড় এবং শক্তিশালী জাতিগুলোকে তোমাদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের দেশে তোমাদের নিয়ে যেতে পারেন এবং সম্পত্তি হিসাবে তা তোমাদের দিতে পারেন; আর আজ তা-ই হয়েছে।
39 “আজকে তোমরা এই কথাটা জেনে রাখ এবং অন্তরে গেঁথে রাখ যে, আল্লাহ্ই উপরে আসমানের এবং নীচে দুনিয়ার মাবুদ, আর তিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই।
40 তোমাদের ও তোমাদের পরে তোমাদের সন্তানদের যেন উন্নতি হয় এবং তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে দেশ চিরকালের জন্য তোমাদের দিচ্ছেন তাতে যেন তোমরা অনেকদিন বেঁচে থাকতে পার সেইজন্য আমি যে সব শরীয়ত ও হুকুম আজ তোমাদের দিচ্ছি তা তোমরা মেনে চলবে।”
41-43 এর পর মূসা জর্ডান নদীর পূর্ব দিকে তিনটা শহর বেছে নিলেন, যাতে কেউ কাউকে হত্যা করলে পর সেখানে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে। অবশ্য যদি সে মনে কোন হিংসা না রেখে হঠাৎ তা করে থাকে তবেই সে সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে। যে শহরগুলোতে পালিয়ে গিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করা যাবে সেগুলো হল রূবেণীয়দের জন্য মরুভূমির সমভূমির বেৎসর, গাদীয়দের জন্য গিলিয়দের রামোৎ এবং মানশীয়দের জন্য বাশনের গোলান।
44-46 মূসা বনি-ইসরাইলদের সামনে এই শরীয়ত তুলে ধরেছিলেন। মিসর থেকে বের হয়ে আসবার পর তিনি জর্ডানের পূর্ব দিকে হিষ্বোনের আমোরীয় বাদশাহ্ সীহোনের দেশে বৈৎ-পিয়োরের সামনের উপত্যকাতে বনি-ইসরাইলদের কাছে এই সব সাবধানের কথা এবং নিয়ম ও নির্দেশ জানিয়েছিলেন। মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসবার পর মূসা ও বনি-ইসরাইলরা বাদশাহ্ সীহোনকে হারিয়ে দিয়েছিলেন।
47 তাঁরা সীহোনের ও বাশনের বাদশাহ্ উজের দেশ অধিকার করে নিয়েছিলেন। এই দুই আমোরীয় বাদশাহ্র রাজ্য দু’টি ছিল জর্ডানের পূর্ব দিকে।
48 অর্ণোন উপত্যকার কিনারার অরোয়ের শহর থেকে সীওন পাহাড়, অর্থাৎ হর্মোণ পাহাড় পর্যন্ত ছিল এই দুই রাজ্য।