1 এই হল এষৌর, অর্থাৎ ইদোমের বংশের কথা।
2 এষৌ কনানীয় মেয়েদের বিয়ে করেছিলেন। সেই মেয়েরা হল হিত্তীয় এলোনের মেয়ে আদা আর হিব্বীয় সিবিয়োনের নাত্নী, অর্থাৎ অনার মেয়ে অহলীবামা।
3 এছাড়া তিনি ইশ্মায়েলের মেয়ে, অর্থাৎ নবায়োতের বোন বাসমত্কেও বিয়ে করেছিলেন।
4 এদের মধ্যে আদার গর্ভে ইলীফস এবং বাসমতের গর্ভে রূয়েলের জন্ম হয়েছিল;
5 আর অহলীবামার গর্ভে যিয়ূশ, যালম ও কোরহের জন্ম হয়েছিল। কনান দেশেই এষৌর এই সব ছেলেদের জন্ম হয়েছিল।
6 পরে এষৌ তাঁর স্ত্রীদের, ছেলেমেয়েদের এবং বাড়ীর অন্য সবাইকে আর গরু, ভেড়া, অন্যান্য পশু ও কনান দেশে আয় করা সমস্ত ধন-দৌলৎ নিয়ে তাঁর ভাই যাকোবের কাছ থেকে অনেক দূরে আর একটা দেশে চলে গেলেন।
7 এষৌ আর যাকোবের পশুধন এত বেশী ছিল যে, তাঁদের পক্ষে এক সংগে বাস করা সম্ভব হল না; তাঁরা যেখানে ছিলেন সেখানে তাঁদের দু’জনের পশুপাল চরাবার মত যথেষ্ট জায়গা ছিল না।
8 সেইজন্য এষৌ সেয়ীরের পাহাড়ী এলাকাতে গিয়ে স্থায়ীভাবে বাস করতে লাগলেন। এষৌর আর এক নাম ছিল ইদোম।
9 এই হল সেয়ীরের পাহাড়ী এলাকায় ইদোমীয়দের পূর্বপুরষ এষৌর বংশের কথা।
10 এষৌর ছেলেদের নাম ইলীফস আর রূয়েল। ইলীফস আদার ছেলে ও রূয়েল বাসমতের ছেলে।
11 ইলীফসের ছেলেরা হল তৈমন, ওমার, সফো, গয়িতম ও কনস।
12 এষৌর ছেলে ইলীফসের তিম্না নামে একজন উপস্ত্রী ছিল। তার গর্ভে অমালেকের জন্ম হয়েছিল। এরা সবাই এষৌর স্ত্রী আদার নাতি।
13 রূয়েলের ছেলেরা হল নহৎ, সেরহ, শম্ম ও মিসা। এরা এষৌর স্ত্রী বাসমতের নাতি।
14 সিবিয়োনের নাত্নীর, অর্থাৎ অনার মেয়ে অহলীবামার ছেলেরা হল যিয়ূশ, যালম ও কোরহ।
15 এষৌর ছেলেদের মধ্যে কয়েকজন গোষ্ঠীর সর্দার হয়েছিলেন। এষৌর বড় ছেলে ইলীফসের যে ছেলেরা সর্দার হয়েছিলেন তাঁরা হলেন তৈমন, ওমার, সফো, কনস,
16 কোরহ, গয়িতম ও অমালেক। ইদোম দেশে এঁরাই ছিলেন আদার ছেলে ইলীফসের বংশধর।
17 রূয়েলের যে ছেলেরা গোষ্ঠী-সর্দার হয়েছিলেন তাঁরা হলেন নহৎ, সেরহ, শম্ম ও মিসা। এঁরা ছিলেন এষৌর স্ত্রী বাসমতের ছেলে রূয়েলের বংশধর। ইদোম দেশে এঁদের জন্ম হয়েছিল।
18 এষৌর স্ত্রী অহলীবামার যে ছেলেরা গোষ্ঠী-সর্দার হয়েছিলেন তাঁরা হলেন যিয়ূশ, যালম ও কোরহ। এঁরা ছিলেন অনার মেয়ে অহলীবামার সন্তান।
19 এঁরা এষৌর, অর্থাৎ ইদোমের বংশ এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী-সর্দার।
20-21 হোরীয় সেয়ীরের ছেলেদের নাম হল লোটন, শোবল, শিবিয়োন, অনা, দিশোন, এৎসর ও দীশন। এঁরা ইদোম দেশে বাস করছিলেন। ইদোম দেশে সেয়ীরের এই সব সন্তানেরা হোরীয় গোষ্ঠীর সর্দার ছিলেন।
22 লোটনের ছেলেদের নাম হল হোরী আর হেমম। লোটনের বোনের নাম তিম্না।
23 শোবলের ছেলেদের নাম হল অল্বন, মানহৎ, এবল, শফো এবং ওনম।
24 সিবিয়োনের ছেলেদের নাম হল অয়া ও অনা। এই অনাই তাঁর বাবা সিবিয়োনের গাধা চরাতে গিয়ে মরু-এলাকার মধ্যে গরম জলের ফোয়ারার খোঁজ পেয়েছিলেন।
25 অনার ছেলের নাম হল দিশোন ও মেয়ের নাম অহলীবামা।
26 দিশোনের ছেলেদের নাম হল হিম্দন, ইশ্বন, যিত্রণ ও করাণ।
27 এৎসরের ছেলেদের নাম হল বিল্হন, সাবন ও আকন।
28 দীশনের ছেলেদের নাম হল ঊষ ও অরাণ।
29 হোরীয় সর্দারদের নাম ছিল লোটন, শোবল, সিবিয়োন, অনা,
30 দিশোন, এৎসর ও দীশন। এঁরাই ছিলেন সেয়ীর, অর্থাৎ ইদোম দেশের হোরীয় জাতির বিভিন্ন গোষ্ঠীর সর্দার।
31 ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে রাজশাসন আরম্ভ হবার আগে ইদোম দেশে যে সব রাজারা রাজত্ব করেছিলেন এই হল তাঁদের কথা:
32 বিয়োরের ছেলে বেলা ইদোমের রাজা হয়েছিলেন; তাঁর রাজধানীর নাম ছিল দিন্হাবা।
33 বেলার মৃত্যুর পর তাঁর জায়গায় বস্রা শহরের সেরহের ছেলে যোবব রাজা হয়েছিলেন।
34 যোববের মৃত্যুর পর তৈমনীয়দের দেশের হূশম তাঁর জায়গায় রাজা হয়েছিলেন।
35 হূশমের মৃত্যুর পর তাঁর জায়গায় বদদের ছেলে হদদ রাজা হয়েছিলেন। তিনি মোয়াব দেশের মিদিয়নীয়দের হারিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর রাজধানীর নাম ছিল অবীৎ।
36 হদদের মৃত্যুর পর তাঁর জায়গায় মস্রেকা শহরের স্ন রাজা হয়েছিলেন।
37 স্নের মৃত্যুর পর তাঁর জায়গায় সেই এলাকার নদীর পারের রহোবোৎ শহরের শৌল রাজা হয়েছিলেন।
38 শৌলের মৃত্যুর পর তাঁর জায়গায় অক্বোরের ছেলে বাল্হানন রাজা হয়েছিলেন।
39 অক্বোরের ছেলে বাল্হাননের মৃত্যুর পর তাঁর জায়গায় হদর রাজা হয়েছিলেন। তাঁর রাজধানীর নাম ছিল পায়ূ, আর তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল মহেটবেল। তিনি মট্রেদের মেয়ে এবং মেষাহবের নাত্নী।
40 এষৌর যে সব বংশের লোক বিভিন্ন গোষ্ঠী ও এলাকার সর্দার ছিলেন তাঁদের নাম হল তিম্ন, অল্বা, যিথেৎ,
41 অহলীবামা, এলা, পীনোন,
42 কনস, তৈমন, মিব্সর,
43 মগ্দীয়েল ও ঈরম। এঁরা ছিলেন ইদোমীয়দের পূর্বপুরুষ এষৌর বংশের লোক এবং ইদোমীয় সর্দার। দেশের যে সব এলাকায় তাঁরা বাস করতেন তাঁদের নাম অনুসারেই সেই সমস্ত এলাকার নাম দেওয়া হয়েছিল।