1 হরিণ যেমন আকুলভাবে জলের ধারা কামনা করে,তেমনি করে হে ঈশ্বর, আমার প্রাণতোমার জন্য আকুল হয়ে আছে।
2 ঈশ্বরের জন্য, জীবন্ত ঈশ্বরের জন্যআমার প্রাণে পিপাসা জেগেছে;কখন আমি গিয়ে তাঁর সামনে দাঁড়াতে পারব?
3 আমার চোখের জলই আমার দিনরাতের খোরাক হয়েছে;আর এদিকে লোকে আমাকে কেবলই বলছে,“কোথায় গেল তোমার ঈশ্বর?”
4 কান্নায় আমি যখন নিজেকে উজাড় করি,তখন আমার মনে পড়েকেমন করে অসংখ্য পর্ব পালনকারীদের নিয়েআমি আনন্দ ও ধন্যবাদের চিৎকার দিতে দিতেমিছিল করে ঈশ্বরের ঘরে যেতাম।
5 হে আমার প্রাণ, কেন তুমি নিরাশ হয়ে পড়েছ?কেন এত চঞ্চল হয়ে উঠেছ?ঈশ্বরের উপরে আশা রাখ, কারণ তিনিই আমাকে উদ্ধার করেন;সেজন্য আমি আবার তাঁর গৌরব করব।
6 হে আমার ঈশ্বর, আমার প্রাণ নিরাশ হয়ে পড়েছে;তাই তো আমি যর্দন নদীর উৎসমুখে দাঁড়িয়ে,হর্মোণ পাহাড়ের চূড়ায় আর মিৎসিয়র পাহাড়ের গায়ে দাঁড়িয়েতোমার কথা ভাবছি।
7 সেখানে তোমার ঝরণার আওয়াজ জলের গর্জনকে ডাক দিচ্ছে;আর তোমার ভেংগে-পড়া ধেয়ে-আসা ঢেউয়ের ধারাআমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
8 দিনে সদাপ্রভু তাঁর অটল ভালবাসা আমার উপর ঢেলে দেন;আর রাতে আমার জীবনের ঈশ্বরের কাছে আমার প্রার্থনাও তাঁর গৌরব-গান আমার সাথী হয়।
9 আমার ঈশ্বরের কাছে, আমার আশ্রয়-পাহাড়ের কাছে,আমি এই কথা বলব, “কেন তুমি আমাকে ভুলে গেছ?কেন আমাকে শত্রুর অত্যাচারে মনে দুঃখ নিয়ে বেড়াতে হবে?”
10 আমার শত্রুরা যখন আমাকে ঠাট্টা করে কেবলই বলতে থাকে,“কোথায় গেল তোমার ঈশ্বর?”তখন আমার অবস্থা এমন হয়যেন হাড়গুলো গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে।