1 সুখী তারা, যারা আচরণে সিদ্ধ,যারা মাবুদের শরীয়তের পথে চলে।
2 সুখী তারা, যারা তাঁর সমস্ত নির্দেশ পালন করে;যারা সর্বান্তঃকরণে তাঁর খোঁজ করে।
3 আবার তারা অন্যায় করে না,তারা তাঁর সকল পথে গমন করে।
4 তুমি তোমার আদেশমালা হুকুম করেছ,যেন আমরা যত্নপূর্বক তা পালন করি।
5 আহা! আমার সমস্ত পথ সুস্থির হোক,যেন আমি তোমার বিধিগুলো পালন করি।
6 তখন আমি লজ্জিত হব না,যখন তোমার সমস্ত হুকুমের প্রতি দৃষ্টি রাখি।
7 যখন তোমার ধর্মময় অনুশাসনগুলো শিক্ষা করি,তখন আমি সরল অন্তরে তোমার প্রশংসা করবো।
8 আমি তোমার বিধিগুলো পালন করবো;আমাকে একেবারে পরিত্যাগ করো না।
9 যুবক কেমন করে নিজের পথ বিশুদ্ধ করবে?তোমার সমস্ত হুকুম পালন করেই তা করবে।
10 আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার খোঁজ করেছি,আমাকে তোমার নির্দেশিত পথ ছেড়ে ঘুরে বেড়াতে দিও না।
11 তোমার কালাম আমি হৃদয়ের মধ্যে সঞ্চয় করেছি,যেন তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ না করি।
12 ধন্য তুমি, হে মাবুদ,আমাকে তোমার বিধিগুলো শিক্ষা দাও।
13 আমি ওষ্ঠাধরে বর্ণনা করেছিতোমার মুখের সমস্ত অনুশাসন।
14 আমি তোমার নির্দেশ-পথে আমোদ করেছি,যেমন ধন-সম্পদে লোকে আনন্দ করে।
15 আমি তোমার আদেশমালা ধ্যান করবো,তোমার সকল পথের প্রতি দৃষ্টি রাখবো।
16 আমি তোমার বিধিগুলোতে উল্লসিত হব,তোমার কালাম ভুলে যাব না।
17 তোমার গোলামের মঙ্গল কর, যেন আমি বাঁচি,তা হলে আমি তোমার কালাম পালন করবো।
18 আমার নয়ন খুলে দাও, যেন আমি দর্শন করি,তোমার শরীয়তে আশ্চর্য আশ্চর্য বিষয় দেখি।
19 আমি দুনিয়াতে প্রবাসী,আমা থেকে তোমার সমস্ত হুকুম লুকিয়ে রেখো না।
20 আমার প্রাণ সর্ব সময়ে আকাঙ্খায় ক্ষুণ্ন হয়তোমার অনুশাসনগুলোর জন্য।
21 তুমি সেই বদদোয়াগ্রস্ত অহঙ্কারীদেরকে ভর্ৎসনা করেছ,যারা তোমার নির্দেশিত পথ ছেড়ে ঘুরে বেড়ায়।
22 আমা থেকে দুর্নাম ও অপমান দূর কর,কেননা আমি তোমার নির্দেশগুলো পালন করেছি।
23 শাসনকর্তারাও আমার বিপক্ষে কথা বললেও,তোমার এই গোলাম তোমার বিধি ধ্যান করে।
24 তোমার নির্দেশগুলো আমার হর্ষজনক,সেগুলো আমার মন্ত্রণাদায়ক সুহৃৎ।
25 আমার প্রাণ ধূলিতে সংলগ্ন,তোমার কালাম অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
26 আমি আমার পথগুলোর কথা বললাম,আর তুমি আমাকে উত্তর দিয়েছ,তোমার বিধিগুলো আমাকে শিক্ষা দাও।
27 তোমার আদেশমালা আমাকে বুঝিয়ে দাও,আমি তোমার অলৌকিক সমস্ত কাজ ধ্যান করবো।
28 আমার প্রাণ দুঃখে গলে পড়ছে,তোমার কালাম অনুসারে আমাকে উঠাও।
29 আমার কাছ থেকে মিথ্যার পথ দূর কর,কৃপা করে তোমার শরীয়ত আমাকে শিক্ষা দাও।
30 আমি বিশ্বস্ততার পথ মনোনীত করেছি,আমি তোমার সমস্ত অনুশাসন সম্মুখে রেখেছি।
31 আমি তোমার নির্দেশগুলোতে আসক্ত;হে মাবুদ, আমাকে লজ্জিত করো না।
32 আমি তোমার নির্দেশিত পথে দৌড়াব,কেননা তুমি আমার হৃদয় প্রশস্ত করছে।
33 হে মাবুদ, তোমার বিধি-পথ আমাকে দেখাও,আর আমি শেষ পর্যন্ত তা পালন করবো।
34 আমাকে বিবেচনা দাও,আমি তোমার শরীয়ত মানব,সর্বান্তঃকরণে তা পালন করবো।
35 তোমার নির্দেশিত পথে আমাকে গমন করাও,কারণ তাতেই আমার প্রীতি।
36 তোমার নির্দেশগুলোর প্রতি আমার হৃদয় ফিরাও,লোভের প্রতি আমার হৃদয়কে ফিরতে দিও না।
37 মূল্যহীন দর্শন থেকে আমার চোখ ফিরাও,তোমার পথে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
38 তোমার গোলামের পক্ষে সফল কর তোমার প্রতিজ্ঞা,যারা তোমাকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করে তাদের পক্ষে তা সফল কর।
39 দূর কর আমার দুর্নাম, যার বিষয় আমি ভয় করি,কেননা তোমার সমস্ত অনুশাসন উত্তম।
40 দেখ, আমি তোমার আদেশমালা আকাঙ্খা করে আসছি,তোমার ধর্মশীলতায় আমাকে সঞ্জীবিত কর।
41 আমার প্রতি তোমার অটল মহব্বত বর্তুক,হে মাবুদ, তোমার প্রতিজ্ঞা অনুসারে তোমার উদ্ধার বর্তুক।
42 তবে আমি আমার দুর্নামকারীকে জবাব দিতে পারব,কেননা আমি তোমার কালামে নির্ভর করছি।
43 আর আমার মুখ থেকে সত্যের কালাম নিঃশেষে হরণ করো না,কেননা আমি তোমার অনুশাসনগুলোর অপেক্ষা করছি।
44 আমি সতত তোমার শরীয়ত পালন করবো,যুগে যুগে চিরকাল করবো।
45 আর আমি প্রশস্ত স্থানে যাতায়াত করবো,কেননা আমি তোমার আদেশমালার খোঁজ করেছি।
46 আমি বাদশাহ্দের সাক্ষাতেও তোমার নির্দেশগুলোর কথা বলবো,আর আমি লজ্জিত হব না।
47 আমি তোমার আদেশগুলোতে আনন্দ করবো,সেসব আমি ভালবাসি।
48 আমি তোমার হুকুমগুলোকে সম্মান করি,সেসব আমি ভালবাসি,আমি তোমার বিধিগুলো ধ্যান করবো।
49 তোমার গোলামের পক্ষে সেই কালাম স্মরণ কর,যা দ্বারা তুমি আমাকে প্রত্যাশাযুক্ত করেছ।
50 দুঃখের সময়ে এ-ই আমার সান্ত্বনা,তোমার প্রতিজ্ঞা আমাকে সঞ্জীবিত করেছে।
51 অহঙ্কারীরা আমাকে অতিশয় বিদ্রূপ করেছে,তোমার শরীয়ত থেকে আমি বিমুখ হই নি।
52 হে মাবুদ, আমি তোমার পূর্বকালের সমস্ত অনুশাসন স্মরণ করেছি,আর সান্ত্বনা পেয়েছি।
53 দুষ্টদের বিষয়ে আমার ক্রোধ জ্বলে উঠলো,কেননা তারা তোমার শরীয়ত ত্যাগ করে।
54 তোমার বিধিগুলো হয়েছে আমার গজলযেখানেই অমি আমার বাসগৃহ তৈরি করি।
55 হে মাবুদ, আমি রাতের বেলায় তোমার নাম স্মরণ করেছি,ও তোমার শরীয়ত পালন করেছি।
56 এই দোয়া আমার উপর বর্ষিত হয়েছে যে,আমি তোমার আদেশমালা পালন করেছি।
57 মাবুদ আমার অধিকার;আমি বলেছি, আমি তোমার সমস্ত কালাম পালন করবো।
58 আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার মুখের প্রসন্নতা লক্ষ্য করেছি;তোমার প্রতিজ্ঞানুসারে আমার প্রতি রহম কর।
59 আমি নিজের পথগুলো বিবেচনা করলাম,ও তোমার নির্দেশগুলোর প্রতি আমার চরণ ফিরালাম।
60 আমি তৎপর হলাম, বিলম্ব করলাম না,তোমার সমস্ত হুকুম পালন করার জন্য।
61 দুষ্টদের দড়ি আমাকে জড়িয়ে ধরেছে,আমি তোমার শরীয়ত ভুলে যাই নি।
62 আমি মধ্যরাত্রে তোমার প্রশংসা করতে উঠবো,তোমার ধর্মময় অনুশাসনগুলোর জন্য।
63 আমি সেই সবের সখা, যারা তোমাকে ভয় করে,এবং যারা তোমার আদেশমালা পালন করে।
64 তোমার অটল মহব্বতে, হে মাবুদ, দুনিয়া পরিপূর্ণ,আমাকে তোমার বিধিগুলো শিক্ষা দাও।
65 তুমি তোমার গোলামের প্রতি মঙ্গল ব্যবহার করেছ,হে মাবুদ, তোমার কালাম অনুসারে করেছ।
66 উত্তম বিচার ও জ্ঞান আমাকে শিখাও,কেননা আমি তোমার আদেশগুলোতে বিশ্বাস করে আসছি।
67 দুঃখার্ত হবার আগে আমি ভ্রান্ত ছিলাম,কিন্তু এখন তোমার কালাম পালন করছি।
68 তুমি মঙ্গলময় ও মঙ্গলকারী,তোমার বিধিগুলো আমাকে শিক্ষা দাও।
69 অহঙ্কারীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রচনা করেছে,আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার আদেশমালা পালন করবো।
70 ওদের অন্তঃকরণ চর্বির মত স্থূল;কিন্তু আমি তোমার শরীয়তে আনন্দ করি।
71 আমি যে দুঃখার্ত হয়েছি, এই আমার পক্ষে উত্তম,যেন আমি তোমার বিধি শিখতে পাই।
72 তোমার মুখের শরীয়ত আমার পক্ষে উত্তম,হাজার হাজার সোনার ও রূপার মুদ্রার চেয়ে উত্তম।
73 তোমার হাত আমার গঠন ও স্থিতি করেছে;আমাকে বিবেচনা দাও, যেন তোমার সমস্ত হুকুম শিখতে পারি।
74 যারা তোমাকে ভয় করে, তারা আমাকে দেখে আনন্দিত হবে,কারণ আমি তোমার কালামে প্রত্যাশা করেছি।
75 হে মাবুদ, আমি জানি তোমার সকল বিচার ধর্মময়,আর তুমি বিশ্বস্ততায় আমাকে দুঃখ দিয়াছ।
76 আহা! তোমার অটল মহব্বত আমার সান্ত্বনাজনক হোক,তোমার গোলামের প্রতি তোমার কথা অনুসারে হোক।
77 আমার প্রতি তোমার করুণা বর্তুক, যেন আমি বাঁচি;কেননা তোমার শরীয়ত আমার হর্ষজনক।
78 অহঙ্কারীরা লজ্জিত হোক,কেননা তারা মিথ্যা বলে আমার সর্বনাশ করেছে;কিন্তু আমি তোমার আদেশমালা ধ্যান করছি।
79 যারা তোমাকে ভয় করে, তারা যেন আমার প্রতি ফিরে আসে,আর তারা তোমার নির্দেশগুলো বুঝবে।
80 আমার দিল তোমার বিধিতে সিদ্ধ হোক,যেন আমি লজ্জিত না হই।
81 তোমার উদ্ধারের প্রতীক্ষায় আমার প্রাণ ক্ষীণ হয়,আমি তোমার কালামের অপেক্ষা করি।
82 তোমার নির্দেশের প্রতীক্ষায় আমার চোখ ক্ষীণ হয়,আমি বলি, তুমি কখন আমাকে সান্ত্বনা দেবে?
83 কারণ আমি ধোঁয়া ভরা কুপার মত হয়েছি;তবুও তোমার বিধি ভুলে যাই নি।
84 তোমার গোলাম আর কতকাল কষ্টভোগ করবে?কবে আমার তাড়নাকারীদের বিচার করবে?
85 অহঙ্কারীরা আমার জন্য গর্ত খুঁড়েছে,তারা তোমার শরীয়তের অনুগামী নয়।
86 তোমার সমস্ত হুকুম বিশ্বাসযোগ্য;লোকে মিথ্যা বলে আমাকে তাড়না করে;আমাকে সাহায্য কর।
87 ওরা দুনিয়াতে আমাকে প্রায় নিঃশেষ করেছিল,কিন্তু আমি তোমার আদেশমালা ত্যাগ করি নি।
88 তোমার অটল মহব্বত অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর,তাতে আমি তোমার মুখের নির্দেশ পালন করবো।
89 অনন্তকালের জন্য, হে মাবুদ,তোমার কালাম বেহেশতে সংস্থাপিত।
90 তোমার বিশ্বস্ততা পুরুষানুক্রমে স্থায়ী;তুমি দুনিয়াকে স্থাপন করেছ, তা স্থির রয়েছে।
91 আজও তোমার শাসন অনুসারে সকলই স্থির রয়েছে,কেননা সমস্তই তোমার গোলাম।
92 যদি তোমার শরীয়ত আমার হর্ষজনক না হত,তবে ইতোপূর্বে আমি আমার দুঃখে বিনষ্ট হতাম।
93 আমি তোমার আদেশমালা কখনও ভুলে যাব না,কারণ তা দ্বারা তুমি আমাকে সঞ্জীবিত করেছ।
94 আমি তোমারই, আমাকে নিস্তার কর;কারণ আমি তোমার আদেশমালা খোঁজ করেছি।
95 দুষ্টরা আমাকে বিনষ্ট করার জন্য আমার অপেক্ষা করেছে;আমি তোমার নির্দেশগুলো আলোচনা করবো।
96 আমি সমস্ত শুদ্ধতার সীমাবদ্ধতা দেখেছি;তোমার হুকুম অতিশয় প্রশস্ত।
97 আমি তোমার শরীয়ত কেমন ভালবাসি!তা সমস্ত দিন আমার ধ্যানের বিষয়।
98 তোমার সমস্ত হুকুম আমাকে দুশমনদের চেয়ে জ্ঞানবান করে;কারণ সেসব চিরকাল আমার।
99 আমার সমস্ত শিক্ষকের চেয়ে আমি জ্ঞানবান,কেননা আমি তোমার নির্দেশগুলো ধ্যান করি।
100 প্রাচীন লোক হতেও আমি বুদ্ধিমান,কারণ আমি তোমার আদেশমালা পালন করেছি।
101 আমি সমস্ত কুপথ থেকে আমার চরণ নিবৃত্ত করেছি,যেন আমি তোমার কালাম পালন করি।
102 আমি তোমার অনুশাসন-পথ থেকে ফিরে যাই নি,কারণ তুমিই আমাকে শিক্ষা দিয়াছ।
103 তোমার বচনগুলো আমার রসনাতে কেমন মিষ্ট লাগে!তা আমার মুখে মধু হতেও মধুর!
104 তোমার আদেশমালা দ্বারা আমার বুদ্ধিলাভ হয়,তাই আমি সমুদয় মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।
105 তোমার কালাম আমার চরণের প্রদীপ,আমার পথের আলো।
106 আমি শপথ করেছি, স্থির করেছি,তোমার ধর্মময় সমস্ত অনুশাসন পালন করবো।
107 আমি অতিশয় দুঃখার্ত;হে মাবুদ, তোমার কালাম অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
108 হে মাবুদ, আরজ করি,আমার স্বেচ্ছায় দেওয়া মুখের সমস্ত উপহার গ্রাহ্য কর,ও তোমার সমস্ত অনুশাসন আমাকে শিক্ষা দাও।
109 আমার প্রাণ নিরন্তর আমার হাতের মুঠোয় থাকে,তবুও আমি তোমার শরীয়ত ভুলে যাই না।
110 দুষ্টরা আমার জন্য ফাঁদ পেতেছে,কিন্তু আমি তোমার আদেশমালা থেকে বিপথগামী হই না।
111 তোমার নির্দেশগুলো আমি চিরতরে অধিকার করেছি,কারণ সেই সমস্ত আমার অন্তরের আনন্দ বৃদ্ধি করে।
112 আমি তোমার বিধিগুলো পালন করতে মনকে অবনত করেছি,চিরকালের জন্য, শেষ পর্যন্ত।
113 আমি দ্বিমনাদের ঘৃণা করি,কিন্তু তোমার শরীয়ত মহব্বত করি।
114 তুমি আমার অন্তরাল ও আমার ঢাল;আমি তোমার কালামে প্রত্যাশা রাখি।
115 দুর্বৃত্তরা, আমার কাছ থেকে দূর হও;আমি আমার আল্লাহ্র সমস্ত হুকুম পালন করবো।
116 তোমার কথা অনুসারে আমাকে ধারণ কর, তাতে বাঁচবো,আমাকে নিজের আশার বিষয়ে লজ্জিত হতে দিও না।
117 আমাকে ধরে রাখ, তাতে রক্ষা পাব,আর তোমার বিধিগুলো সর্বদা মান্য করবো।
118 তুমি তাদের সকলকে হেয়জ্ঞান করেছ,যারা তোমার বিধি-পথ থেকে ভুল পথে চলে;কেননা তাদের প্রবঞ্চনা অসার।
119 তুমি দুনিয়ার সমস্ত দুষ্টকে আবর্জনার মত দূর করে থাক,তাই আমি তোমার নির্দেশগুলো ভালবাসি।
120 তোমার ভয়ে আমার শরীর রোমাঞ্চিত হয়,তোমার বিচারগুলোতে আমি ভীত হই।
121 আমি ন্যায়বিচার ও সঠিক কাজ করেছি,আমাকে জুলুমবাজদের হাতে তুলে দিও না।
122 তুমি নিজের গোলামের মঙ্গল নিশ্চিত কর,অহঙ্কারীরা আমার প্রতি জুলুম না করুক।
123 আমার চোখ ক্ষীণ হচ্ছে, তোমার উদ্ধারের জন্য,ও তোমার ধর্মময় প্রতিজ্ঞা পূর্ণতার জন্য।
124 তোমার অটল মহব্বত অনুসারে তোমার গোলামের সঙ্গে ব্যবহার কর,আর তোমার বিধিগুলো আমাকে শিক্ষা দাও।
125 আমি তোমার গোলাম, আমাকে বুদ্ধি দাও,যেন তোমার সমস্ত নির্দেশ বুঝতে পারি।
126 মাবুদের কাজ করার সময় হল,কেননা লোকে তোমার শরীয়ত ভঙ্গ করেছে।
127 সেজন্য আমি তোমার হুকুমগুলো ভালবাসি,সোনা থেকে, খাঁটি সোনা থেকেও তা ভালবাসি।
128 সেজন্য আমি সর্ব বিষয়ে তোমার সমুদয় আদেশমালা শিরোধার্য জ্ঞান করি,সমস্ত মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।
129 তোমার নির্দেশগুলো আশ্চর্য,এজন্য আমার প্রাণ সেগুলো পালন করে।
130 তোমার কালাম প্রকাশিত হলে তা আলো দান করে,তা অমায়িকদেরকে বুদ্ধিমান করে।
131 আমি মুখ খুলে শ্বাস ফেলছিলাম,কেননা তোমার হুকুমগুলোর আকাঙ্খা করছিলাম।
132 আমার প্রতি ফির ও আমার প্রতি রহম কর,যেমন তোমার নামপ্রিয়দের প্রতি করে থাক।
133 তোমার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমার পদক্ষেপ স্থির রাখ,কোন অধর্ম আমার উপরে কর্তৃত্ব না করুক।
134 মানুষের জুলুম থেকে আমাকে মুক্ত কর,তাতে আমি তোমার আদেশমালা পালন করবো।
135 তোমার গোলামের প্রতি তোমার মুখ উজ্জ্বল কর,এবং তোমার সমস্ত বিধি আমাকে শিক্ষা দাও।
136 আমার চোখ থেকে পানির ধারা বইছে,কারণ লোকে তোমার শরীয়ত পালন করে না।
137 হে মাবুদ, তুমি ধর্মময় ও তোমার সমস্ত বিচার ন্যায্য।
138 তুমি ধর্মশীলতায় এবং অতীব বিশ্বস্ততায়তোমার নির্দেশগুলো হুকুম করেছ।
139 আমার গভীর আগ্রহ আমাকে গ্রাস করেছে,কারণ আমার দুশমনরা তোমার সমস্ত কালাম ভুলে গেছে।
140 তোমার কালাম অতীব পরীক্ষাসিদ্ধ,তাই তোমার গোলাম তা মহব্বত করে।
141 আমি ক্ষুদ্র ও অবজ্ঞাত,[কিন্তু] আমি তোমার আদেশমালা ভুলে যাই নি।
142 তোমার ধর্মশীলতা চিরস্থায়ী,আর তোমার শরীয়ত সত্য।
143 সঙ্কট ও দুর্দশা আমাকে পেয়ে বসেছে,[তবুও] তোমার সমস্ত হুকুম আমার আনন্দদায়ক।
144 তোমার নির্দেশগুলো অনন্তকাল ধরে ধর্মময়;আমাকে বুদ্ধি দাও, তাতে আমি বাঁচব।
145 আমি সর্বান্তঃকরণে ডেকেছি;হে মাবুদ, আমাকে উত্তর দাও,আমি তোমার বিধিগুলো পালন করবো।
146 আমি তোমাকে ডেকেছি, আমাকে নিস্তার কর,তাতে আমি তোমার নির্দেশগুলো পালন করবো।
147 আমি প্রভাতের আগেও উঠে আর্তনাদ করলাম,আমি তোমার কালামে ভরসা স্থাপন করেছি।
148 আমার চোখ সমস্ত রাত উন্মীলিত ছিল,যেন তোমার প্রতিজ্ঞাগুলো ধ্যান করতে পারি।
149 তোমার অটল মহব্বত অনুসারে আমার কথা শোন;হে মাবুদ, তোমার শাসন অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
150 কুকর্মের অনুগামীরা নিকটবর্তী;তারা তোমার শরীয়ত থেকে দূরবর্তী।
151 হে মাবুদ, তুমিই নিকটবর্তী,আর তোমার সমস্ত হুকুম সত্য।
152 আমি তোমার নির্দেশগুলোর দ্বারা আগে থেকে জানি,তুমি চিরতরে সে সমস্ত স্থাপন করেছ।
153 আমার দুঃখ দেখ, আমাকে উদ্ধার কর,কেননা আমি তোমার শরীয়ত ভুলে যাই নি।
154 আমার ঝগড়া নিষ্পত্তি কর, আমাকে মুক্ত কর,তোমার কালাম অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
155 উদ্ধার দুষ্টরা থেকে দূরবর্তী,কারণ তারা তোমার বিধিগুলোর খোঁজ করে না।
156 হে মাবুদ, তোমার করুণা বহুবিধ;তোমার সমস্ত শাসন অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
157 আমার তাড়নাকারী ও বিপক্ষ অনেক,[তবুও] আমি তোমার নির্দেশগুলো থেকে বিপথগামী হই নি।
158 আমি বিশ্বাসঘাতকদেরকে দেখে ঘৃণা করলাম,কারণ তারা তোমার কালাম পালন করে না।
159 দেখ, আমি তোমার আদেশমালা কেমন ভালবাসি।মাবুদ, তোমার অটল মহব্বত অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
160 তোমার কালামের সমষ্টি সত্য,তোমার ধর্মময় প্রত্যেক অনুশাসন চিরস্থায়ী।
161 শাসনকর্তারা অকারণে আমাকে তাড়না করেছে,কিন্তু আমার মন তোমার কালামগুলোতে ভীত হয়।
162 আমি তোমার কালামে আনন্দ করি,যেমন মহালুট পেলে লোকে আনন্দ করে।
163 আমি মিথ্যাকে হিংসা করি, ঘৃণা করি,তোমার শরীয়ত ভালবাসি।
164 আমি দিনে সাতবার তোমার প্রশংসা করি,তোমার ধর্মময় অনুশাসনগুলোর জন্য।
165 যারা তোমার শরীয়ত ভালবাসে,তাদের পরম শান্তি হয়, তাদের হোঁচট লাগে না।
166 মাবুদ, আমি তোমার উদ্ধারের প্রত্যাশা করেছি,ও তোমার সমস্ত হুকুম পালন করেছি।
167 আমার প্রাণ তোমার নির্দেশগুলো পালন করেছে,আমি সেসব অতিশয় মহব্বত করি।
168 আমি তোমার আদেশমালা ও নির্দেশগুলো পালন করেছি;কারণ আমার সমস্ত পথ তোমারই সম্মুখে।
169 হে মাবুদ, আমার কাতরোক্তি তোমার কাছে উপস্থিত হোক,তোমার কালাম অনুসারে আমাকে বুদ্ধি দাও।
170 আমার ফরিয়াদ তোমার সম্মুখে উপস্থিত হোক,তোমার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমাকে উদ্ধার কর।
171 আমার ওষ্ঠাধর প্রশংসা করুক,কারণ তুমি আমাকে তোমার সমস্ত বিধি শিক্ষা দিচ্ছ।
172 আমার জিহ্বা তোমার মহিমা ঘোষণা করবে,যেহেতু তোমার সমস্ত হুকুম ধর্মময়।
173 তোমার হাত আমার সহকারী হোক;কেননা আমি তোমার আদেশমালা মান্য করেছি।
174 হে মাবুদ, আমি তোমার উদ্ধারের আকাঙ্খা করেছি,এবং তোমার শরীয়ত আমার হর্ষজনক।
175 আমার প্রাণ জীবিত থাকুক,সে তোমার প্রশংসা করবে,আর তোমার সমস্ত অনুশাসন আমার সহকারী হোক।
176 আমি হারানো ভেড়ার মত ভ্রান্ত হয়েছি;নিজের গোলামের খোঁজ কর;কেননা আমি তোমার হুকুমনামা ভুলে যাই নি।