13 যাকোব তাঁকে বললেন, “কিন্তু প্রভু, আপনি তো জানেন যে, এই সব ছেলেমেয়েদের বয়স বেশী নয়। তা ছাড়া যে সব গরু ও ভেড়া তাদের বাচ্চাকে দুধ দিচ্ছে তাদের কথাও আমাকে ভাবতে হবে। যদি একদিনও এদের তাড়াহুড়া করে নিয়ে যাওয়া হয় তবে সবগুলোই মরে যাবে।
14 না প্রভু, তার চেয়ে বরং আপনি আমার আগে আগেই যান। সেয়ীরে আপনার কাছে গিয়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত সামনের পশুপাল এবং ছেলেমেয়েদের চলবার ক্ষমতা বুঝে আমাকে ধীরেসুস্থেই চলতে হবে।”
15 তখন এষৌ বললেন, “তাহলে আমার সংগের কয়েকজন লোককে আমি তোমার কাছে রেখে যাই।”যাকোব বললেন, “তার কি দরকার? আমার মনিবের কাছ থেকে আমি দয়া পেয়েছি সেটাই তো যথেষ্ট।”
16 কাজেই এষৌ সেই দিনই সেয়ীরের পথে রওনা হয়ে গেলেন,
17 আর যাকোব যাত্রা করে সুক্কোতে গিয়ে পৌঁছালেন। তিনি নিজের জন্য সেখানে একটা ঘর তৈরী করলেন এবং তাঁর পশুপালের জন্য কয়েকটা কুঁড়ে-ঘর তৈরী করলেন। এইজন্যই সেই জায়গাটার নাম হয়েছিল সুক্কোৎ (যার মানে “কুঁড়ে-ঘর”)।
18-19 পদ্দন-অরাম থেকে বের হয়ে আসবার পর যাকোব নিরাপদে কনান দেশের শিখিম শহরে গিয়ে উপস্থিত হলেন। তিনি শহরের বাইরে তাম্বু ফেললেন এবং সেই জমিটুকু পরে শিখিমের বাবা হমোরের ছেলেদের কাছ থেকে একশো কসীতা দিয়ে কিনে নিলেন।
20 সেখানে তিনি একটা বেদী তৈরী করে তার নাম দিলেন এল্-ইলোহে-ইস্রায়েল (যার মানে “ইস্রায়েলের ঈশ্বরই ঈশ্বর”)।