26 তখন যিহূদা তার ভাইদের বলল, “ধর, ভাইকে মেরে ফেলে আমরা কথাটা গোপন করলাম। তাতে আমাদের লাভটা কি?
27 ও তো আমাদের নিজের ভাই, আমাদেরই রক্ত-মাংস। তাই ওর গায়ে হাত না দিয়ে বরং এস, আমরা ওকে ইশ্মায়েলীয়দের কাছে বিক্রি করে দিই।” ভাইয়েরা তার কথাটা মেনে নিল।
28 সেই মিদিয়নীয় ব্যবসায়ীরা কাছে আসতেই ভাইয়েরা যোষেফকে গর্ত থেকে টেনে তুলল এবং বিশ টুকরা রূপার বদলে ইশ্মায়েলীয়দের কাছে তাঁকে বেঁচে দিল। সেই ব্যবসায়ীরা যোষেফকে মিসরে নিয়ে গেল।
29-30 পরে রূবেণ সেই গর্তের কাছে গিয়ে যোষেফকে দেখতে না পেয়ে দুঃখে তার কাপড় ছিঁড়ে ভাইদের কাছে গিয়ে বলল, “যোষেফ তো ওখানে নেই। আমি এখন কি করি?”
31 তারা তখন একটা ছাগল কেটে তার রক্তে যোষেফের সেই জামাটা ডুবাল।
32 পরে তারা সেটা তাদের বাবার কাছে নিয়ে গিয়ে বলল, “আমরা এটা কুড়িয়ে পেয়েছি। তুমি ভাল করে দেখ, জামাটা তোমার ছেলের কি না।”
33 যাকোব জামাটা চিনতে পেরে বললেন, “এই জামাটা আমার ছেলেরই। তাকে কোন বুনো জানোয়ারে খেয়ে ফেলেছে। জানোয়ারটা যে তাকে টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।”