1 আমি চিৎকার করে ঈশ্বরের কাছে কাঁদছি;আমি ঈশ্বরের কাছে চিৎকার করছিযেন তিনি তা শুনে উত্তর দেন।
2 বিপদের দিনে আমি প্রভুকে ডাকলাম;রাতের বেলা আমার হাত দু’টা ঈশ্বরের দিকেবাড়ানোই থাকত, আমি ক্লান্ত হতাম না;আমার অন্তর সান্ত্বনা পেত না।
3 আমি যখন ঈশ্বরের কথা ভাবতাম তখন দুঃখে কোঁকাতাম;ভাবতে ভাবতে আমি নিরাশ হয়ে পড়তাম। [সেলা]
4 তুমিই আমার চোখের পাতা খোলা রাখতে;আমি খুব অস্থির হয়ে পড়তাম,তাই কথাও বলতে পারতাম না।
5 অনেক পুরানো দিনের কথা আমি ভাবতাম,ভাবতাম অনেক অনেক বছর আগেকার কথা।
6 রাতের বেলায় আমার সব গানের কথা আমার মনে পড়ত;আমি অন্তরে গভীরভাবে চিন্তা করতামআর মনে মনে প্রশ্ন করতাম-
7 প্রভু কি চিরদিনের জন্য আমাদের ত্যাগ করেছেন?তিনি কি আমাদের আর কখনও দয়া করবেন না?
8 তাঁর অটল ভালবাসা কি চিরদিনের জন্য শেষ হয়ে গেল?তাঁর প্রতিজ্ঞাও কি চিরকালের জন্য বিফল হয়ে গেল?
9 ঈশ্বর কি দয়া করতে ভুলে গেলেন?তিনি কি ক্রোধে তাঁর করুণা বন্ধ করে দিলেন? [সেলা]
10 আমি বললাম, “এটাই আমার দুঃখ যে,মহান ঈশ্বরের ডান হাতখানা বদলে গেছে।”
11 সদাপ্রভুর সব কাজের কথা আমি মনে করব;হ্যাঁ, মনে করব পুরানো দিনে তোমার করাআশ্চর্য কাজগুলোর কথা।
12 তোমার সমস্ত কাজের বিষয়ে আমি ধ্যান করব;তোমার সব কাজের কথা ভেবে দেখব।
13 হে ঈশ্বর, তোমার চলার পথ পবিত্র;আমাদের ঈশ্বরের মত মহান কি কোন দেবতা আছে?
14 তুমিই সেই ঈশ্বর যিনি আশ্চর্য আশ্চর্য কাজ করে থাকেন;সব জাতির মধ্যে তোমার শক্তির পরিচয় তুমি দিয়েছ।
15 তুমি তোমার লোক যাকোব ও যোষেফের বংশধরদেরতোমার শক্ত হাতে মুক্ত করেছ। [সেলা]
16 হে ঈশ্বর, সাগরের জল তোমাকে দেখেছিল;তোমাকে দেখে জল অস্থির হয়ে উঠল,তার গভীর তলা পর্যন্ত কেঁপে উঠল।
17 মেঘ জল ঢেলে দিল, আকাশে বাজের গর্জন হল;তোমার বিদ্যুতের তীর এখানে ওখানে চম্কাতে লাগল।
18 ঘূর্ণিঝড়ে তোমার বাজের শব্দ শোনা গেল,তোমার বিদ্যুতের ঝলক্ জগৎ আলোময় করল;পৃথিবী কাঁপল ও টলমল করে উঠল।
19 সাগরের মধ্য দিয়ে তুমি পথ করে দিলে,গভীর জলের মধ্য দিয়ে তুমি পথ করে দিলে,কিন্তু তোমার পায়ের চিহ্ন সেখানে দেখা যায় নি।