1 হায়! আফরাহীমের মাতালদের অহংকারের মুকুট; হায়! তার তেজোময় শোভার মলিন ফুল, যা আঙ্গুর-রসে পরাভূতদের ফলশালী উপত্যকার মাথায় রয়েছে।
2 দেখ, প্রভুর এক জন বলবান ও বীর্যশালী লোক আছে; শিলাবৃষ্টি ও ধ্বংসকারী একটা বাতাসের মত, অতি বেগে ধাবমান প্রবল বৃষ্টির মত, বলপূর্বক সকলই ভূমিতে নিক্ষেপ করবে।
3 আফরাহীমের মাতালদের অহংকারের মুকুট পদতলে দলিত হবে;
4 এবং ফলশালী উপত্যকার মাথায় স্থিত তাদের তেজোময় শোভার মলিন যে ফুল, তা ফলসংগ্রহ কালের পূর্ববর্তী এমন প্রথমে পাকা ডুমুর ফলের মত হবে, যা লোকে দেখামাত্র লক্ষ্য করে, হাতের মুঠায় নেওয়া মাত্র গ্রাস করে।
5 সেদিন বাহিনীগণের মাবুদই তাঁর লোকদের অবশিষ্টাংশের জন্য শোভার মুকুট ও গৌরবের মালা হবেন;
6 আর বিচার করার জন্য উপবিষ্ট ব্যক্তির বিচারের রূহ্ ও যারা নগর-দ্বারে যুদ্ধ ফিরায়, তাদের শক্তিস্বরূপ হবেন।
7 কিন্তু এরাও আঙ্গুর-রসে ভ্রান্ত ও সুরাপানে টলটলায়মান হয়েছে; ইমাম ও নবী সুরাপানে ভ্রান্ত হয়েছে; তারা আঙ্গুর-রসে কবলিত ও সুরাপানে টলটলায়মান হয়, তারা দর্শনে ভ্রান্ত ও বিচারে বিচলিত হয়।
8 বস্তুত সকল টেবিল বমিতে ও মলে পরিপূর্র্ণ হয়েছে, কোন স্থান পরিস্কার নেই।
9 ‘সে কাকে জ্ঞান শিক্ষা দেবে? কাকে বার্তা বুঝিয়ে দেবে? কি তাদেরকে, যারা দুধ ছেড়েছে ও স্তন্যপানে নিবৃত্ত হয়েছে?
10 কেননা বিধির উপরে বিধি, বিধির উপরে বিধি; পাঁতির উপরে পাঁতি, পাঁতির উপরে পাঁতি; এখানে একটুকু, সেখানে একটুকু।’
11 ‘শোন, তিনি বিদেশীদের ওষ্ঠ ও অদ্ভুত ভাষা দ্বারা এই লোকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন,
12 যাদেরকে তিনি বললেন, ‘এই বিশ্রামস্থানে, তোমরা ক্লান্তকে বিশ্রাম দাও, আর এটাই প্রাণ জুড়াবার স্থান;’ তবুও তারা শুনতে সম্মত হল না।
13 সেজন্য তাদের প্রতি মাবুদের কালাম ‘বিধির উপরে বিধি, বিধির উপরে বিধি; পাঁতির উপরে পাঁতি, পাঁতির উপরে পাঁতি; এখানে একটুকু, সেখানে একটুকু’ হবে; যেন তারা গিয়ে পিছনে পড়ে ভেঙ্গে যায় ও ফাঁদে পরে ধরা পড়ে।
14 অতএব, হে ঠাট্টা-বিদ্রূপকারী লোকেরা, জেরুশালেমস্থ এই জাতির শাসনকর্তারা, মাবুদের কালাম শোন।
15 তোমরা বলেছ, ‘আমরা মৃত্যুর সঙ্গে নিয়ম করেছি, পাতালের সঙ্গে সন্ধি স্থির করেছি; সংহারকের কশা যখন উপনীত হবে, তখন আমাদের কাছে আসবে না, কেননা আমরা মিথ্যাকে আশ্রয় করেছি ও মিথ্যা ছলের আড়ালে লুকিয়েছি।’
16 এজন্য সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, দেখ, আমি সিয়োনে ভিত্তিমূলের জন্য একটি পাথর স্থাপন করলাম; তা পরীক্ষিত পাথর বহুমূল্য কোণের পাথর, অতি দৃঢ়ভাবে বসান; যে ব্যক্তি বিশ্বাস করবে, সে টলবে না।
17 আর আমি ন্যায়বিচারকে মানরজ্জু ও ধার্মিকতাকে ওলোনসূত্র করবো; শিলাবৃষ্টি ঐ মিথ্যারূপ আশ্রয় ফেলে দেবে এবং বন্যা ঐ লুকাবার স্থান ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
18 আর মৃত্যুর সঙ্গে কৃত তোমাদের নিয়ম বিলোপ করা হবে ও পাতালের সঙ্গে তোমাদের সন্ধি স্থির থাকবে না; সংহারকের কশা যখন উপনীত হবে, তখন তোমরা তা দ্বারা দলিত হবে।
19 তা যতবার উপনীত হবে, ততবার তোমাদেরকে ধরবে, বস্তুত সে প্রভাতে, দিনে ও রাতে, উপনীত হবে; আর এই বার্তা বুঝলে কেবল ত্রাস জন্মাবে।
20 বাস্তবিক শোবার জন্য বিছানা খাটো ও সর্বাঙ্গে জড়াবার জন্য লেপও ছোট।
21 বস্তুত মাবুদ উঠবেন, যেমন পরাসীম পর্বতে উঠেছিলেন; তিনি ক্রোধ করবেন, যেমন গিবিয়োনের উপত্যকাতে করেছিলেন; এভাবে তিনি তাঁর কাজ, তাঁর অসম্ভব কাজ সিদ্ধ করবেন; তাঁর ব্যাপার, তাঁর বিজাতীয় ব্যাপার সম্পন্ন করবেন।
22 অতএব তোমরা নিন্দায় রত হয়ো না, পাছে তোমাদের বন্ধন দৃঢ়তর হয়; কেননা প্রভুর মুখে, বাহিনীগণের মাবুদেরই মুখে আমি সমস্ত দুনিয়ার জন্য উচ্ছেদের, নির্ধারিত উচ্ছেদের কথা শুনেছি।
23 তোমরা কান দাও, আমার কথা শোন; কান দাও, আমার কালাম শোন।
24 বীজ বপন করার জন্য কৃষক কি সমস্ত দিন হাল চাষ করে ও মাটি খুঁড়ে ভূমির ঢেলা ভাঙ্গে?
25 ভূমিতল সমান করার পর সে কি মহুরী ছড়ায় না ও জিরা বপন করে না? এবং ভাগ ভাগ করে গম নির্ধারিত স্থানে যব ও ক্ষেতের সীমাতে জনার কি বোনে না?
26 কারণ তার আল্লাহ্ তাকে যথার্থ শিক্ষা দেন; তিনি তাকে জ্ঞান দেন।
27 বস্তুত মহুরী হাতগাড়ি দ্বারা মাড়াই করা যায় না এবং জিরার উপরে গাড়ির চাকা ঘোরে না, কিন্তু মহুরী দণ্ড দিয়ে ও জিরা লাঠি দিয়ে মাড়া যায়।
28 রুটির জন্য শস্য চূর্ণ করতে হয়; কারণ সে কখনও তা মাড়াই করবে না; আর তার গাড়ির চাকা ও তার ঘোড়াগুলো তা ছড়ায় বটে, কিন্তু সে তা চূর্ণ করে না।
29 এও বাহিনীগণের মাবুদ থেকে হয়; তিনি মন্ত্রণাতে আশ্চর্য ও বুদ্ধিকৌশলে মহান।