32 তাঁর বাবা তাঁকে বললেন, “তুমি কে?”এষৌ বললেন, “আমি তোমার বড় ছেলে এষৌ।”
33 এই কথা শুনে ইস্হাকের গায়ে ভীষণ কাঁপুনি ধরে গেল। তিনি বললেন, “তবে যে আমার কাছে শিকারের মাংস নিয়ে এসেছিল সে কে? তুমি আসবার আগেই আমি তা খেয়েছি এবং তাকে আশীর্বাদও করেছি, আর সেই আশীর্বাদের ফল সে পাবেই।”
34 এষৌ তাঁর বাবার কথা শুনে এক বুক-ফাটা কান্নায় ভেংগে পড়লেন। তারপর তিনি তাঁর বাবাকে বললেন, “বাবা, আমাকে, আমাকেও আশীর্বাদ কর।”
35 ইস্হাক বললেন, “তোমার ভাই এসে ছলনা করে তোমার পাওনা আশীর্বাদ নিয়ে গেছে।”
36 এষৌ বললেন, “তার এই যাকোব নামটা দেওয়া ঠিকই হয়েছে, কারণ এই নিয়ে দু’বার সে আমাকে আমার জায়গা থেকে সরিয়ে দিল। বড় ছেলে হিসাবে আমার যে অধিকার তা সে আগেই নিয়ে নিয়েছে আর এবার আমার আশীর্বাদও নিয়ে গেল।”এষৌ আরও বললেন, “আমার জন্য কি কোন আশীর্বাদই রাখ নি?”
37 উত্তরে ইস্হাক বললেন, “দেখ, আমি তাকে তোমার মনিব করেছি এবং তার গোষ্ঠীর সবাইকে তার দাস করেছি। আমি তার জন্য ফসল ও নতুন আংগুর-রসের ব্যবস্থা করেছি। এর পর বাবা, আমি তোমার জন্য আর কি করতে পারি?”
38 তখন এষৌ তাঁর বাবাকে কাকুতি-মিনতি করে বললেন, “বাবা, তোমার কাছে কি ঐ একটা আশীর্বাদই ছিল? বাবা, তুমি আমাকে, আমাকেও আশীর্বাদ কর।” এই বলে এষৌ গলা ছেড়ে কাঁদতে লাগলেন।