1 আল্লাহ্ আমার, আল্লাহ্ আমার,তুমি কেন আমাকে পরিত্যাগ করেছ?আমাকে রক্ষা না করে ও আমারআর্তনাদের উক্তি না শুনে কেন দূরে থাক?
2 হে আমার আল্লাহ্, আমি দিনে আহ্বান করি,কিন্তু তুমি উত্তর দাও না;রাতেও (ডাকি), আমার বিশ্রাম হয় না।
3 কিন্তু তুমিই পবিত্র,ইসরাইলের সমস্ত প্রশংসা তোমার সিংহাসন।
4 আমাদের পূর্বপুরুষেরা তোমাতেই বিশ্বাস করতেন;তাঁরা বিশ্বাস করতেন,আর তুমি তাঁদেরকে উদ্ধার করতে।
5 তাঁরা তোমার কাছে কান্নাকাটি করতেন আর রক্ষা পেতেন,তোমার উপর ঈমান এনে লজ্জিত হতেন না।
6 কিন্তু আমি কীট, মানুষ নই,মানুষের নিন্দাস্পদ, লোকদের অবজ্ঞাত।
7 যারা আমাকে দেখে, সকলে আমাকে ঠাট্টা করে,তারা মুখ ভেঙ্গায় আর মাথা নেড়ে বলে,
8 মাবুদের উপরে নির্ভর কর;তিনি ওকে উদ্ধার করুন;ওকে রক্ষা করুন, কেননা তিনি ওতে প্রীত।
9 তুমিই তো মাতৃগর্ভ থেকে আমাকে বাইরে আনলে;যখন আমার মাতার স্তন পান করি,তখন তুমি আমার বিশ্বাস জন্মালে।
10 গর্ভ থেকে আমি তোমার হাতে নিক্ষিপ্ত;আমার মাতৃজঠর থেকে তুমিই আমার আল্লাহ্।
11 আমা থেকে দূরে থেকো না,সঙ্কট আসন্ন, সাহায্যকারী কেউ নেই।
12 অনেক ষাঁড় আমাকে বেষ্টন করেছে,বাশনের বলবান বলদেরা আমাকে ঘিরে ধরেছে।
13 তারা আমার প্রতি মুখ খুলে হা করে,বিদীর্ণকারী সিংহ যেন গর্জন করছে।
14 আমাকে পানির মত সেচন করা হচ্ছে,আমার সমুদয় অস্থি সন্ধিচ্যুত হয়েছে,আমার হৃদয় মোমের মত হয়েছে,তা অন্ত্রগুলোর মধ্যে গলে গলে পড়ছে।
15 আমার বল খোলার মত শুকিয়ে যাচ্ছে,আমার জিহ্বা তালুতে লেগে যাচ্ছে,তুমি আমাকে মৃত্যুর ধূলিতে রেখেছ।
16 কেননা কুকুরেরা আমাকে ঘিরে ধরেছে,দুর্বৃত্তদের মণ্ডলী আমাকে বেষ্টন করেছে;তারা আমার হস্তপদ বিদ্ধ করেছে।
17 আমি আমার সমস্ত অস্থি গণনা করতে পারি;ওরা আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করে, চেয়ে থাকে।
18 তারা নিজেদের মধ্যে আমার কাপড়-চোপড় ভাগ করে,আমার কাপড়ের জন্য গুলিবাঁট করে।
19 কিন্তু হে মাবুদ, তুমি দূরে থেকো না;হে আমার সহায়, আমার সাহায্য করতে তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসো।
20 তলোয়ার থেকে আমার প্রাণ উদ্ধার কর,আমার একমাত্র [রূহ্] কুকুরের হাত থেকে উদ্ধার কর।
21 নিস্তার কর আমাকে সিংহের মুখ থেকে,আর বন্য ষাঁড়ের শিং থেকে—তুমি আমাকে উত্তর দিয়েছ।
22 আমি আমার ভাইদের কাছে তোমার নাম তবলিগ করবো;সমাজের মধ্যে তোমার নামের প্রশংসা করবো।
23 মাবুদের ভয়কারীগণ! তাঁর প্রশংসা কর;ইয়াকুবের সমস্ত বংশ! তাঁকে সম্মান কর;তাঁকে ভয় কর, ইসরাইলের সমস্ত বংশ!
24 কেননা তিনি দুঃখীর দুঃখ উপেক্ষা বা ঘৃণা করেন নি;তিনি তা থেকে তাঁর মুখও লুকান নি;বরং আমি তাঁর কাছে কান্না করতে তিনি শুনলেন।
25 মহাসমাজে তোমা থেকে আমার প্রশংসা জন্মে,যারা তাঁকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করে,তাদের সাক্ষাতে আমি আমার সমস্ত মানত পূর্ণ করবো।
26 নম্র লোকেরা ভোজন করে তৃপ্ত হবে,যারা মাবুদের খোঁজ করে তারা তাঁর প্রশংসা করবে;তোমাদের অন্তঃকরণ চিরজীবী হোক।
27 দুনিয়ার প্রান্তস্থিত সকলে স্মরণ করে মাবুদের প্রতি ফিরবে;জাতিদের সমস্ত গোষ্ঠী তোমার সম্মুখে সেজ্দা করবে।
28 কেননা রাজত্ব মাবুদেরই;তিনিই জাতিদের উপরে শাসনকর্তা।
29 দুনিয়ার সকল ধনবান লোকেরা ভোজন করে সেজ্দা করবে;যারা ধূলিতে নামতে উদ্যত,তারা সকলে তাঁর সাক্ষাতে জানু পাতবে,যে নিজের প্রাণ বাঁচাতে অসমর্থ, সেও পাতবে।
30 ভবিষ্যত বংশধরেরা তাঁর সেবা করবে,প্রভুর সম্বন্ধে ভাবী বংশকে বলা যাবে।
31 তারা আসবে, তাঁর ধর্মশীলতা জানাবে,ভবিষ্যত প্রজন্মের লোকদের বলবে,তিনি কার্যসাধন করেছেন।