1 মাবুদ এই কথা বলেন, “হে বন্ধ্যা স্ত্রীলোক, যে কখনও সন্তান জন্ম দেয় নি, তুমি আনন্দগান কর, যার কখনও প্রসব-বেদনা উঠে নি, তুমি উচ্চৈঃস্বরে আনন্দগান ও আনন্দ-চিৎকার কর; কেননা সধবার সন্তানের চেয়ে অনাথার সন্তান বেশি, মাবুদ এই কথা বলেন।
2 তুমি তোমার তাঁবুর স্থান বিস্তৃত কর, তোমার শিবিরের পর্দা বিস্তারিত হোক, ভয় করো না; তোমার দড়িগুলো লম্বা কর, তোমার সমস্ত গোঁজ দৃঢ় কর।
3 কেননা তুমি ডানে ও বামে বিস্তৃত হবে, তোমার বংশ জাতিদের দেশ দখল করবে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরগুলোতে লোক বসাবে।
4 ভয় করো না, কেননা তুমি লজ্জা পাবে না;বিষণ্ন হয়ো না, কেননা তুমি অপ্রতিভ হবে না;কারণ তুমি তোমার যৌবনের অপমান ভুলে যাবে,আর তোমার বৈধব্যের দুর্নাম স্মরণে থাকবে না।
5 কেননা তোমার নির্মাতা তোমার স্বামী,তাঁর নাম বাহিনীগণের মাবুদ;আর ইসরাইলের পবিত্রতম তোমার মুক্তিদাতা,তিনি সমস্ত দুনিয়ার আল্লাহ্ বলে আখ্যাত হবেন।
6 কারণ পরিত্যক্তা ও রূহে দুঃখিতা স্ত্রীর মত, কিংবা দূরীকৃতা যৌবনকালের স্ত্রীর মত হয়েছ, কিন্তু মাবুদ তোমাকে আবার ডেকেছেন; এই কথা তোমার আল্লাহ্ বলেন।
7 আমি ক্ষণকালের জন্য তোমাকে ত্যাগ করেছি, কিন্তু মহা করুণায় তোমাকে আশ্রয় দেব।
8 আমি ক্রুদ্ধ হয়ে এক নিমেষমাত্র তোমার কাছ থেকে আমার মুখ লুকিয়েছিলাম, কিন্তু অনন্তকালস্থায়ী দয়াতে তোমার প্রতি করুণা করবো, এই কথা তোমার মুক্তিদাতা মাবুদ বলেন।
9 বস্তুত আমার কাছে এসব নূহের দিনগুলোর মত; কারণ আমি যেমন শপথ করেছি যে, নূহের জলরাশি আর ভূতল প্লাবিত করবে না, তেমনি এই শপথ করলাম যে, তোমার প্রতি আর ক্রুদ্ধ হব না, তোমাকে আর ভর্ৎসনাও করবো না।
10 বস্তুত পর্বতমালা সরে যাবে, উপ-পর্বতগুলো টলবে; কিন্তু আমার অটল মহব্বত তোমার কাছ থেকে সরে যাবে না এবং আমার শান্তি-নিয়ম টলবে না; যিনি তোমার প্রতি অনুকম্পা করেন, সেই মাবুদ এই কথা বলেন।
11 হে দুঃখিনী, হে ঝড়ে আলোড়িতা, সান্ত্বনা-বঞ্চিতা, দেখ, আমি উজ্জ্বল পাথর দিয়ে তোমাকে তৈরি করবো, নীলকান্তমণি দ্বারা তোমার ভিত্তিমূল স্থাপন করবো;
12 আর পদ্মরাগমণি দ্বারা তোমার আলিসা ও সূর্যকান্তমণি দ্বারা তোমার তোরণদ্বারগুলো ও মনোহর পাথর দ্বারা তোমার সমস্ত পরিসীমা নির্মাণ করবো।
13 আর তোমার সন্তানেরা সকলে মাবুদের কাছ থেকে শিক্ষা পাবে, আর তোমার সন্তানদের পরম শান্তি হবে।
14 তুমি ধার্মিকতায় স্থিরীকৃত হবে; তুমি জুলুম থেকে দূরে থাকবে, বস্তুত তুমি ভয় পাবে না; এবং ত্রাস থেকে দূরে থাকবে, বাস্তবিক তা তোমার কাছে আসবে না।
15 দেখ, কেউ যদি তোমাকে আক্রমণ করে, তা আমা থেকে হবে না; যে তোমাকে আক্রমণ করবে, সে তোমার কারণেই মারা পড়বে।
16 দেখ, যে কর্মকার জ্বলন্ত অঙ্গারে বাতাস দেয়, আর তার কাজের জন্য অস্ত্র গঠন করে, আমিই তাকে সৃষ্টি করেছি, বিনাশ করার জন্য নাশকের সৃষ্টিও আমিই করেছি।
17 যে কোন অস্ত্র তোমার বিরুদ্ধে গঠিত হয়, তা সার্থক হবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাকে তুমি দোষী করবে। মাবুদের গোলামদের এই অধিকার এবং আমার কাছ থেকে তাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়, মাবুদ এই কথা বলেন।